Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 21
Saheeh International
And how could you take it while you have gone in unto each other and they have taken from you a solemn covenant?
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৯ হতে ২১ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: ইসলামের প্রাথমিক যুগে কোন লোক মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীগণ মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর পূর্ণ দাবীদার মনে করত। তারা ইচ্ছে করলে তাকে নিজেরাই বিবাহ করে নিত। ইচ্ছে করলে অন্যের সাথে বিবাহ দিয়ে দিত, আবার ইচ্ছে করলে বিয়েই দিত না। তারাই স্ত্রীলোকটির আত্মীয়-স্বজন থেকে বেশি হকদারের দাবী করত। তখন এ আয়াত নাযিল হয়
(يَآأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَرِثُوا النِّسَا۬ءَ كَرْهًا)
(সহীহ বুখারী হা: ৪৫৭৯) এছাড়াও আরো নির্ভরযোগ্য শানে নুযূল রয়েছে। (লুবানুল নুকূল ফী আসবাবে নুযূল, পৃঃ ৭৮)
(وَلَا تَعْضُلُوْهُنَّ)
‘তাদেরকে বন্দি করে রেখ না’ এটি ছিল স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর প্রতি অন্যতম আরো একটি জুলুম। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, যদি কোন লোকের অপছন্দনীয় স্ত্রী থাকত তাহলে তার সাথে স্বামী অশালীন আচরণ করত, জীবন যাপনে সংকীর্ণতা সৃষ্টি করত যাতে সে তার স্বামীর প্রদত্ত মাহরানা ফিরিয়ে দিয়ে চলে যায়। (ইবনে কাসীর, ২/২৬৭, অত্র আয়াতের তাফসীর)
ইসলাম এরূপ আচরণ হারাম করেছে। কারো প্রয়োজন না থাকলে কিম্বা উভয়ের মাঝে সমন্নয় সম্ভব না হলে ভালভাবে তালাক দিয়ে দেবে।
(بِفَاحِشَةٍ مُّبَیِّنَةٍ)
‘তারা যদি প্রকাশ্যে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়’ ইবনু আব্বাস (রাঃ), হাসান বসরীসহ প্রমুখ মুফাসসীরগণ বলেন, প্রকাশ্য অশ্লীলতা হল ব্যভিচার। যদি স্ত্রী ব্যভিচার করে তাহলে স্বামীর বৈধতা রয়েছে সে তার প্রতি সংকীর্ণতা সৃষ্টি করে তার প্রদত্ত মাহর ফিরিয়ে নেবে। তারপর সে মহিলা খোলা তালাক দিয়ে চলে যাবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা সূরা বাকারার ২২৯ নং আয়াতে বলেছেন।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা পুরুষদেরকে তাদের স্ত্রীদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِأَهْلِهِ وَأَنَا خَيْرُكُمْ لِأَهْلِي
তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যে তার পরিবারের নিকট সর্বোত্তম। আমি আমার পরিবারের নিকট উত্তম। (তিরমিযী হা: ৩৮৯৫, ইবনু হিব্বান হা: ১৩১২, সহীহ)
স্ত্রীদের কোন দিক দিয়ে ত্র“টি থাকলেও অন্যদিক দিয়ে তাদের মধ্যে অনেক কল্যাণ নিহিত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
لاَ يَفْرَكْ مُؤْمِنٌ مُؤْمِنَةً إِنْ كَرِهَ مِنْهَا خُلُقًا رَضِيَ مِنْهَا آخَرَ
কোন মু’মিন পুরুষ মু’মিন নারীকে যেন ঘৃণা না করে। তার কোন একটি দিক খারাপ লাগলেও অন্য কোন দিকে তাকে ভাল লাগবে। (সহীহ মুসলিম হা: ১৪৬৯) তাই একজন স্বামীর উচিত সাধারণ ভুল-ত্র“টির জন্য স্ত্রীকে মারধর বা তালাক না দিয়ে বুঝানো, শিক্ষা দেয়া।
قِنْطَارًا ‘প্রচুর সম্পদ’ যদি কোন লোক স্ত্রীকে তালাক দিয়ে অন্য কোন নতুন স্ত্রী গ্রহণ করতে চায় তাহলে তার স্ত্রীকে যে প্রচুর পরিমাণ মাহরানা প্রদান করেছে তা ফেরত নেবে না। কিভাবে সে মাহরানা ফিরত নেবে অথচ তারা পরস্পর দৈহিক সম্পর্ক করেছে আর তারা তোমাদের নিকট থেকে দৃঢ় প্রতিশ্র“তি নিয়েছে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে আল্লাহ তা‘আলার আমানতে গ্রহণ করেছো আর তাদের লজ্জাস্থান আল্লাহ তা‘আলার কথায় বৈধ করে নিয়েছো। (সহীহ মুসলিম হা: ১২১৮)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কারো অধিকারে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করা হারাম।
২. অন্যায়ভাবে স্ত্রীদের ওপর সংকীর্ণতা সৃষ্টি করা হারাম।
৩. স্ত্রী যদি প্রকাশ্য কোন ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে তার থেকে মাহর ফিরিয়ে নিয়ে বিদায় করে দিতে হবে।
৪. মাহরে আধিক্যতা বৈধ।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings