Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 118
Saheeh International
Those who do not know say, "Why does Allah not speak to us or there come to us a sign?" Thus spoke those before them like their words. Their hearts resemble each other. We have shown clearly the signs to a people who are certain [in faith].
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণ
মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রহঃ) ইবনে ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে ‘আবদুল্লাহ ইবনে ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, রাফি‘ ইবনে হুরাইমালা নামক একজন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললোঃ ‘হে মুহাম্মাদ! আপনি যদি সত্যই মহান আল্লাহ্র রাসূল হোন তাহলে মহান আল্লাহ স্বয়ং আমাদেরকে তা বলেন না কেন? তবেই তো আমরা তাঁর কথা শুনতে পাই।’ তখন ﴿ وَ قَالَ الَّذِیْنَ لَا یَعْلَمُوْنَ لَوْ لَا یُكَلِّمُنَا اللّٰهُ اَوْ تَاْتِیْنَاۤ اٰیَةٌ ﴾ এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। (তাফসীর ইবনে আবি হাতিম ১/৩৫২) আবুল ‘আলিয়া (রহঃ), রাবী‘ ইবনে আনাস (রহঃ), কাতাদাহ (রহঃ) এবং সুদ্দী (রহঃ) বলেন যে, আসলে এ আয়াতটি ছিলো মুশরিকদের উদ্দেশ্য করে। এদের পূর্বে যারা ছিলো তারাও অনুরূপ কথা বলতো। তিনি বলেন যে, তারা হলো ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়। (তাফসীর ইবনে আবি হাতিম ১/৩৫৩) ‘আরব মুশরিকরা আগেও যে কথা বলে আসছিলো তা মহান আল্লাহ্র ভাষায় এভাবে বলা হয়েছেঃ
﴿وَ اِذَا جَآءَتْهُمْ اٰیَةٌ قَالُوْا لَنْ نُّؤْمِنَ حَتّٰى نُؤْتٰى مِثْلَ مَاۤ اُوْتِیَ رُسُلُ اللّٰهِ١ؔۘؕ اَللّٰهُ اَعْلَمُ حَیْثُ یَجْعَلُ رِسَالَتَهٗ١ؕ سَیُصِیْبُ الَّذِیْنَ اَجْرَمُوْا صَغَارٌ عِنْدَ اللّٰهِ وَ عَذَابٌ شَدِیْدٌۢ بِمَا كَانُوْا یَمْكُرُوْنَ﴾
‘তাদের সামনে যখন কোন নিদর্শন আসে তখন তারা বলেঃ মহান আল্লাহ্র রাসূলদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছিলো, আমাদের অনুরূপ জিনিস না দেয়া পর্যন্ত আমরা ঈমান আনবো না, রিসালাতের দায়িত্ব কার ওপর অর্পণ করবেন তা মহান আল্লাহ ভালোভাবেই জানেন, এই অপরাধী লোকেরা অতি সত্বরই তাদের ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার জন্য মহান আল্লাহ্র নিকট লাঞ্ছনা ও কঠিন শাস্তি প্রাপ্ত হবে। (৬ নং সূরা আন ‘আম, আয়াত নং ১২৪) অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
﴿قُلْ سُبْحَانَ رَبِّیْ هَلْ كُنْتُ اِلَّا بَشَرًا رَّسُوْلًا﴾
বলোঃ পবিত্র মহান আমার রাব্ব! আমি তো শুধু একজন মানুষ, একজন রাসূল। (১৭ নং সূরা ইসরাহ, আয়াত নং ৯৩)
অন্যত্র মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ
﴿وَ قَالَ الَّذِیْنَ لَا یَرْجُوْنَ لِقَآءَنَا لَوْ لَاۤ اُنْزِلَ عَلَیْنَا الْمَلٰٓىِٕكَةُ اَوْ نَرٰى رَبَّنَا﴾
যারা আমার সাক্ষাৎ কামনা করে না তারা বলেঃ আমাদের নিকট ফিরিশতা অবতীর্ণ করা হয় না কেন? অথবা আমরা আমাদের রাব্বকে প্রত্যক্ষ করি না কেন? (২৫ নং সূরা ফুরকান, আয়াত নং ২১) অন্যত্র বর্ণিত আছেঃ ﴿بَلْ یُرِیْدُ كُلُّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ اَنْ یُّؤْتٰى صُحُفًا مُّنَشَّرَةً﴾
বস্তুত তাদের প্রত্যেকেই কামনা করে যে, তাকে একটি উন্মুক্ত গ্রন্থ দেয়া হোক। (৭৪ নং সূরা মুদ্দাস্সির, আয়াত নং ৫২) এসব আয়াত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করছে যে, ‘আরবের মুশরিকরা শুধুমাত্র অহঙ্কার ও অবাধ্যতার বশবর্তী হয়েই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসব জিনিস চেয়েছিলো। এভাবে এ দাবীও মুশরিকদেরই ছিলো। তাদের পূর্বে আহলে কিতাবও এরকম বাজে প্রার্থনা জানিয়েছিলো। যেমন ইরশাদ হচ্ছেঃ
﴿یَسْـَٔلُكَ اَهْلُ الْكِتٰبِ اَنْ تُنَزِّلَ عَلَیْهِمْ كِتٰبًا مِّنَ السَّمَآءِ فَقَدْ سَاَلُوْا مُوْسٰۤى اَكْبَرَ مِنْ ذٰلِكَ فَقَالُوْۤا اَرِنَا اللّٰهَ جَهْرَةً ﴾
আহলে কিতাব তোমার নিকট আবেদন জানায় যে, তুমি তাদের প্রতি আকাশ হতে কোন গ্রন্থ নাযিল করো, উপরন্ত তারা মূসার নিকট এটা অপেক্ষাও বৃহত্তর দাবী করেছিলো। তারা বলেছিলো, মহান আল্লাহকে প্রকাশ্যভাবে প্রদর্শন করো। (৪ নং সূরা নিসা, আয়াত নং ১৫৩)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরো বলেনঃ ﴿وَ اِذْ قُلْتُمْ یٰمُوْسٰى لَنْ نُّؤْمِنَ لَكَ حَتّٰى نَرَى اللّٰهَ جَهْرَةً ﴾
আর যখন তোমরা বলেছিলেঃ হে মূসা! আমরা মহান আল্লাহকে প্রকাশ্যভাবে প্রদর্শন না করা পর্যন্ত তোমাকে বিশ্বাস করবো না। (২ নং সূরা বাকারাহ, আয়াত নং ৫৫) অপর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেনঃ
﴿كَذٰلِكَ مَاۤ اَتَى الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ مِّنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا قَالُوْا سَاحِرٌ اَوْ مَجْنُوْنٌۚ۵۲ اَتَوَاصَوْا بِهٖ﴾
এভাবে তাদের পূর্ববর্তীদের নিকট যখনই কোন রাসূল এসেছে, তারা বলেছেঃ তুমি তো এক যাদুকর, না হয় উম্মাদ! তারা কি একে অপরকে এই যন্ত্রনাই দিয়ে এসেছে? (৫১ সূরা যারিয়াত, আয়াত নং ৫২-৫৩)
তারপর মহান আল্লাহ বলেনঃ ﴿قَدْ بَیَّنَّا الْاٰیٰتِ لِقَوْمٍ یُّوْقِنُوْنَ﴾ ‘আমি বিশ্বাস স্থাপনকারীদের জন্য নিদর্শনাবলী বর্ণনা করেছি যেগুলো দ্বারা রাসূলের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। ঈমান আনয়নের জন্য এই নিদর্শনগুলোই যথেষ্ট। তবে যাদের অন্তরের ওপর মোহর রয়েছে তাদের জন্য কোন আয়াতই ফলদায়ক হবে না। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ
﴿اِنَّ الَّذِیْنَ حَقَّتْ عَلَیْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ لَا یُؤْمِنُوْنَۙ۹۶ وَ لَوْ جَآءَتْهُمْ كُلُّ اٰیَةٍ حَتّٰى یَرَوُا الْعَذَابَ الْاَلِیْمَ﴾
নিঃসন্দেহে, যাদের সম্বন্ধে তোমার রবের বাক্য সাব্যস্ত হয়ে গেছে, তারা কখনো ঈমান আনবে না, যদিও তাদের নিকট সমস্ত প্রমাণ পৌঁছে যায়, যে পর্যন্ত না তারা যন্ত্রনাদায়ক শাস্তির প্রত্যক্ষ করে। (১০ নং সূরা ইউনুস, আয়াত নং ৯৬-৯৭)
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings