Surah An Naba Tafseer
Tafseer of An-Naba : 31
Saheeh International
Indeed, for the righteous is attainment -
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩১-৩৬ নম্বর আয়াতের তাফসীর:
জাহান্নামীদের দুঃখ-কষ্টের কথা আলোচনা করার পর জান্নাতীদের সুখ-সাচ্ছন্দ্য ও আরাম-আয়েশের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এটাকেই রীতি বা পরস্পর বিপরীতমুখী বর্ণনা বলা হয়। অর্থাৎ কুরআনে যেখানে ঈমানের কথা বর্ণনা হয়েছে সেখানেই কুফরের কথা বর্ণনা হয়েছে। যেখানেই জাহান্নাম ও তার দুর্দশার কথা বর্ণনা হয়েছে, সেখানেই জান্নাত ও সুখ সাচ্ছন্দ্যের কথাও নিয়ে আসা হয়েছে। যারা দুনিয়াতে তাক্বওয়া অবলম্বন করে চলত তারা আখিরাতে সফলকাম হবে অর্থাৎ তারা চোখের পলকে পুলসিরাত পার হতে সক্ষম হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّآ اُخْفِیَ لَھُمْ مِّنْ قُرَّةِ اَعْیُنٍﺆ جَزَا۬ئًۭ بِمَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ)
“কেউই জানে না তাদের জন্য নয়ন জুড়োনো কী কী সামগ্রী লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের প্রতিদানস্বরূপ?” (সূরা সাজদাহ ৩২: ১৭)
হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন : আমি আমার সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য এমন জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছি যা কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শ্রবণ করেনি এবং মানুষের কল্পনায় যা কখনও আসেনি। (সহীহ বুখারী হা. ৪৭৭৯, সহীহ মুসলিম হা. ২৮২৪)
كَوَاعِبَ শব্দটি كاعب এর বহুবচন। শাব্দিক অর্থ হলো : পায়ের গিঁট বা টাখনু। টাখনু যেমন সর্বদা উঁচু থাকে, জান্নাতী নারীদের স্তনগুলো অনুরূপ সর্বদা উঁচু উঁচু থাকবে, কখনও ঝুলে পড়বে না যা তাদের রূপ ও সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ।
أَتْرَابًا অর্থ : সমবয়স্কা। অর্থাৎ জান্নাতীরা যে সব হুর পাবে তারা হবে সমবয়স্কা। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: জান্নাতী নারীদের বয়স হবে ৩০ বা ৩৩ বছর। (তিরমিযী হা. ২৫৪৫, হাসান) আয়িশাহ (রাঃ) বলেন : একদিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বাড়িতে প্রবেশ করলেন। তখন এক বৃদ্ধা আমার নিকটে বসা ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন ইনি কে? আমি বললাম : উনি সম্পর্কে আমার খালা। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন : কোন বৃদ্ধা মহিলা জান্নাতে যাবে না। এ কথা শুনে বৃদ্ধা মহিলাটি কাঁদতে লাগলেন। আয়িশাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) -কে এ খবর জানালে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন : ঐ সময় সকল নর-নারী যুবক যুবতী হয়ে থাকবে। (তিরমিযী হা. ২৫৩৯, হাসান)
دِهَاقًا অর্থ: পরিপূর্ণ। অর্থাৎ জান্নাতে শরাবে পরিপূর্ণ পেয়ালা পরিবেশন করা হবে।
(لَغْوًا وَّلَا كِذَّابًا)
অর্থাৎ কোন অসার ও অশ্লীল কথাবার্তা সেখানে শুনবে না। বরং সেখানে থাকবে সালাম আর সালাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَا يَسْمَعُوْنَ فِيْهَا لَغْوًا وَّلَا تَأْثِيْمًا إِلَّا قِيْلًا سَلَامًا سَلَامًا)
“তারা শুনবে না কোন অসার অথবা পাপ বাক্য। ‘সালাম’ আর ‘সালাম’ বাণী ব্যতীত।” (সূরা ওয়াকিয়াহ ৫৬: ২৫-২৬) এ সম্পর্র্কে সূরা ওয়াকিয়াতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
(جَزَا۬ءً مِّنْ رَّبِّكَ)
এ সব তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আমলের প্রতিদান। অতএব যারা সৎ আমল করবে তাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা আখিরাতে নেয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন। তাই আমাদের সৎ আমলের দিকে অগ্রগামী হওয়া উচিত।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. তাক্বওয়ার ফযীলত জানতে পারলাম।
২. মুত্তাকীদের জন্য জান্নাতে যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে তা জানতে পারলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings