Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 4
Saheeh International
And who believe in what has been revealed to you, [O Muhammad], and what was revealed before you, and of the Hereafter they are certain [in faith].
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ ‘তুমি তোমার রাব্ব আল্লাহ তা‘আলার নিকট থেকে যা কিছু প্রাপ্ত হয়েছো এবং তোমার পূর্ববর্তী নবীগণ যা কিছু প্রাপ্ত হয়েছিলো তারা ঐ সমুদয়ের সত্যতা স্বীকার করে। এটা নয় যে, কোনটা মানে ও কোনটা মানেনা, বরং রবের সব কথাই বিশ্বাস করে এবং পরকালের ওপরও দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।’ (তাফসীর তাবারী ১/২৪৪) অর্থাৎ পুনরুত্থান, কিয়ামত, জান্নাত, জাহান্নাম, হিসাব, মীযান ইত্যাদি সবই পূর্ণভাবে বিশ্বাস করে।(তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/৩৯) কিয়ামত দুনিয়া ধ্বংসের পরে হবে বলে তাকে আখিরাত বলা হয়েছে।
ঈমানদারের বর্ণনা
কোন কোন মুফাস্সির বলেছেন যে পূর্বে যাদের অদৃশ্যের বিশ্বাস স্থাপন ইত্যাদি বিশেষণ বর্ণনা করা হয়েছে, তাদেরই দ্বিতীয় বার এই বিশেষণ বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ ঈমানদার ‘আরবেরই হোক অথবা আহলে কিতাবের হোক কিংবা অন্য যে কোন ধরনের লোক হোক। মুজাহিদ (রহঃ), আবুল ‘আলিয়া (রহঃ) রাবী‘ ইবনু আনাস (রাঃ) এবং কাতাদা (রহঃ)-এরও এটাই অভিমত।
কেউ কেউ বলেছেন যে, এ দুটো একই কিন্তু এ থেকে উদ্দেশ্য হচ্ছে আহলে কিতাব। অতএব এ দু’অবস্থায় واو টি ‘আতফের واو হবে এবং صفت এর ‘আতফ হবে صفت এর ওপর। যেমনঃ
﴿سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْاَعْلَىۙ الَّذِیْ خَلَقَ فَسَوّٰى۪ۙوَ الَّذِیْ قَدَّرَ فَهَدٰى۪ۙوَ الَّذِیْۤ اَخْرَجَ الْمَرْعٰى﴾
‘তোমার মহান প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। যিনি সৃষ্টি করেছেন তারপর করেছেন দেহের প্রতিটি অঙ্গকে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যিনি সকল বস্তুকে পরিমাণ মতো সৃষ্টি করেছেন, তারপর জীবনে চলার পথনির্দেশ করেছেন। যিনি তৃণ ইত্যাদি বের করেছেন।’ (৮৭ নং সূরাহ আল আ‘লা, আয়াত নং ১-৪) এখানে صفت এর ‘আতফ হয়েছে صفت এর ওপর। এই প্রকারের ‘আতফ বা সংযোগ কবিদের কবিতাতেও এসেছে। তৃতীয় মত এই যে, প্রথম صفت গুলো তো হচ্ছে ‘আরব মু’মিনদের আর নিচের আয়াতটি হতে আহলে কিতাবদের মধ্যেকার মু’মিনদের صفت ধরা হবে।
﴿وَالَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْكَ وَمَاۤ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ١ۚ وَبِالْاٰخِرَةِ هُمْ یُوْقِنُوْنَ﴾
‘আর তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা নাযিল করা হয়েছে, তাতে তারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং পরকালের প্রতিও তারা নিশ্চিত বিশ্বাসী।’ (২ নং সূরাহ আল বাকারাহ, আয়াত নং ৪) আল কুর’আন বিশারদ সুদ্দী (রহঃ) এটা ইবনু ‘আব্বাস, ইবনু মাস‘উদসহ অন্যান্য কয়েকজন সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন। আর ইবনু জারীরও এ মতটি সমর্থন করেছেন। অতঃপর প্রমাণ স্বরূপ তিনি অত্র আয়াত টি উল্লেখ করেছেন।
﴿وَاِنَّ مِنْ اَهْلِ الْكِتٰبِ لَمَنْ یُّؤْمِنُ بِاللّٰهِ وَمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْكُمْ وَمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْهِمْ خٰشِعِیْنَ لِلّٰهِ﴾
‘আর আহলে কিতাবদের মধ্যকার কিছু লোক নিঃসন্দেহে এমনও আছে, যারা মহান আল্লাহ্র ওপর এবং তোমাদের ওপর অবতীর্ণ কিতাবের এবং তাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবের ওপর ঈমান রাখে।’ (৩ নং সূরাহ আলি ‘ইমরান, আয়াত- ১৯৯)
মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেনঃ ‘সূরাহ্ বাক্বারার প্রথম চারটি আয়াতে মু’মিনদের আলোচনা রয়েছে এবং তার পরবর্তী আয়াতে মুনাফিকদের সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।’ (তাফসীর তাবারী ১/২৩৯) সুতরাং এ চারটি আয়াত প্রত্যেক মু’মিনদের জন্য সাধারণ বা সমভাবে প্রযোজ্য। সে ‘আরবী হোক, ‘আযমী হোক, কিতাবী হোক, মানবের মধ্যে হোক বা দানবের মধ্যেই হোক না কেন। কারণ, এর মধ্যে প্রত্যেকটি গুণ অন্যের ক্ষেত্রেই একেবারে যরুরী শর্ত। একটাকে বাদ দিয়ে অন্যটা হতেই পারে না। অদৃশ্যের ওপর ঈমান আনা, সালাত প্রতিষ্ঠা করা এবং যাকাত দেয়া শুদ্ধ নয়, যে পর্যন্ত না রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর এবং পূর্ববর্তী নবীগণের ওপর যে কিতাব অবর্তীণ হয়েছিলো তার ওপর ঈমান আনবে সাথে সাথে পরকালের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখবে। যেমন প্রথম তিনটি পরবর্তী তিনটি ছাড়া গ্রহণযোগ্য নয়। তদ্রুপ পরবর্তী তিনটিও পূর্ববর্তী তিনটি ছাড়া পরিশুদ্ধ হয় না। এ জন্য ঈমানদারের প্রতি মহান আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছেঃ
﴿ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اٰمِنُوْا بِاللّٰهِ وَ رَسُوْلِهٖ وَ الْكِتٰبِ الَّذِیْ نَزَّلَ عَلٰى رَسُوْلِهٖ وَ الْكِتٰبِ الَّذِیْۤ اَنْزَلَ مِنْ قَبْلُ﴾
হে মু’মিনগণ! তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করো মহান আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি এবং এই কিতাবের প্রতি যা তিনি তাঁর রাসূলের ওপর অবতীর্ণ করেছেন এবং ঐ কিতাবের প্রতি যা পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছিলো। (৪ নং সূরাহ্ নিসা, আয়াত নং ১৩৬) অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেনঃ
﴿وَلَا تُجَادِلُوْۤا اَهْلَ الْكِتٰبِ اِلَّا بِالَّتِیْ هِیَ اَحْسَنُ١ۖۗ اِلَّا الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا مِنْهُمْ وَ قُوْلُوْۤا اٰمَنَّا بِالَّذِیْۤ اُنْزِلَ اِلَیْنَا وَ اُنْزِلَ اِلَیْكُمْ وَ اِلٰهُنَا وَ اِلٰهُكُمْ وَاحِدٌ ﴾
তোমরা উত্তম পন্থা ব্যতীত কিতাবীদের সাথে বিতর্ক করবে না, তবে তাদের সাথে করতে পারো যারা তাদের মধ্যে সীমালঙ্ঘনকারী এবং বলোঃ আমাদের প্রতি ও তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে আমরা বিশ্বাস করি এবং আমাদের মা‘বূদ ও তোমাদের মা‘বূদ তো একই।(২৯ সূরাহ্ ‘আনকাবূত, আয়াত নং ৪৬) অনুরূপভাবে অন্য এক জায়গায় ইরশাদ হয়েছেঃ
﴿اَلَّذِیْنَ اٰتَیْنٰهُمُ الْكِتٰبَ مِنْ قَبْلِهٖ هُمْ بِهٖ یُؤْمِنُوْنَ وَ اِذَا یُتْلٰى عَلَیْهِمْ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِهٖۤ اِنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّنَاۤ اِنَّا كُنَّا مِنْ قَبْلِهٖ مُسْلِمِیْنَاُولٰٓىِٕكَ یُؤْتَوْنَ اَجْرَهُمْ مَّرَّتَیْنِ بِمَا صَبَرُوْا وَیَدْرَءُوْنَ بِالْحَسَنَةِ السَّیِّئَةَ وَمِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ﴾
‘এর পূর্বে আমি যাদের কিতাব দিয়েছিলাম তারা অর্থাৎ তাদের কতক লোক তাতে বিশ্বাস করে। তাদের নিকট যখন তা আবৃত্তি করা হয় তখন তারা বলে- আমরা এতে বিশ্বাস করি, এ সত্য আমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে আগত, এর পূর্বেই আমরা আত্মসমর্পণকারী ছিলাম। তাদেরকে তাদের পারিশ্রমিক দু’বার দেয়া হবে যেহেতু তারা ধৈর্য ধারণ করেছে এবং তারা ভালো দিয়ে মন্দের প্রতিহত করে আর আমি তাদের যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে।’ (২৮ নং সূরাহ আল কাসাস, আয়াত নং ৫২-৫৪)
তাছাড়া সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ
ثَلَاثَةٌ يُؤْتَوْنَ أَجْرَهُمْ مَرَّتَيْنِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ آمَنَ بِنَبِيِّهِ وَأَدْرَكَ النَّبِىَّ فَآمَنَ بِهِ وَاتَّبَعَهُ وَصَدَّقَهُ فَلَهُ أَجْرَانِ وَعَبْدٌ مَمْلُوكٌ أَدَّى حَقَّ اللهِ تَعَالَى وَحَقَّ سَيِّدِهِ فَلَهُ أَجْرَانِ وَرَجُلٌ كَانَتْ لَهُ أَمَةٌ فَغَذَاهَا فَأَحْسَنَ غِذَاءَهَا ثُمَّ أَدَّبَهَا فَأَحْسَنَ أَدَبَهَا ثُمَّ أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا فَلَهُ أَجْرَانِ
‘তিন প্রকার লোককে দ্বিগুণ নেকী দান করা হবে। যে ব্যক্তির একটি বাঁদী আছে, সে তাকে শিক্ষা দান করে, উত্তমরূপে শিক্ষা দান করে, আদব শিক্ষা দেয় এবং তাকে উত্তমরূপে শিষ্টাচার শিক্ষা দান করে। তারপর তাকে আযাদ করে দিয়ে তাকে বিবাহ করে। সে ব্যক্তির জন্য দ্বিগুণ নেকী রয়েছে। আর আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে মু’মিন ব্যক্তি যে তার নবীর প্রতি ঈমান এনেছিলো। তারপর মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান এনেছে। তার জন্য দ্বিগুণ নেকী রয়েছে। আর যে গোলাম মহান আল্লাহ্র হক যথাযথভাবে আদায় করে এবং নিজ মনিবের দায়িত্বও সঠিকরূপে পালন করে, তার জন্যও দ্বিগুণ নেকী রয়েছে।’ (সহীহুল বুখারী হাঃ ৯৭, আ.প্র. হাঃ ২৭৯০, ই.ফা. হাঃ ২৮০০, শামেলা ২৮৮৪। সহীহ মুসলিম, ৪০৪) ইমাম ইবনু জারীরের এই পার্থক্যের সম্বন্ধ এর দ্বারাও জানা যায় যে, এ সূরার প্রথমে মু’মিন ও কাফিরের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। যেমন কাফিরের দু’টি অংশ আছে, কাফির ও মুনাফিক, অনুরূপ মু’মিনদের দু’টি ভাগ রয়েছে আর তা হলো, ‘আরবী মু’মিন ও কিতাবী মু’মিন। আমার (ইবনু কাসীর) মতে মুজাহিদ (রহঃ)-এর উক্তিটিই সঠিক।
পবিত্র কুর’আনের আরেক স্থানে ঘোষিত হয়েছেঃ
﴿ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ اٰمِنُوْا بِمَا نَزَّلْنَا مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُمْ﴾
হে গ্রন্থপ্রাপ্তরা! তোমাদের সাথে যা আছে তার সত্যতা প্রতিপাদনকারী যা অবতীর্ণ করেছি তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। (৪ নং সূরাহ্ নিসা, আয়াত নং ৪৭) অন্য জায়গায় আছেঃ
﴿قُلْ یٰۤاَهْلَ الْكِتٰبِ لَسْتُمْ عَلٰى شَیْءٍ حَتّٰى تُقِیْمُوا التَّوْرٰىةَ وَ الْاِنْجِیْلَ وَ مَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْكُمْ مِّنْ رَّبِّكُمْ﴾
বলোঃ হে আহলে কিতাব! তোমরা কোনো পথেই প্রতিষ্ঠিত নও যে পর্যন্ত না তাওরাত, ইনজীল এবং যে কিতাব অর্থাৎ কুর’আন তোমাদের নিকট তোমাদের রবের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে তার ওপর ‘আমল করো। (৫ নং সূরাহ্ মায়িদাহ, আয়াত নং ৬৮)
অন্য জায়গায় সমস্ত ঈমানদারকে সংবাদ প্রদান করে কুর’আনুল কারীমে মহান আল্লাহ বলেনঃ
﴿اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَ الْمُؤْمِنُوْنَ١ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ مَلٰٓىِٕكَتِهٖ وَ كُتُبِهٖ وَ رُسُلِهٖ١۫ لَا نُفَرِّقُ بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ﴾
রাসূল তার প্রভু হতে তার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা বিশ্বাস করে এবং মু’মিনগণও বিশ্বাস করে; তারা সবাই মহান আল্লাহকে, তাঁর ফিরিশতাগণকে, তাঁর গ্রন্থসমূহকে এবং তাঁর রাসূলগণকে বিশ্বাস করে থাকে; তারা বলে আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কাউকেও পার্থক্য করি না। (২ নং সূরাহ্ বাকারাহ, আয়াত নং ২৮৫) মহান আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন আরো ইরশাদ করেনঃ
﴿وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا بِاللّٰهِ وَ رُسُلِهٖ وَ لَمْ یُفَرِّقُوْا بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْهُمْ﴾
আর যারা মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন পার্থক্য করে না। (৪ নং সূরাহ্ নিসা, আয়াত নং ১৫২)
এ বিষয়ে আরো বহু আয়াত রয়েছে যাতে প্রত্যেক মুসলিমের মহান আল্লাহর ওপর, তাঁর সকল রাসূলের ওপর এবং সমস্ত কিতাবের ওপর ঈমান আনার কথা স্পষ্টাক্ষরে উল্লেখ করা হয়েছে। আহলে কিতাবদের ঈমানদারগণের যে একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা অবশ্য ভিন্ন কথা। কেননা তাদের কিতাবের ওপর তাদের ঈমান হয় পূর্ণ পরিণত। তারপর যখন তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করে তখন কুর’আনুল হাকীমের ওপরও তাদের ঈমান পূর্ণ পরিণত হয়ে থাকে। এ জন্যই তারা দ্বিগুণ সাওয়াবের অধিকারী হয়। এই উম্মাতের লোকেরাও পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের ওপর ঈমান আনে বটে, কিন্তু তাদের ঈমান হয় সংক্ষিপ্ত আকারে। যেমন সহীহ হাদীসে আছে, মহান আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আহলে কিতাব তোমার নিকট কোন সংবাদ প্রচার করলে তোমরা তাকে সত্যও বলো না আর মিথ্যাও বলোনা, বরং বলে দাও- যা কিছু আমাদের ওপর অবতীর্ণ করা হয়েছে তার ওপরও বিশ্বাস করি এবং যা কিছু তোমাদের ওপর অবতীর্ণ করা হয়েছে তার ওপরও বিশ্বাস রাখি।’ (সুনান আবূ দাঊদ, ৪/৫৯) কখনো কখনো এমনও হয়ে থাকে যে, যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর ঈমান আনে, তুলনামূলভাবে আহলে কিতাব অপেক্ষা তাদের ঈমানই বেশি পূর্ণ ও দৃঢ় হয়। এই হিসেবে তারা হয়তো আহলে কিতাব অপেক্ষা বেশি সাওয়াব লাভ করবে; যদিও তারা তাদের নবী (আঃ)-এর ওপর এবং শেষ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঈমান আনার কারণে দ্বিগুণ সাওয়াবের অধিকারী। কিন্তু এরা ঈমানের পরিপক্কতার কারণে সাওয়াবে তাদের সমান। আল্লাহ তা‘আলাই এ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জানেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings