Surah Ash Shura Tafseer
Tafseer of Ash-Shuraa : 25
Saheeh International
And it is He who accepts repentance from his servants and pardons misdeeds, and He knows what you do.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৫-২৮ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
এখানে আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহের কথা বর্ণনা করেছেন যে, বান্দা যত বড় পাপীই হোক না কেন, যখন সে অসৎ ও পাপ কাজ হতে বিরত থাকে এবং আন্তরিকতার সাথে তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়ে ও বিশুদ্ধ অন্তরে তাওবা করে তখন তিনি স্বীয় দয়া ও করুণা দ্বারা তাকে ঢেকে নেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন।
আয়াতে তাওবা করার অর্থ হলো, পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং আগামীতে তা আর না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা। কেবল মুখে মুখে তাওবা-তাওবা করলেই তাওবা হয় না। বরং ঐ কাজকে পরিত্যাগ করতে হবে, নিজে অপরাধের জন্য লজ্জিত হতে হবে। তাহলেই আল্লাহ তা‘আলা বান্দার তাওবা কবূল করবেন। তাওবা কবুলের শর্ত সম্পর্কে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী-
(وَمَنْ يَّعْمَلْ سُوْ۬ءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَه۫ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللّٰهَ يَجِدِ اللّٰهَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا)
“যে ব্যক্তি কোন মন্দ কাজ করে অথবা নিজের প্রতি জুলুম করে পরে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে আল্লাহকে সে ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু পাবে।” (সূরা নিসা ৪ : ১১০)
শুধু আল্লাহ তা‘আলা তাওবা কবূলই করেন না বরং কোন ব্যক্তি যদি তাওবা করে তবে আল্লাহ তা‘আলা তার তাওবাতে মহা খুশি হন। হাদীসে এসেছে আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : যখন কোন বান্দা তাওবা করে তখন আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন যার উষ্ট্রীটি মরুপ্রান্তরে হারিয়ে গেছে। যার ওপর তার পানাহারের জিনিসও রয়েছে, সে নিরাশ হয়ে গেল তার সওয়ারী ফিরে পাওয়া থেকে তখন সে একটি গাছের ছায়ায় এসে বসল, এমতাবস্থায় সে দেখে যে, সওয়ারীটি তার পাশেই রয়েছে। তখন সে তার (সওয়ারী) লাগাম ধরে অধিক খুশির কারণে বলে- হে আল্লাহ তা‘আলা! তুমি আমার বান্দা আর আমি তোমার রব। (সহীহ মুসলিম হা. ২৭৪৭)
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করেন যে, যদি তিনি প্রত্যেককে সমান পরিমাণে রিযিক দান করতেন তবে তার ফলাফল এরূপ হত যে, কেউ কারো পরাধীনতা স্বীকার করত না। সবার অর্থ, সম্পদ সব কিছু সমান, কে কার কথা শুনবে, কে কার আনুগত্য করবে? ফলে জমিনে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হবে। তাই তিনি মানুষকে পরিমিতভাবে রিযিক দান করে থাকেন। যাতে করে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। যেমন আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন :
(أَهُمْ يَقْسِمُوْنَ رَحْمَتَ رَبِّكَ ط نَحْنُ قَسَمْنَا بَيْنَهُمْ مَّعِيْشَتَهُمْ فِي الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَرَفَعْنَا بَعْضَهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجٰتٍ لِّيَتَّخِذَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا سُخْرِيًّا ط وَرَحْمَتُ رَبِّكَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُوْنَ)
“তারা কি তোমার প্রতিপালকের রহমত বন্টন করে? আমিই তাদের মধ্যে জীবিকা বন্টন করি তাদের পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নীত করি যাতে একে অপরের দ্বারা খেদমত লাভ করতে পারে এবং তারা যা জমা করে তা হতে তোমার প্রতিপালকের রহমত উৎকৃষ্টতর।” (সূরা যুখরুফ ৪৩ : ৩২)
অতঃপর বলা হচ্ছে যে, বৃষ্টির ব্যাপারে মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার পর আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে বৃষ্টি দান করেন। কেননা যখন হতাশ হয়ে যাবার পর এ বৃষ্টি দান করা হয়, তখনই এ নেয়ামতের প্রতি সঠিক অনুভূতি সৃষ্টি হয়। আর মহান আল্লাহর এরূপ করার কৌশলও হলো এটাই, যাতে বান্দা আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামতের মর্যাদা বুঝতে পারে এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. একনিষ্ঠ নিয়্যাতে তাওবা করা হলে আল্লাহ তা‘আলা তা অবশ্যই কবূল করেন।
২. আল্লাহ তা‘আলা মু’মিন ব্যক্তির ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন।
৩. রিযিকদাতা, বৃষ্টিদাতা, এমনভাবে সকল কিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings