Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 55
Saheeh International
And [recall] when you said, "O Moses, we will never believe you until we see Allah outright"; so the thunderbolt took you while you were looking on.
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
বানী ইসরাঈলের যারা মহান আল্লাহকে দেখতে চেয়েছিলো তাদের প্রাণ হরণ এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা
মূসা (আঃ) যখন বানী ইসরাঈলের সত্তরজন লোককে সাথে নিয়ে মহান আল্লাহর ওয়া‘দা অনুযায়ী তূর পাহাড়ে যান এবং ঐ লোকগুলো মহান আল্লাহর কথা শুনতে পায়, তখন তারা মূসা (আঃ)-কে বলেন যে, তারা মহান আল্লাহকে সামনে না দেখা পর্যন্ত ঈমান আনবেনা। (তাফসীর তাবারী ২/৮১) এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলার ফলে দেখেতে দেখতেই তাদের ওপর আকাশ হতে বিদ্যুতের গর্জনে এক ভয়াবহ উচ্চ শব্দ হয়, এর ফলে তারা সবাই মারা যায়। এদিকে মূসা (আঃ) বিলাপ করতে থাকেন এবং কেঁদে কেঁদে মহান আল্লাহর নিকট আরয করেনঃ ‘হে মহান আল্লাহ! আমি বানী ইসরাঈলকে কি উত্তর দিবো! এরা তো তাদের মধ্যে উত্তম ও নেতৃস্থানীয় লোক ছিলো। হে প্রভু! আপনার এরূপ করার ইচ্ছা থাকলে ইতোপূর্বেই তাদেরকে ও আমাকে মেরে ফেলতেন। হে মহান আল্লাহ! অজ্ঞ লোকদের অজ্ঞতার কারণে আমাকে ধরবেন না।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা মূসা (আঃ)-কে জানিয়ে দিলেন যে, ঐ সত্তর ব্যক্তিও তাদের মধ্যে ছিলো যারা বাছুরের পূজা করেছিলো। অতঃপর মহান আল্লাহ সাথে সাথেই এক ব্যক্তির জীবন ফিরিয়ে দেন এ জন্য যে, অন্যান্যাদের জীবন কিভাবে পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে তা যেন সে অবলোকন করতে পারে। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/১৭৩)
‘আবদুর রহমান ইবনু যায়দ ইবনু আসলাম (রহঃ) এ আয়াত সম্পর্কে মন্তব্য করেনঃ মহান আল্লাহর সাথে কথোপকথনের পর মূসা (আঃ) যে প্রস্তরখণ্ডে তাওরাতের বাণী লিখিত হয়েছিলো তা সাথে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি দেখতে পেলেন যে, তাঁর অনুসারীরা তাঁর অনুপস্থিতিতে বাছুরের পূজা করতে শুরু করেছে। এরপর তিনি মহান আল্লাহর আদেশে তাদেরকে একে অপরকে হত্যা করতে নির্দেশ দেন। তারা তা পালনও করে এবং মহান আল্লাহও তাদেরকে ক্ষমা করেন। তিনি তাদেরকে বলেনঃ এ পাথর খণ্ডগুলোতে রয়েছে মহান আল্লাহর বাণী, যাতে তিনি বলে দিয়েছেন যে, তোমরা কি পালন করবে এবং কি বর্জন করবে। তারা বললোঃ ‘তুমি বলেছো বলেই কি এ কথাগুলো বিশ্বাস করবো? মহান আল্লাহর শপথ! আমরা কখনই বিশ্বাস করবো না, যতোক্ষণ না মহান আল্লাহ নিজে এসে আমাদেরকে দেখা দেন এবং বলেনঃ এটা আমিই অবতীর্ণ করেছি এবং তোমরা ইচ্ছা মেনে চলো। হে মূসা! তিনি যেমন তোমার সাথে কথা বলেছেন তদ্রুপ কোন তিনি আমাদের সাথে কথা বলেছেন না?’ অতঃপর ‘আবদুর রহমান ইবনু যায়দ (রহঃ) পাঠ করেনঃ মহান আল্লাহকে প্রকাশ্যভাবে না দেখা পর্যন্ত আমরা তোমার কথায় ঈমান আনবো না।
সুতরাং তাদের ওপর গযব নিপতিত হলো, এক বজ্র-নিনাদ তাদের ওপর আপতিত হলো। ফলে তারা সবাই মারা গেলো। তারপর মহান আল্লাহ সেই মৃত লোকদের আবার প্রাণ ফিরিয়ে দেন। এরপর ‘আবদুর রহমান (রহঃ) পাঠ করেনঃ তোমাদের মৃত্যুর পর আমি তোমাদেরকে পুর্নজীবিত করেছিলাম যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। এরপর বলেন, মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেনঃ তোমরা মহান আল্লাহর এই কিতাব ধারণ করো। তারা বললোঃ না, তা হবার নয়। মূসা (আঃ) বললেনঃ তোমাদের কি হয়েছে? তারা উত্তরে বললোঃ শাস্তি স্বরূপ আমাদেরকে তো মৃত্যু দেয়া হয়েছিলো, এখন আমরা জীবন ফিরে পেয়েছি। তাদের অবাধ্যতার জন্য মহান আল্লাহ কয়েকজন ফিরিশতা পাঠালেন যারা তাদের মাথার ওপর পাহাড় তুলে ধরলো। (তাফসীর তাবারী ২/৮৮)
এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, বানী ইসরাঈলরা পুর্নজীবন লাভ করার পরেও মহান আল্লাহর তরফ থেকে প্রাপ্ত আদেশসমূহ পালন করা তাদের জন্য আবশ্যকীয় ছিলো। অবশ্য মাওয়ার্দী (রহঃ) বলেন যে, এ বিষয়ে দু’টি মতামত রয়েছে। প্রথম মতামত এই যে, যেহেতু বানী ইসরাঈলরা মৃত্যু এবং জীবন দানের মু‘জিযাহ নিজেরাই অবলোকন করেছে, তাই তাদের আর আদেশ পালন করার দরকার নেই। দ্বিতীয় মতামত হচ্ছে তাদেরকেও মহান আল্লাহর আয়াতসমূহে বিশ্বাস ও তা মেনে চলতে হবে যাতে অন্যান্য প্রাপ্ত বয়স্করাও তাদের দেখে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারে। ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন যে, এটাই সঠিক কথা। তিনি বলেন যে, বানী ইসরাঈলের যে দলটি মু‘জিযাহ প্রত্যক্ষ করেছে তার ফলে তাদের বিশ্বাস ও ‘আমল করা বাতিল হয়ে যায়না। কারণ তারাইতো ঐ ঘটনা ও বিপদের জন্য দায়ী ছিলো। মহান আল্লাহই ভালো জানেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings