Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 91
Saheeh International
And when it is said to them, "Believe in what Allah has revealed," they say, "We believe [only] in what was revealed to us." And they disbelieve in what came after it, while it is the truth confirming that which is with them. Say, "Then why did you kill the prophets of Allah before, if you are [indeed] believers?"
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
ইসলাম কবুল না করেও ইয়াহুদীরা ঈমানদার বলে মিথ্যা দাবি করে
‘যখন তাদের বলা হয়’ অর্থাৎ ইয়াহুদী এবং তাদের সাদৃশ্য অন্যান্য আহলে কিতাবকে যখন বলা হয় যে, ‘মহান আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তাতে ঈমান আনো’; অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নবী হিসেবে বিশ্বাস করে তাঁকে সত্য বলে জানো এবং তাঁর আনুগত্য করো। ‘তারা বলে, ‘আমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে আমরা বিশ্বাস করি’ অর্থাৎ তাওরাত ও ইঞ্জিল যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তার প্রতি যে ঈমান বা বিশ্বাস আমাদের রয়েছে তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, এটা ব্যতীত আমরা অন্য আর কোন কিছু মেনে নিবো না। ‘যদিও তা সত্য এবং যা তাদের নিকট আছে তার সমর্থক’ অর্থাৎ তারা জানে যে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ওপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা সত্য এমতাবস্থায় তা তাওরাত ও ইঞ্জিলের ও সত্যায়নকারী। অতএব দালীল তাদের নিকট স্পষ্ট। যেমন পবিত্র কুর’আনে আছেঃ
﴿اَلَّذِیْنَ اٰتَیْنٰهُمُ الْكِتٰبَ یَعْرِفُوْنَهٗ كَمَا یَعْرِفُوْنَ اَبْنَآءَهُمْ﴾
যাদেরকে আমি কিতাব প্রদান করেছি তারা তাকে এরূপভাবে চিনে, যেমন চিনে তারা আপন সন্তানদেরকে। (২ নং সূরা বাকারাহ, আয়াত নং ১৪৬) সুতরাং তাঁকে অস্বীকার করার ফলে তাওরাত ও ইঞ্জিলের ওপরও তাদের ঈমান থাকলো না। এ দালীল কায়িম করার পর অন্যভাবে দালীল কায়িম করা হচ্ছে যে, তারা যদি তাদের কথায় সত্যবাদী হয় তাহলে যে সব নবী নতুন কোন শারী‘আত ও কিতাব না এনে পূর্ব নবীদেরই অনুসারী হয়ে তাঁদের নিকট এসেছিলেন, তারা তাঁদেরকে হত্যা করেছিলো কেন, যদিও তোমরা তাদেরকে নবী বলে জানতে? অথচ মহান আল্লাহ তো নবীদেরকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। বরং তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁদের আনুগত্য ও অনুস্মরণ করতে। আর এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাদের উক্তিঃ ‘আমরা বিশ্বাসী যা আমাদের নিকট অবতীর্ণ করা হয়েছে’ এটাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে তাদের নিন্দা করেছেন। তারাতো নবীদেরকে শুধুমাত্র হিংসা ও অহমিকার জন্য অন্যায়ভাবে হত্যা করতো। অতএব তারাতো শুধু লোভ-লালসা, ভ্রান্ত ধারণা এবং অলীক কল্পনার অনুসরণ করছে।
অতঃপর বলা হচ্ছে যে, মূসা (আঃ) হতে তো তারা বড় বড় মু‘জিযাহ প্রকাশ পেতে দেখেছে, যেমন তুফান, প্লাবন, ফড়িং, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত ইত্যাদি যা তাঁর বদ দু‘আর কারণে প্রকাশ পেয়েছে। তাছাড়া লাঠির সাপ হওয়া, হাত উজ্জ্বল চন্দ্রের ন্যায় হওয়া, নদী দুই ভাগ হওয়া, মেঘ দ্বারা ছায়া দান করা, ‘মান্না ও সালওয়া’ অবতারিত হওয়া এবং পাথর হতে ঝর্ণা প্রবাহিত হওয়া ইত্যাদি বড় বড় অলৌকিক ঘটনাবলী, যা মূসা (আঃ) এর নবুওয়াতের ও মহান আল্লাহ্র একাত্মবাদের জ্বলন্ত প্রমাণ ছিলো এবং এগুলো তারা স্বচক্ষে দেখেছিলো। অথচ মূসা (আঃ) এর তূর পাহাড়ে গমনের পর পরই তারা বাছুরকে তাদের উপাস্য বানিয়ে নেয়।
﴿ وَاتَّخَذَ قَوْمُ مُوْسٰى مِنْۢ بَعْدِه مِنْ حُلِیِّهِمْ عِجْلًا جَسَدًا لَّه خُوَارٌ﴾
‘আর মূসার চলে যাবার পর অলংকার দ্বারা বাছুরের মতো পুতুল তৈরী করলো, এটা হতে গরুর মতো শব্দ বের হতো। (৭ নং সূরা আ ‘রাফ, আয়াত নং ১৪৮) তাহলে তাওরাতের ওপর এবং মূসা (আঃ) এর ওপর তাদের ঈমান থাকলো কোথায়?
পরে তাদের মনে এ অনুভূতি হয়েছিলো, যেমন আল্লাহ সুবহানাহু বলেনঃ
﴿وَ لَمَّا سُقِطَ فِیْۤ اَیْدِیْهِمْ وَ رَاَوْا اَنَّهُمْ قَدْ ضَلُّوْا١ۙ قَالُوْا لَىِٕنْ لَّمْ یَرْحَمْنَا رَبُّنَا وَ یَغْفِرْ لَنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ﴾
আর যখন তারা লজ্জিত হলো এবং দেখলো যে, প্রকৃত পক্ষে তারা বিভ্রান্ত হয়েছে, তখন তারা বললোঃ আমাদের রাব্ব যদি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন তাহলে তো আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবো। (৭ নং সূরা আ‘রাফ, আয়াত নং ১৪৯)
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings