Surah Al Hadid Tafseer
Tafseer of Al-Hadid : 6
Saheeh International
He causes the night to enter the day and causes the day to enter the night, and he is Knowing of that within the breasts.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪-৬ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আল্লাহ তা‘আলা সাত আকাশ ও জমিনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। কবে সৃষ্টি শুরু করেছেন তা নিয়ে ইমাম ইবনু জারীর (রহঃ) তিনটি মত বর্ণনা করেছেন- (১) তাওরাতধারীরা বলে : রবিবারে সৃষ্টির কাজ শুরু করা হয়েছে, (২) ইঞ্জিলধারীরা বলে : সোমবারে শুরু করা হয়েছে। (৩) আর আমরা মুসলিমরা বলি আল্লাহ তা‘আলা শনিবার সৃষ্টির কাজ শুরু করেছেন। কাজ শেষ করেছেন শুক্রবারে। কারণ শনিবারের ব্যাপারে হাদীস রয়েছে। (সহীহ মুসলিম হা. ৭২৩১) এ ছয়দিনের চারদিনে জমিন সৃষ্টি করেছেন। বাকি দুদিনে আকাশ সৃষ্টি করেছেন। (সূরা হা-মীম সিজদাহ ৪১ : ৯-১২) তবে শনিবার সৃষ্টির সূচনা করলে সাতদিন হচ্ছে। তাই আয়াতে উল্লিখিত ছয়দিনের সাথে সামঞ্জস্য হচ্ছে না। এ সম্পর্কে সূরা আ‘রাফের ৫৪ নম্বর আয়াতের তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে।
(ثُمَّ اسْتَوٰی عَلَی الْعَرْشِ)
এর মমার্থ সূরা আ‘রাফের ৫৪ নম্বর আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে।
(يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْأَرْض)
অর্থাৎ জমিনে যা কিছু প্রবেশ করে যেমন বৃষ্টির ফোঁটা, বীজ ও মানুষের মরদেহ ইত্যাদি এবং জমিন থেকে যা কিছু বের হয় সব কিছু আল্লাহ তা‘আলা জানেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন : “সকল গায়েবের চাবিকাঠি তাঁরই নিকট রয়েছে, তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তা জানে না। জলে ও স্থলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত, তাঁর অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও পড়ে না। মাটির অন্ধকারে এমন কোন শস্যকণাও অঙ্কুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক এমন কোন বস্তু নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে (লাওহে মাহফূজে) নেই।” (সূরা আনআম ৬ : ৫৯)
(وَمَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَا۬ءِ)
অর্থাৎ আকাশ থেকে যা অবতীর্ণ হয় যেমন বৃষ্টি, বরকত, ভাগ্য ও সে সব বিধানাবলী যা ফেরেশতাগণ নিয়ে অবতরণ করে।
(وَمَا يَعْرُجُ فِيْهَا)
আকাশে যা উত্থিত হয় যেমন ফেরেশতা ও মানুষের আমল ইত্যদি। হাদীসে এসেছে : রাতের আমল দিনের পূর্বে এবং দিনের আমল রাতের পূর্বে আল্লাহ তা‘আলার নিকট উঠে যায়। (সহীহ মুসলিম হা. ৫০)
(وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتم)
অর্থাৎ তাঁর জ্ঞান, দর্শন ও শ্রবণ ইত্যাদি দ্বারা প্রত্যেকের সাথে রয়েছেন। এর অর্থ এই নয়, তিনি স্বসত্তায় সবার নিকটে রয়েছেন। বরং তিনি স্বসত্তায় আরশের ওপর, আর তাঁর জ্ঞান, দর্শন ও শ্রবণ দ্বারা প্রত্যেকের সাথে রয়েছেন। সব কিছু দেখছেন, শুনছেন এবং জানেন, যেন তিনি সব গুণের দ্বারা সবার সাথেই রয়েছেন। যেমন অত্র আয়াতের শেষাংশে আল্লাহ তা‘আলা বলেন : তোমরা যা কিছু কর তা তিনি প্রত্যক্ষ করছেন। তাই মানুষের কর্ম ও অবস্থা জানার জন্য আল্লাহ তা‘আলা স্বসত্তায় বান্দার সাথে থাকা হতে অমুখাপেক্ষী। আল্লাহ তা‘আলা আরশে রয়েছেন এ কথা যেমন কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত তেমনি তিনি সবার সাথে রয়েছেন এ কথাও প্রমাণিত। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার এ সকল গুণকে অস্বীকার করা ও অপব্যাখ্যা করার কোন সুযোগ নেই। সূরা মায়িদাহর ১২ নম্বর আয়াতে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং সূরা মুজাদালাহর ৭ নম্বর আয়াতেও আলোচনা আসবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আকাশ-জমিন সৃষ্টির সার্বিক তত্ত্ব জানলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলা আরশের ওপর থেকেই তাঁর জ্ঞান, দর্শন ও শ্রবণ দ্বারা প্রত্যেকের সাথে রয়েছেন।
৩. আল্লাহ তা‘আলা অন্তরযামী।
৪. আকাশ ও জমিনের সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings