Surah Al Mujadila Tafseer
Tafseer of Al-Mujadila : 1
Saheeh International
Certainly has Allah heard the speech of the one who argues with you, [O Muhammad], concerning her husband and directs her complaint to Allah . And Allah hears your dialogue; indeed, Allah is Hearing and Seeing.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্যে যাঁর শ্রবণশক্তি সমস্ত শব্দকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। এই বাদানুবাদকারিণী মহিলাটি এসে নবী (সঃ)-এর সাথে এতো চুপে চুপে কথা বলতে শুরু করে যে, আমি ঐ ঘরেই থাকা সত্ত্বেও মোটেই শুনতে পাইনি যে, সে কি বলছে! কিন্তু আল্লাহ্ তা'আলা ঐ গুপ্ত কথাও শুনে নেন এবং এই আয়াত অবতীর্ণ করেন।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ), ইমাম বুখারী (রঃ), ইমাম নাসাঈ (রঃ), ইমাম ইবনে
মাজাহ (রঃ), ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ) এবং ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমে হাদীসটি নিম্নরূপে বর্ণিত আছেঃ
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ “আল্লাহ্ কল্যাণময় যিনি উঁচু-নীচু সব শব্দই শুনেন। এই অভিযোগকারিণী মহিলাটি ছিল হযরত খাওলা বিনতে সা’লাবাহ (রাঃ)। যখন সে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-এর নিকট হাযির হয় তখন এতো ফিসফিস করে কথা বলে যে, তার কোন কোন শব্দ আমার কানে আসছিল বটে, কিন্তু অধিকাংশ কথাই আমার কানেও পৌছেনি। অথচ আমি ঐ ঘরেই বিদ্যমান ছিলাম। সে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমার যৌবন তো তার সাথেই কেটেছে। এখন আমি বুড়ি হয়ে গেছি এবং আমার সন্তান জন্মদানের যোগ্যতা লোপ পেয়েছে, এমতাবস্থায় আমার স্বামী আমার সাথে যিহার [যাহেলী যুগে আরব সমাজে যদি কোন লোক তার স্ত্রীকে (আরবী) (তুমি আমার জন্যে আমার মাতার পৃষ্ঠ সদৃশ) এ কথা বলতো তাহলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে
যেতো। এভাবে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করাকে যিহার বলে] করেছে। হে আল্লাহ! আমি আপনার সামনে দুঃখের কান্না কাঁদছি।” তখনো মহিলাটি ঘর হতে বের হয়নি ইতিমধ্যেই হযরত জিবরাঈল (আঃ) আয়াত নিয়ে অবতীর্ণ হন। তার স্বামীর নাম ছিল হযরত আউস ইবনে সামিত (রাঃ)।
কখনো কখনো তার মাথা খারাপ হয়ে যেতো, ঐ সময় তিনি তাঁর স্ত্রীর সাথে যিহার করে ফেলতেন। তারপর যখন জ্ঞান ফিরে আসতো তখন এমন হতেন যে, যেন কিছুই হয়নি। তার স্ত্রী রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট ফতওয়া নিতে এবং আল্লাহ্ তা'আলার নিকট আবেদন জানাতে আসলে আল্লাহ্ তা'আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন।
হযরত যায়েদ (রাঃ) বলেন যে, হযরত উমার (রাঃ) তাঁর খিলাফতের আমলে লোকদের সাথে পথ চলছিলেন, পথে একটি মহিলার সাথে সাক্ষাৎ হয়। মহিলাটি তাকে ডেকে থামতে বলে। হযরত উমার (রাঃ) তৎক্ষণাৎ থেমে যান এবং মহিলাটির কাছে গিয়ে আদব ও মনোযোগের সাথে মাথা ঝুঁকিয়ে দিয়ে তার কথা শুনতে থাকেন। নিজের ফরমায়েশ মুতাবেক কাজ করিয়ে নিয়ে মহিলাটি ফিরে যায় এবং হযরত উমার (রাঃ) তার লোকদের কাছে ফিরে আসেন। তখন একটি লোক বলে ওঠেঃ “হে আমীরুল মুমিনীন! একটি বৃদ্ধা মহিলার কথায় আপনি থেমে গেলেন এবং আপনার কারণে এতোগুলো লোককে এতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে হলো।” একথা শুনে হযরত উমার (রাঃ) বললেনঃ “আফসোস! এই মহিলাটি কে তা কি তুমি জান?” উত্তরে লোকটি বলেঃ “জ্বী, না। তখন তিনি বলেনঃ “ইনি ঐ মহিলা যার আবেদন আল্লাহ্ তা'আলা সপ্তম আকাশের উপর হতে শুনেন। ইনি হলেন হযরত খাওলা বিনতে সা'লাবাহ (রাঃ)। যদি তিনি আজ সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত, এমনকি কিছু রাত্রি পর্যন্তও কথা বলতে থাকতেন তবুও আমি তার খিদমত হতে সরতাম না। হ্যাঁ, তবে নামাযের সময় নামায আদায় করতাম এবং তারপর আজ্ঞাবহ রূপে তাঁর খিদমতে হাযির হয়ে যেতাম।” (এ হাদীসটির সনদ ছেদকাটা। তবে অন্য ধারাতেও এটা বর্ণিত আছে)
অন্য একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, মহিলাটি ছিলেন খাওলা বিনতে সামিত (রাঃ) এবং তাঁর মাতার নাম ছিল মুআযাহ্ (রাঃ), যার ব্যাপারে (আরবী) (২৪:৩৩) এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছিল। কিন্তু সঠিক কথা এটাই যে, মহিলাটি ছিলেন আউস ইবনে সামিত (রাঃ)-এর স্ত্রী খাওলা (রাঃ)।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings