Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 10
Saheeh International
Indeed, those who disbelieve - never will their wealth or their children avail them against Allah at all. And it is they who are fuel for the Fire.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০ ও ১১ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, অস্বীকারকারীরা জাহান্নামের ইন্ধন হবে। সেদিন ঐ অত্যাচারীদের কোন ওযর-আপত্তি গ্রহণ করা হবে না। সেদিন তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহ তা‘আলার নিকট কোন উপকারে আসবে না। তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার শাস্তি থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اَیَحْسَبُوْنَ اَنَّمَا نُمِدُّھُمْ بِھ۪ مِنْ مَّالٍ وَّبَنِیْنَﮆﺫ نُسَارِعُ لَھُمْ فِی الْخَیْرٰتِﺚ بَلْ لَّا یَشْعُرُوْنَ)
“তারা কি মনে করে যে, আমি তাদেরকে ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে যে সাহায্য করে থাকি, তা দ্বারা আমি তাদের জন্য সকল প্রকার মঙ্গল ত্বরান্বিত করছি? না, তারা বুঝে না।” (সূরা মু’মিনুন ২৩:৫৫-৫৬)
আর যারা সন্তান-সন্ততি দ্বারা নাজাতের আশা করবে এবং আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করবে তারা চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اِنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَنْ تُغْنِیَ عَنْھُمْ اَمْوَالُھُمْ وَلَآ اَوْلَادُھُمْ مِّنَ اللہِ شَیْئًاﺚ وَاُولٰ۬ئِکَ اَصْحٰبُ النَّارِﺆ ھُمْ فِیْھَا خٰلِدُوْنَ)
“নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে আল্লাহর (শাস্তি থেকে রক্ষা করতে) তাদের সন্তান ও সম্পদ কখনও কোন কাজে আসবে না। আর তারা হবে জাহান্নামের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:১১৬)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(وَقَالُوْا نَحْنُ اَکْثَرُ اَمْوَالًا وَّاَوْلَادًاﺫ وَّمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِیْنَ)
“তারা বলত: আমরা ধনে-জনে সমৃদ্ধশালী; সুতরাং আমাদেরকে কিছুতেই শাস্তি দেয়া হবে না।” (সূরা সাবা ৩৪:৩৫)
তাদের ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি কোন কাজে আসবে না যেমনভাবে ফির‘আউন ও তার পূর্ববর্তী কাফিরদের ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি তাদের কোন কাজে আসেনি। আল্লাহ তা‘আলার পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন এবং তাঁর শাস্তি বড়ই বেদনাদায়ক। কেউ কোন ক্ষমতা বলে ঐ শাস্তি হতে রক্ষা পেতে পারে না এবং তা সরিয়ে দিতেও পারে না। সুতরাং যারা কুফরী করবে তাদের অবস্থাও পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের মতই হবে।
আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে কঠিন শাস্তির মাধ্যমে পাকড়াও করবেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(فَكَذَّبُوْهُ فَأَخَذَهُمْ عَذَابُ يَوْمِ الظُّلَّةِ ط إِنَّه۫ كَانَ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيْمٍ)
“অতঃপর তারা তাকে প্রত্যাখ্যান করল, পরে তাদেরকে মেঘাচ্ছন্ন দিবসের শাস্তি গ্রাস করল। এটা তো ছিল এক ভীষণ দিবসের শাস্তি!” (সূরা শুয়ারা ২৬:১৮৯)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَلَبِثَ فِيْهِمْ أَلْفَ سَنَةٍ إِلَّا خَمْسِيْنَ عَامًا ط فَأَخَذَهُمُ الطُّوْفَانُ وَهُمْ ظٰلِمُوْنَ)
“সে তাদের মধ্যে অবস্থান করেছিল পঞ্চাশ কম হাজার বছর। অতঃপর প্লাবন তাদেরকে গ্রাস করে; কারণ তারা ছিল সীমালঙ্ঘনকারী।” (সূরা আনকাবুত ২৯:১৪)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(وَفِيْ عَادٍ إِذْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيْحَ الْعَقِيْمَ)
“আর আদ সম্প্রদায়, যখন আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম অকল্যাণকর বাতাস।” (সূরা যারিয়াত ৫১:৪১)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। যারা কুফরী করে তাদের জন্য ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোন উপকারে আসবেনা।
২। যারা আল্লাহ তা‘আলার আয়াতকে অস্বীকার করে তিনি তাদেরকে কঠোর শাস্তি প্রদান করেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings