Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 6
Saheeh International
Indeed, those who disbelieve - it is all the same for them whether you warn them or do not warn them - they will not believe.
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
যারা সত্যকে গোপন করতে অভ্যস্ত এবং তাদের ভাগ্যে এই রয়েছে যে, তারা কখনো সেই ওয়াহীকে বিশ্বাস করবে না যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে। যেমন অন্য এক স্থানে বলা হয়েছেঃ
﴿اِنَّ الَّذِیْنَ حَقَّتْ عَلَیْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ لَا یُؤْمِنُوْنَۙ۹۶ وَ لَوْ جَآءَتْهُمْ كُلُّ اٰیَةٍ حَتّٰى یَرَوُا الْعَذَابَ الْاَلِیْمَ﴾
নিঃসন্দেহে, যাদের সম্বন্ধে তোমার প্রভুর বাক্য সাব্যস্ত হয়ে গেছে তারা কখনো ঈমান আনবে না, যদিও তাদের নিকট সমস্ত প্রমাণ পৌঁছে যায়, যে পর্যন্ত না তারা যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।(১০ নং সূরাহ্ ইউনুস, আয়াত নং ৯৬-৯৭) এমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলা দুষ্টুমতি আহলে কিতাবদের সম্পর্কে বলেনঃ
﴿ وَ لَىِٕنْ اَتَیْتَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ بِكُلِّ اٰیَةٍ مَّا تَبِعُوْا قِبْلَتَكَ ﴾
‘আর যাদেরকে গ্রন্থ দেয়া হয়েছে তাদের নিকট যদি তুমি সমুদয় নিদর্শন আনয়ন করো তবুও তারা তোমার কিবলাহকে গ্রহণ করবে না।’ (২ নং সূরাহ্ বাকারাহ, আয়াত নং ১৪৫)
এ আয়াত থেকে জানা গেলো যে, মহান আল্লাহ যাদের জন্য দুর্ভোগ লিখে রেখেছেন তারা তাদেরকে শান্তির পথ দেখানোর জন্য কোন পথ প্রদর্শক পাবে না এবং মহান আল্লাহ যাদেরকে বিপথে পরিচালিত করেন তারা কখনো সৎপথ প্রদর্শক খুঁজে পাবে না। তিনি বলেনঃ হে মুহাম্মাদ! তুমি তাদের জন্য দুঃখ করো না, তাদেরকে দা‘ওয়াত দিতে থাকো। তাদের মধ্যে যারা তোমার দা‘ওয়াত কবূল করবে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান। আর যারা অস্বীকার করে মুখ ফিরিয়ে নিবে তাদের জন্য তুমি বিমর্ষ হয়ো না কিংবা তাদের নিয়ে চিন্তা-ভাবনাও করো না। কারণ
﴿فَاِنَّمَا عَلَیْكَ الْبَلٰغُ وَ عَلَیْنَا الْحِسَابُ ﴾
তোমার কর্তব্য শুধু প্রচার করা; আর হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ। (১৩ নং সূরাহ্ রা‘দ, আয়াত নং ৪০) অপর আয়াতে মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ ﴿اِنَّمَاۤ اَنْتَ نَذِیْرٌ١ؕ وَ اللّٰهُ عَلٰى كُلِّ شَیْءٍ وَّكِیْلٌ﴾
তুমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র, মহান আল্লাহই সবকিছু পরিবেষ্টনকারী। (১১ নং সূরাহ্ হুদ, আয়াত নং ১২)
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ ‘রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এ ব্যাপারে খুবই আগ্রহ ছিলো যে, সবাই যেন ঈমানদার হয়ে যায় এবং হিদায়াত কবূল করে নেয়। কিন্তু মহান প্রভু বলে দিলেন যে, এ সৌভাগ্য প্রত্যেকের জন্য নয়। এ দান ভাগ করে দেয়া হয়েছে। যার ভাগ্যে এর অংশ পড়েছে আপনা আপনি তোমার কথা মেনে নিবে, আর যে হতভাগা সে কখনো মানবে না। (তাফসীর তাবারী ১/২৫২) সুতরাং অর্থ এই দাঁড়ায় যে, যারা কুর’আনুল কারীমকে অস্বীকার করে তারা বলে, আমরা পূর্বের কিতাবগুলোকে মেনে থাকি। তাদেরকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই। কেননা প্রকৃত অর্থে তারা নিজেদের কিতাবকেও মানে না। কারণ তার মধ্যে তোমাকে মানার অনুরূপ অঙ্গীকার রয়েছে। তাহলে তারা যখন ঐ কিতাব ও ঐ নবীর উপদেশ মানছে না যাকে তারা মানতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলো, তখন হে নবী তারা তোমার কথাকে তারা কি করে মানতে পারে?
আবুল ‘আলিয়ার মতে এই আয়াতটি খন্দকের যুদ্ধে ঐ নেতৃবর্গের সম্বন্ধে নাযিল হয়েছে যাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহর ফরমান রয়েছেঃ ﴿أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللهِ كُفْرًا﴾
কিন্তু যে অর্থ আমরা প্রথমে বর্ণনা করেছি সেটাই বেশি প্রকাশমান এবং অন্যান্য আয়াতের সাথে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ। মহান আল্লাহই এ ব্যাপারে সবচেয়ে ভালো জানেন। অতএব ঐ হাদীসের ওপর পুণরায় চোখ ফিরানো উচিত, যা ইবনু আবি হাতিমের উদ্ধৃতি দিয়ে ইতোপূর্বে বর্ণিত হয়েছে। আর لا يؤمنون প্রথম বাক্যটির تاكيد হয়েছে। অর্থাৎ ভয় দেখানো আর না দেখানো একই সমান। কোন অবস্থাতেই তারা ঈমান আনবে না। لا يؤمنون তার খবর হওয়াও সম্ভব। কেননা অনুমতি ব্যাক্য হচ্ছেঃ
اِنَّ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا لَایُؤْمِنُوْنَ এবং سواء عليهم হয়ে যাবে جملة معترضة। মহান আল্লাহই প্রত্যেক বিষয়ে সবচেয়ে ভালো ও সুষ্ঠু জ্ঞানের অধিকারী।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings