Surah Al Ahqaf Tafseer
Tafseer of Al-Ahqaf : 6
Saheeh International
And when the people are gathered [that Day], they [who were invoked] will be enemies to them, and they will be deniers of their worship.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪-৬ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
যারা আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে মনগড়া মা‘বূদদেরকে সমস্যা নিরসন ও কল্যাণের আশায় আহ্বান করে তাদেরকে ভর্ৎসনার সাথে আল্লাহ প্রশ্ন করছেন : আমাকে দেখাও যে, তারা এ সুবিশাল আকাশ ও জমিনের কোন অংশ সৃষ্টি করেছে, না আল্লাহর সাথে তার সৃষ্টিতে অংশীদার হয়েছে? এ ব্যাপারে কোন প্রমাণ থাকলে নিয়ে আসো। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(قُلْ اَرَءَیْتُمْ شُرَکَا۬ءَکُمُ الَّذِیْنَ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللہِﺚ اَرُوْنِیْ مَاذَا خَلَقُوْا مِنَ الْاَرْضِ اَمْ لَھُمْ شِرْکٌ فِی السَّمٰوٰتِﺆ اَمْ اٰتَیْنٰھُمْ کِتٰبًا فَھُمْ عَلٰی بَیِّنَةٍ مِّنْھُﺆ بَلْ اِنْ یَّعِدُ الظّٰلِمُوْنَ بَعْضُھُمْ بَعْضًا اِلَّا غُرُوْرًا)
“বল, তোমরা তোমাদের শরীক যাদেরকে আল্লাহর পরিবর্তে ডাকতে তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি? আমাকে দেখাও, জমিনের কোন অংশ তারা সৃষ্টি করেছে, নাকি আসমানের সৃষ্টিতে তাদের কোন অংশিদারীত্ব আছে, অথবা আমি কি তাদেরকে এমন কোন গ্রন্থ দিয়েছি যার প্রমাণের ওপর তারা প্রতিষ্ঠিত। বরং জালিমরা একে অন্যকে শুধু প্রতারণামূলক ওয়াদা দিয়ে থাকে।” (সূরা ফাতির ৩৫ : ৪০)
সূরা সাবার ২২ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(قُلِ ادْعُوا الَّذِيْنَ زَعَمْتُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ ج لَا يَمْلِكُوْنَ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ فِي السَّمٰوٰتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ وَمَا لَهُمْ فِيْهِمَا مِنْ شِرْكٍ وَّمَا لَه۫ مِنْهُمْ مِّنْ ظَهِيْرٍ )
“বল, তোমরা তাদেরকে আহ্বান কর, যাদেরকে তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে (মা‘বূদ) মনে করতে, তারা আকাশসমূহ ও পৃথিবীর অণু পরিমাণ কিছুরও অধিকারী নয়, এতদুভয়ে তাদের কোন অংশও নেই এবং তাদের মধ্য থেকে কেউ আল্লাহর সহায়তাকারীও নয়।”
পূর্ববর্তী কোন আসমানী কিতাবের প্রমাণ না থাকলে
(أَثٰرَةٍ مِّنْ عِلْمٍ)
তথা রাসূলদের পরম্পরাগত কোন উক্তি নিয়ে আসো যে, তারা এরূপ শিরক করতে বলেছেন।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন :
( أَثٰرَةٍ مِّنْ عِلْمٍ)
হল জমিনে দাগ টানা যা আরবরা করত। (ফাতহুল বারী ৮/৫৭৬, সহীহ) মোট কথা মুশরিকরা কোন প্রকার দলীল আনতে সক্ষম হয়নি। বরং সকল আসমানী কিতাব ও নাবীগণ এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছেন, কখনো তারা শিরক করার নির্দেশ দেননি।
সুতরাং যারা কিছুই সৃষ্টি করেনি এবং আল্লাহ তা‘আলার সাথে সৃষ্টিতে শরীকও হয়নি, যারা কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের আহ্বানে সাড়া দিতে অক্ষম এমন মা‘বূদদেরকে যারা মুশকিলের আসানদাতা ও কল্যাণ বয়ে আনার জন্য আহ্বান করে তাদের চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে আছে? অতএব আমাদের জানা উচিত যারা কবরে শায়িত তাদের কাছে বিপদাপদ নিরসনের প্রস্তাব পেশ করলে এবং কল্যাণ কামনা করলে কি তারা সাড়া দিতে সক্ষম হবে? কখনো নয়, বরং তারাই তো কবরে অসহায়। মানুষের দু‘আর মুখাপেক্ষী, তাদের পক্ষ থেকে দান-সদকার মুখাপেক্ষী। তাই সকল বিপদ-আপদ ও সুখ-সাচ্ছন্দ্যে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকেই ডাকতে হবে।
(وَإِذَا حُشِرَ النَّاسُ)
‘(হাশরের ময়দানে) যখন সব মানুষকে একত্রিত করা হবে’ অর্থাৎ যখন হাশর হবে তখন কাফিররা একে অপরের শত্র“তে পরিণত হবে এবং তারা যাদের ইবাদত করত তারাও শত্র“তে পরিণত হবে ও ইবাদত অস্বীকার করবে। এর কারণ হল কাফির-মুশরিকরা তাদের মা‘বূদের ইবাদত করতো এ আশায় যে, তারা কিয়ামতের দিন তাদের উপকারে আসবে, তাদের জন্য শাফায়াত করবে। কিন্তু কিয়ামতের ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে তারা সব অস্বীকার করবে এবং বলবে আমরা তো তোমাদেরকে আমাদের ইবাদত করতে বলিনি। তবে মুমিনরা পরস্পর শত্র“তে পরিণত হবে না। কারণ তাদের সম্পর্ক ছিল আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের সাথে। এ সম্পর্কে সূরা ইউনুসের ২৯ নং আয়াতে, মারইয়ামের ৮১-৮২ নং আয়াতে, আনকাবুতের ২৫ নং আয়াতেও আলোচনা করা হয়েছে ।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
২. আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে যাকে ডাকা হচ্ছে কিয়ামতের দিন তারা কোন উপকার তো দুরের কথা আরো শত্র“ হয়ে দাঁড়াবে।
৩. যিনি সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা তিনি সকল ইবাদত পাওয়ার হকদার।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings