Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 127
Saheeh International
For them will be the Home of Peace with their Lord. And He will be their protecting friend because of what they used to do.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১২৫-১২৭ নং আয়াতের তাফসীর:
সঠিক পথের হিদায়াতের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। তিনি যাকে হিদায়াত দেয়ার ইচ্ছা করেন তার বক্ষকে তিনি ইসলামের জন্য প্রশস্ত করে দেন। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَفَمَنْ شَرَحَ اللّٰهُ صَدْرَه۫ لِلْإِسْلَامِ فَهُوَ عَلٰي نُوْرٍ مِّنْ رَّبِّه۪ ط فَوَيْلٌ لِّلْقٰسِيَةِ قُلُوْبُهُمْ مِّنْ ذِكْرِ اللّٰهِ ط أُولٰ۬ئِكَ فِيْ ضَلَالٍ مُّبِيْنٍ )
“আল্লাহ যার বক্ষকে ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করেছেন, সে তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আগত আলোয় রয়েছে, (সে কি তার সমান যে এরূপ নয়?) দুর্ভোগ তাদের জন্য যাদের কঠোর হৃদয় আল্লাহর স্মরণ হতে বিমুখ। তারা রয়েছে প্রকাশ্য গুমরাহীতে।”(সূরা যুমার ৩৯:২২)
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: এর অর্থ হল তাওহীদ ও তার প্রতি ঈমান আনার জন্য অন্তরকে প্রশস্তকরণ। (ইবনে কাসীর, ৩/৩৭৫)
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে আল্লাহ তা‘আলা অন্তরকে প্রশস্ত করে দেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: একটি আলো অন্তরে দিয়ে দেয়া হয়। ফলে অন্তর খুলে যায় ও (ইসলাম গ্রহণের জন্য) প্রশস্ত হয়ে পড়ে।
পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হল, এর কি কোন আলামত আছে যে তা বুঝা যাবে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সে পরকালের প্রতি ঝুঁকে পড়বে, দুনিয়ার প্রতি তার অনাসক্তি থাকবে এবং মৃত্যু আসার পূর্বেই তার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকবে। (আযউয়াউল বায়ান, ইবনে কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা যে ব্যক্তির কল্যাণ চান তাকে দীনের জ্ঞান অর্জন করার তৌফিক দান করেন। (সহীহ বুখারী হা: ৭১, সহীহ মুসলিম হা: ১০৩৭)
এর প্রমাণ দুনিয়াতে অনেক রয়েছে। কত বড় বড় ইসলামের দুশমন ইসলাম গ্রহণ করেছে। তাই সাহাবীদের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاعْلَمُوْٓا اَنَّ فِیْکُمْ رَسُوْلَ اللہِﺚ لَوْ یُطِیْعُکُمْ فِیْ کَثِیْرٍ مِّنَ الْاَمْرِ لَعَنِتُّمْ وَلٰکِنَّ اللہَ حَبَّبَ اِلَیْکُمُ الْاِیْمَانَ وَزَیَّنَھ۫ فِیْ قُلُوْبِکُمْ وَکَرَّھَ اِلَیْکُمُ الْکُفْرَ وَالْفُسُوْقَ وَالْعِصْیَانَﺚ اُولٰ۬ئِکَ ھُمُ الرّٰشِدُوْنَﭖﺫ)
“জেনে রেখ! তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রাসূল বিদ্যমান আছেন। যদি তিনি বেশির ভাগ বিষয়ে তোমাদের কথা মেনে নেন, তাহলে তোমরা নিজেরাই মুশকিলে পড়ে যাবে; কিন্তু আল্লাহ তোমাদের নিকট ঈমানকে প্রিয় করে দিয়েছেন এবং তা তোমাদের জন্য হৃদয়গ্রাহীও করেছেন। আর কুফরী, ফাসেকী ও নাফরমানীর প্রতি তোমাদের অন্তরে ঘৃণা সৃষ্টি করেছেন। এরাই সৎ পথপ্রাপ্ত।”(সূরা হুজুরাত ৪৯:৭)
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা পথভ্রষ্ট করতে চান তার অন্তরকে ইসলামের জন্য সংকীর্ণ করে দেন। ইসলামের প্রতি তার খারাপ মনোভাব চলে আসে। আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতে তারই উদাহরণ তুলে ধরেছেন।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা পথভ্রষ্টদের তরীকা উল্লেখ করার পর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর যা অবতীর্ণ করেছেন সে ব্যাপারে সতর্ক করছেন যে, এটাই সঠিক দীন, সঠিক পথ।
যারা এ সঠিক পথের অনুসারী হবে তাদের জন্য রয়েছে “দারুস সালাম” নামক জান্নাত। এটা তাদের কর্মের ফলাফল। তাই আমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে হিদায়াত কামনা করব। তিনি হিদায়াত দিলে পথভ্রষ্ট করার কেউ নেই।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. إرادة الله বা “আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছা করা” এ গুণ আল্লাহ তা‘আলার রয়েছে বলে প্রমাণিত হল।
২. হিদায়াত দেয়ার একমাত্র মালিক আল্লাহ তা‘আলা, দ্বিতীয় কেউ নয়।
৩. সঠিক পথের অনুসারীদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings