2:6
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواۡ سَوَآءٌ عَلَيۡهِمۡ ءَأَنذَرۡتَهُمۡ أَمۡ لَمۡ تُنذِرۡهُمۡ لَا يُؤۡمِنُونَ٦
Saheeh International
Indeed, those who disbelieve - it is all the same for them whether you warn them or do not warn them - they will not believe.
অর্থাৎ যারা সত্যকে গোপন করতে অভ্যস্ত এবং তাদের ভাগ্যে এই আছে, তারা কখনও সেই ওয়াহীকে বিশ্বাস করবে না, যা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। যেমন অন্য এক স্থানে বলা হয়েছেঃ যেসব লোকের উপর আল্লাহর কথা সাব্যস্ত হয়ে গেছে, তারা ঈমান আনবে না, যদিও তাদের কাছে সমস্ত নিদর্শন এসে যায়-যে পর্যন্ত না তারা বেদনাদায়ক শাস্তি অবলোকন করে। এমনিভাবে আল্লাহ তা'আলা দুষ্টমতি আহলে কিতাবদের সম্পর্কে বলেছেনঃ যদিও তুমি আহলে কিতাবের নিকট সমস্ত দলীল-প্রমাণ নিয়ে আস, তথাপি তারা তোমার কিবলার অনুসরণ করবে না। অর্থাৎ ঐ অর্বাচীন দুর্ভাগাদের সৌভাগ্য লাভ হবেই না, কাজেই পথভ্রষ্টদের সুপথ প্রাপ্তি কিরূপে হবে? হে নবী (সঃ)! তুমি তাদের জন্যে আফসোস করো না। তোমার কাজ তো শুধু রিসালাতের হক আদায় করে দেয়া। যারা মেনে নেবে তারা ভাগ্যবান, আর যারা মানবে না, তবে ঠিক আছে, তোমার দায়িত্ব ঠিক মতোই পালন হয়ে গেছে। আমি স্বয়ং অনতি বিলম্বে তাদের হিসাব নিয়ে নেবো। তুমি তো শুধু ভয় প্রদর্শক মাত্র। আল্লাহই প্রত্যেক কাজের সমাধানকারী।'হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর এ ব্যাপারে খুবই আগ্রহ ছিল যে, সবাই যেন ঈমানদার হয়ে যায় এবং হিদায়েত কবুল করে নেয়। কিন্তু মহান প্রভু বলে দিলেন যে, এ সৌভাগ্য প্রত্যেকের জন্যে নয়। এ দান ভাগ করে দেয়া হয়েছে। যার ভাগ্যে এর অংশ পড়েছে আপনা আপনি তোমার কথা মেনে নেবে, আর যে হতভাগা সে কখনও মানবে না। সুতরাং অর্থ এই যে, যারা কুরআন কারীমকে অস্বীকার করে তারা বলেঃ “আমরা পূর্বের কিতাবগুলোকে মেনে থাকি। তাদেরকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই। কেননা প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেদের কিতাবকেও মানে না। কারণ, তার মধ্যে তোমাকেও মানার অনুরূপ অঙ্গীকার রয়েছে। তাহলে তারা যখন ঐ কিতাব ও ঐ নবীর (আঃ) উপদেশ মানছে না; যাকে তারা মানতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে, তখন হে নবী (সঃ)! তোমার কথাকে তারা কি করে মানতে পারে?আবুল আলিয়ার (রঃ) মত এই যে, এই আয়াতটি খন্দকের যুদ্ধে ঐ নেতৃবর্গের সম্বন্ধে নাযিল হয়েছে যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলার ফরমান রয়েছেঃ (১৪:২৮) (আরবি)কিন্তু যে অর্থ আমরা প্রথমে বর্ণনা করেছি সেটাই বেশী প্রকাশমান এবং অন্যান্য আয়াতের সাথে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ। আল্লাহই এ ব্যাপারে সবচেয়ে ভাল জানেন। ঐ হাদীসটির উপর পুনরায় চোখ ফিরানো উচিত যা ইবনে আবি হাতিমের উদ্ধৃতি দিয়ে এখনই বর্ণিত হয়েছে (আরবি) প্রথম বাক্যটির (আরবি) হয়েছে। অর্থাৎ ভয় দেখানো না দেখানো সমান, কোন অবস্থাতেই তারা ঈমান আনবে না (আরবি) তার (আরবি) হওয়াও সম্ভব। কেননা অনুমিত বাক্য হচ্ছেঃ (আরবি) এবং (আরবি) হয়ে যাবে (আরবি) আল্লাহই প্রত্যেক বিষয়ে সবচেয়ে ভাল ও সুষ্ঠ জ্ঞানের অধিকারী।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us