Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 9
Saheeh International
Our Lord, surely You will gather the people for a Day about which there is no doubt. Indeed, Allah does not fail in His promise."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭-৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি যে কিতাব অর্থাৎ কুরআন অবতীর্ণ করেছেন তাতে দু’ ধরণের আয়াত রয়েছে, মুহকাম ও মুতাশাবিহ। মুহকাম ও মুতাশাবিহ এর দৃষ্টিকোণ থেকে কুরআনের আয়াতগুলো তিনভাগে ভাগ করা যায়:
১. اَلْمُحْكُمُ الْعَامُ
অর্থাৎ কুরআনের শব্দ ও অর্থ সব কিছু বলিষ্ঠ, মজবুত ও উৎকৃষ্ট। ভাষা অলংকারে কুরআন সবার ঊর্ধ্বে, তার সকল সংবাদ সত্য ও উপকারী। এতে মিথ্যা, অনর্থক ও কোন প্রকার বৈপরিত্য নেই। তার সকল বিধান ন্যায়সঙ্গত ও হিকমতপূর্ণ, কোনরূপ জুলুম ও অবোধগম্যতা নেই। এ দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণ কুরআন মুহকাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(كِتٰبٌ أُحْكِمَتْ اٰيٰتُه۫ ثُمَّ فُصِّلَتْ مِنْ لَّدُنْ حَكِيْمٍ خَبِيْر)
“এটা এমন গ্রন্থ যার আয়াতগুলো সুদৃঢ়, অতঃপর বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞের পক্ষ থেকে।” (সূরা হুদ ১১:১)
২. اَلْمُتَشَابِهُ الْعَامُ অর্থাৎ সম্পূর্ণ কুরআন এক অংশ অন্য অংশের সাথে পূর্ণতা, দৃঢ়তা ও প্রশংসনীয় উদ্দেশ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اَللہُ نَزَّلَ اَحْسَنَ الْحَدِیْثِ کِتٰبًا مُّتَشَابِھًا مَّثَانِیَ تَقْشَعِرُّ مِنْھُ جُلُوْدُ الَّذِیْنَ یَخْشَوْنَ رَبَّھُمْﺆ ثُمَّ تَلِیْنُ جُلُوْدُھُمْ وَقُلُوْبُھُمْ اِلٰی ذِکْرِ اللہِﺚ ذٰلِکَ ھُدَی اللہِ یَھْدِیْ بِھ۪ مَنْ یَّشَا۬ئُﺚ وَمَنْ یُّضْلِلِ اللہُ فَمَا لَھ۫ مِنْ ھَادٍ)
“আল্লাহ অতি উত্তম বাণী নাযিল করেছেন, তা এমন কিতাব যা সুসামঞ্জস্য, বার বার তেলাওয়াত করা হয়। এতে তাদের দেহ রোমাঞ্চিত হয় যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, অতঃপর তাদের দেহ ও তাদের অন্তর বিনম্র হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে। এটাই আল্লাহর হিদায়াত, এর দ্বারা তিনি যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।” (সূরা যুমার ৩৯:২৩)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اَفَلَا یَتَدَبَّرُوْنَ الْقُرْاٰنَﺚ وَلَوْ کَانَ مِنْ عِنْدِ غَیْرِ اللہِ لَوَجَدُوْا فِیْھِ اخْتِلَافًا کَثِیْرًا)
“তবে কি তারা কুরআন অনুধাবন করে না? এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নিকট হতে আসত তবে তারা তাতে অবশ্যই অনেক অসঙ্গতি পেত।” (সূরা নিসা ৪:৮২)
৩. المحكم الخاص ببعضه
এ প্রকার মুহকাম অর্থ হল আয়াতের অর্থ সুস্পষ্ট ও পরিষ্কার, কোন অস্পষ্টতা নেই। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوْا رَبَّكُمُ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ وَالَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ)
“হে মানব মণ্ডলী! তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত কর যিনি তোমাদেরকে ও তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন যেন তোমরা তাক্বওয়া অবলম্বনকারী হও।” (সূরা বাকারাহ ২:২১) এরূপ উদাহরণ অনেক।
المتشابه الخاص ببعضه
এ প্রকার মুতাশাবিহ অর্থ হল- আয়াতের অর্থ দ্ব্যর্থবোধক ও অস্পষ্ট। এ আয়াতগুলো থেকে কোন ব্যক্তি এমন কিছু ধারণা করতে পারে যা আল্লাহ তা‘আলা বা তাঁর কিতাব অথবা তাঁর রাসূলের সাথে উপযোগী নয়। যারা গভীর জ্ঞানের অধিকারী তারা সেগুলোর মর্ম অনেক ক্ষেত্রে অনুধাবন করতে পারে।
আল্লাহ তা‘আলার সাথে সম্পৃক্ত, যেমন কোন ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার এ কথা থেকে ধারণা করতে পারে-
(بَلْ يَدَاهُ مَبْسُوْطَتٰنِ)
“বরং আল্লাহর উভয় হাতই প্রসারিত।” (সূরা মায়িদাহ ৫:৬৪)
আল্লাহ তা‘আলার দু’হাত মানুষের হাতের মত। মূলতঃ এমন ধারণা সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তা‘আলার দু’টি হাত রয়েছে কিন্তু মানুষের হাতের মত নয়; বরং তাঁর জন্য যেমন শোভা পায় ও হওয়া উচিত তেমনই। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَيْسَ كَمِثْلِه۪ شَيْءٌ ﺆ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْبَصِيْرُ)
“কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” (সূরা শুরা ৪২:১১)
আল্লাহ তা‘আলার কিতাবের সাথে সম্পৃক্ত, যেমন কোন ব্যক্তি ধারণা করতে পারে যে, কুরআনের এক আয়াত অন্য আয়াতের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক ও এক আয়াত অন্য আয়াতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَآ اَصَابَکَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ اللہِﺑ وَمَآ اَصَابَکَ مِنْ سَیِّئَةٍ فَمِنْ نَّفْسِکَ)
“তোমার যা কল্যাণ হয় তা আল্লাহর নিকট হতে এবং তোমার যা অকল্যাণ হয় তা তোমার নিজের কারণে।” (সূরা নিসা ৪:৭৯) আল্লাহ অন্যত্র বলেন:
(وَاِنْ تُصِبْھُمْ حَسَنَةٌ یَّقُوْلُوْا ھٰذِھ۪ مِنْ عِنْدِ اللہِ)
“যদি তাদের কোন কল্যাণ হয় তবে তারা বলে ‘এটা আল্লাহর নিকট হতে।’ (সূরা নিসা ৪:৭৮)
এ আয়াতদ্বয় থেকে অনেকে ধারণা করতে পারে যে, কল্যাণ আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে আসে আর অকল্যাণ মানুষের পক্ষ থেকে আসে। মূলতঃ তা নয়, বরং কল্যাণ ও অকল্যাণ উভয়ই আল্লাহ তা‘আলার নির্ধারিত তাকদীর। কিন্তু কল্যাণ বান্দার প্রতি আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ। অকল্যাণ আল্লাহ তা‘আলাই দিয়ে থাকেন কিন্তু তা বান্দার কর্মের কারণে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَآ أَصَابَكُمْ مِّنْ مُّصِيْبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيْكُمْ وَيَعْفُوْا عَنْ كَثِيْرٍ)
“তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদেরই হাতের কামাইয়ের ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন।” (সূরা শুরা ৪২:৩০)
রাসূলের সাথে সম্পৃক্ত, যেমন কেউ আল্লাহ তা‘আলার এ কথা থেকে ধারণা করতে পারে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি সন্দেহে ছিলেন।
(فَإِنْ كُنْتَ فِيْ شَكٍّ مِّمَّآ أَنْزَلْنَآ إِلَيْكَ فَسْأَلِ الَّذِيْنَ يَقْرَأُوْنَ الْكِتٰبَ مِنْ قَبْلِكَ)
“আমি তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি তাতে যদি তুমি সন্দেহ করে থাক তবে তোমার পূর্বের কিতাব যারা পাঠ করে তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর; (সূরা ইউনুস ১০:৯৪) মূলত নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি সন্দেহ করেননি, বরং তিনি কুরআন সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি দৃঢ় বিশ্বাসী ছিলেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ إِنْ كُنْتُمْ فِيْ شَكٍّ مِّنْ دِيْنِيْ فَلَآ أَعْبُدُ الَّذِيْنَ تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ)
“বল: ‘হে মানুষ! তোমরা যদি আমার দীনের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ কর তবে জেনে রাখ, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের ‘ইবাদত কর আমি তাদের ‘ইবাদত করি না।” (সূরা ইউনুস ১০:১০৪) অর্থাৎ তোমরা যদি আমার দীনের ব্যাপারে সন্দেহ কর তাহলে জেনে রেখ! আমি আমার দীনের ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাসী। এ জন্য আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া তোমরা যাদের ইবাদত কর আমি তাদের ইবাদত করি না; বরং তাদের সাথে কুফরী করি এবং একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করি। (শরহু মুকাদ্দামাহ ফী উসূলুত তাফসীর: ২৩৬-২৪৩ পৃ:)
محكمات মুহকামাত আয়াতগুলোই হল কুরআনের মূল বিষয়। কারণ এ আয়াতগুলো বুঝার জন্য কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয় না। আর
متشابهات
মুতাশাবিহাত আয়াতগুলো এ রকম নয়। অতএব যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, যারা চায় আল্লাহ তা‘আলার দীনকে পরিবর্তন করতে এবং মানুষকে গোমরাহ করতে, তারা এ সমস্ত আয়াত নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করে এবং বক্রতার দিকগুলো খুঁজে বের করে, যাতে তারা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারে এবং তাদের বাতিল কথার স্বপক্ষে এ দলীল পেশ করে তাদের ভ্রান্ত মতবাদ সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
অথচ এ সমস্ত আয়াতের ব্যাখ্যা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই জানেন, অন্য কেউ নয়। আর যারা গভীর জ্ঞানের অধিকারী তারা এগুলোর ওপর বিশ্বাস রাখেন। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত যারা গভীর জ্ঞানের অধিকারী তারাও ঐ সমস্ত আয়াতের ব্যাখ্যা জানে না; বরং তারা বিশ্বাস রাখার সাথে সাথে এ কথাও বলে যে, সকল কিছুই মহান আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কারো পক্ষে এ সমস্ত আয়াতের ব্যাখ্যা জানা সম্ভব নয়। আর যারা এ সমস্ত আয়াত নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে এবং তারা এর দ্বারা পথভ্রষ্ট হয় ও অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ট করতে চায়।
এ সম্পর্কে সহীহ হাদীসে বলা হয়েছে, আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
(أُولُوا الْأَلْبَابِ.......... هُوَ الَّذِيْٓ أَنْزَلَ)
আয়াতটি পাঠ করলেন। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণা করেছেন যে, যারা মুতাশাবিহাত আয়াতের পেছনে ছুটে তাদের যখন তুমি দেখবে তখন মনে করবে যে, তাদের কথাই আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে বলেছেন। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সাবধান থাকবে। (সহীহ বুখারী হা: ৪৬৪৭, সহীহ মুসলিম হা: ২৬৬৫)
(رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا)
“হে আমাদের রব! হিদায়াত দানের পর আমাদের অন্তরকে বক্র করে দেবেন না।” এটি একটি দু‘আ যা মু’মিনরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে প্রার্থনা করে বলে যে, আল্লাহ তা‘আলা হিদায়াত দান করার পর যেন পুনরায় তাদেরকে গুমরাহ না করেন। তাদেরকে যেন হক থেকে বাতিলের দিকে আবার ফিরিয়ে না দেন। আর এর দ্বারা যেন আল্লাহ তা‘আলা তাদের অবস্থা ও আমল আখলাককে সুন্দর ও শুদ্ধ করে দেন। তাদেরকে যেন সরল-সোজা পথে, সুদৃঢ় ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখেন এবং তাদের অন্তর থেকে যেন বক্রতা দূর করে দেন। যেমন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
يا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلٰي دِيْنِكَ
হে অন্তরের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার দীনে প্রতিষ্ঠিত রাখুন। (তিরমিযী হা: ২১৪০, সহীহ)
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(رَبَّنَآ إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ)
এখানে আল্লাহ তা‘আলা সকল মানুষকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তিনি একদিন তাদেরকে মৃত্যুর পর আবার সমবেত করবেন। তাদেরকে পুনরায় জীবিত করবেন, তাদের কাজের প্রতিদান দেবেন। প্রত্যেকে যে কাজ করবে সে তা-ই পাবে। কাউকে বিন্দু পরিমাণ কম-বেশি দেয়া হবে না। এ ওয়াদা তিনি বাস্তবায়িত করবেন এবং সকলের মাঝে মীমাংসা করে দেবেন। ঐ দিনের আগমনের এবং আল্লাহ তা‘আলার অঙ্গীকার- এর ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। একদিন তা বাস্তবায়িত হবেই।
যেমন আল্লাহ তা‘আলা অন্য সূরায় বলেন:
(اَللہُ لَآ اِلٰھَ اِلَّا ھُوَﺚ لَیَجْمَعَنَّکُمْ اِلٰی یَوْمِ الْقِیٰمَةِ لَا رَیْبَ فِیْھِ)
“আল্লাহ, তিনি ব্যতীত অন্য কোন মা‘বূদ নেই, তিনি তোমাদেরকে কিয়ামাতের দিন একত্র করবেনই, এতে কোন সন্দেহ নেই।” (সূরা নিসা ৪:৮৭)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কুরআনে মুহকাম ও মুতাশাবিহ দু’ধরণের আয়াতই রয়েছে। মুহকাম আয়াতের ওপর ঈমান আনা ও আমল করা উভয়টা ওয়াজিব। আর মুতাশাবিহ আয়াতের প্রতি ঈমান আনব এবং তার বিষয়টি আল্লাহ তা‘আলার দিকে সোপর্দ করব।
২. যারা মুতাশাবিহ আয়াত অন্বেষণের চেষ্টা চালায় তাদেরকে পরিত্যাগ করা ওয়াজিব; কারণ তারা বিদআতী ও কুপ্রবৃত্তির অনুসারী।
৩. ফেতনা প্রকাশ পেলে অন্তরের বক্রতা থেকে আল্লাহ তা‘আলার কাছে আশ্রয় চাওয়া উচিত।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings