Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 34
Saheeh International
And [mention] when We said to the angels, "Prostrate before Adam"; so they prostrated, except for Iblees. He refused and was arrogant and became of the disbelievers.
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
ফিরিশতার সাজদাহ দ্বারা আদম (আঃ)-কে মর্যাদা দান
মহান আল্লাহ আদম (আঃ)-এর (আঃ) এই বড় মর্যাদার কথা বর্ণনা করে মানুষের ওপর তাঁর বড় অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন এবং তাদেরকে আদম (আঃ)-এর (আঃ) সামনে ফিরিশতাকে সাজদাহ করার নির্দেশ দেয়ার সংবাদ দিয়েছেন। আদম (আঃ)-এর (আঃ) সম্মানে মহান আল্লাহ ফিরিশতাকে সাজদাহ করতে বললে ইবলীস অর্থাৎ শায়তান ব্যতীত সবাই সাজদাহ করে। সে ছিলো জ্বিন জাতির অন্তর্ভুক্ত।
﴿كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَفَسَقَ عَنْ اَمْرِ رَبِّه﴾
সে জ্বিনদের একজন, সে তার রবের আদেশ অমান্য করলো। (১৮ নং সূরাহ্ কাহফ, আয়াত নং ৫০)
এর প্রমাণ স্বরূপ বহু হাদীসও রয়েছে। একটি তো শাফা‘আতের হাদীস যা একটু আগেই বর্ণিত হলো। একটি হাদীসে আছে যে, মূসা (আঃ) মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা জানিয়ে বলেনঃ
رَبِّ أرني آدم الذي أخرجنا ونفسَه من الجنة" ، فلما اجتمع به قال: "أنت آدم الذي خلقه (১) الله بيده، ونفخ فيه من روحه وأسجد له ملائكته
‘আমাকে আদম (আঃ)-এর (আঃ) সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিন যিনি নিজেও জান্নাত হতে বের হয়েছিলেন এবং আমাদেরকেও বের করেছিলেন।’ দুই নবী একত্রিত হলে মূসা (আঃ) তাঁকে বললেনঃ ‘আপনি কি সেই আদম (আঃ) যাকে মহান আল্লাহ স্বহস্তে সৃষ্টি করেছেন, স্বীয় রূহ তাঁর মধ্যে ফুঁকেছেন এবং তাঁর সামনে ফিরিশতাগণকে সাজদাহ করিয়েছেন।’ (হাদীসটি সহীহ। সুনান আবূ দাঊদ ৫/২৮) পূর্ণ হাদীস ইনশা’আল্লাহ অতি সত্বরই বর্ণিত হবে।
ইবলীসের পরিচয়
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, ইবলীস ফিরিশতার একটি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলো যাদেরকে জ্বিন বলা হয়। তারা অগ্নীশিখা হতে সৃষ্টি ছিলো। তার নাম ছিলো হারিস এবং সে জান্নাতের খাজাঞ্চি ছিলো। এই গোত্রটি ব্যতীত অন্যান্য সকল ফিরিশতাকে নূর দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। জ্বিনদের সৃষ্টির পদার্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেনঃ وَخَلَقَ الْجَانَّ مِنْ مَارِجٍ مِنْ نَارٍ
‘আর জ্বিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াবিহীন আগুন থেকে।’ (৫৫ নং সূরাহ আর রাহমান, আয়াত-১৫)
অগ্নিশিখার যে প্রখরতা ওপর দিকে উঠে তাকে مارج বলা হয়ে থাকে। এর দ্বারাই জ্বিনদের সৃষ্টি করা হয়েছে। আর মানুষকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রথমে জ্বিনেরা পৃথিবীতে বাস করতো। তারা বিবাদ বিসম্বাদ ও কাটাকাটি, মারামারি করতে থাকলে মহান আল্লাহ ইবলীসকে ফিরিশতাদের সেনাবাহিনী দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে পাঠিয়ে দেন। তাদেরকেই জ্বিন বলা হতো।
ইবলীস ও তার সাথীরা তাদেরকে মার-পিট করে সমুদ্র দ্বীপে এবং পর্বতশৃঙ্গে তাড়িয়ে দেয়। ইবলীসের অন্তরে এই গর্ব সৃষ্টি হলো যে, সে ছাড়া আর কারো দ্বারা এ কার্য সম্পাদন করা সম্ভব হয়নি। তার অন্তরের গর্ব ও আমিত্বের বড়াই একমাত্র মহান আল্লাহই জানতেন। যখন বিশ্বনিয়ন্তা মহান আল্লাহ বললেন, ‘আমি যমীনে খালীফা বানাতে চাই’ তখন ফিরিশতাগণ আবেদন করেছিলেন আপনি এদেরকে কেন সৃষ্টি করবেন, তারা হয়তো পূর্ববর্তী জ্বিনদের মতোই ঝগড়া ফাসাদ ও রক্তারক্তি করবে? তখন মহান আল্লাহ উত্তরে বললেন, আমি জানি, যা তোমরা জানো না। অর্থাৎ ইবলীসের অন্তরে যে গর্ব ও অহঙ্কার আছে তার জ্ঞান একমাত্র আমার নিকটেই রয়েছে, তোমাদের কাছে এর কোন জ্ঞান নেই।
অতঃপর আদম (আঃ)-এর মাটি উঠিয়ে আনা হলো। তা ছিলো খুবই মসৃণ ও উত্তম। তা খামীর করা হলে মহান আল্লাহ তা দ্বারা আদম (আঃ)-কে স্বহস্তে সৃষ্টি করেছেন। চল্লিশদিন পর্যন্ত তা এ রকমই পুতুলের আকারে ছিলো। ইবলীস আসতো এবং তার ওপর লাথি মেরে দেখতো যে, এটা কোন ফাঁপা জিনিসের মতো শব্দকারী মাটি। অতঃপর সে মুখের ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করে পিছনের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসতো আবার পিছনের ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করে মুখের দিক দিয়ে বের হয়ে আসতো। অতঃপর সে বলতো প্রকৃতপক্ষে এটা কোন জিনিসই নয়। আমি যদি এর ওপর বিজয়ী হই তাহলে একে আমি ধ্বংস করে ছাড়বো। আর যদি শাসনভার আমার ওপর চলে আসে তাহলে আমি কখনো তাকে মেনে নিবো না।
অবশেষে মহান আল্লাহ যখন তার মধ্যে রুহ ফুকিয়ে দিলে তা রক্ত-গোশতে রূপান্তরিত হতে লাগলো। যখন রুহ নাভিতে গিয়ে পৌছলে তখন তিনি স্বীয় শরীরকে দেখে খুশি হয়ে তৎক্ষণাৎ উঠার ইচ্ছা করলেন। কিন্তু রুহ তখনো নিচের অংশে পৌছেনি বিধায় উঠতে পারলেন না। এই তাড়াহুড়ার বর্ণনা দিয়েই নিচের আয়াতাংশে বলা হয়েছেঃ وَكَانَ الْاِنْسَانُ عَجُوْلًا
‘মানুষ বড়ই তাড়াহুড়াকারী।’ (১৭ নং সূরাহ বানী ইসরাঈল, আয়াত-১১)
খুশী বা দুঃখ কোন অবস্থাতেই ধৈর্য নেই। যখন রুহ শরীরে পৌছে গেলো এবং হ্যাঁচি এলো তখন তিনি বলেনঃ الحمد لله رب العالمين উত্তরে মহান আল্লাহ বললেন يرحمك الله অর্থাৎ মহান আল্লাহ তোমার প্রতি সদয় হোক।
তারপর শুধুমাত্র ইবলীসের সঙ্গী ফিরিশতাগণকে মহান আল্লাহ বললেনঃ ‘আদমকে সাজদাহ করো।’ সবাই সাজদাহ করলেন, কিন্তু ইবলীসের অহঙ্কার প্রকাশ পেয়ে গেলো। সে মহান আল্লাহর আদেশ অমান্য করে বললোঃ আমি তার চেয়ে উত্তম, তার চেয়ে আমি বয়সে বড়, তার চেয়ে আমি বেশি শক্তিশালী, সে সৃষ্ট হয়েছে মাটি দ্বারা, আমি সৃষ্ট হয়েছি আগুন দ্বারা এবং আগুন মাটি অপেক্ষা শক্তিশালী। তার এ অবাধ্যতার কারণে মহান আল্লাহ তাকে স্বীয় রহমত হতে বঞ্চিত করে দেন এবং এ জন্যেই তাকে ইবলীস বলা হয়।
ইবলীসের অবাধ্যতার শাস্তি স্বরূপ মহান আল্লাহ তাকে বিতাড়িত করে দিলেন। অতঃপর তিনি আদম (আঃ)-কে মানুষ, জীবজন্তু, যমীন, সমুদ্র, পাহাড়-পর্বতসহ ইত্যাদির নাম বলে দিয়ে তাঁকে ঐ সব ফিরিশতার সামনে উপস্থিত করলেন যারা ইবলীসের সাথী ছিলো এবং আগুন দ্বারা সৃষ্ট ছিলো। মহান আল্লাহ তাদেরকে বললেনঃ ‘ তোমরা এ বস্তুগুলোর নাম আমাকে বলে দাও। যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’ যখন ফিরিশতাগণ দেখলো যে, মহান আল্লাহ তাদের পূর্ব কথায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন, কাজেই তারা বললো হে মহান আল্লাহ! আপনি পবিত্র। আমরা আমাদের পূর্ব কথা হতে প্রত্যাবর্তন করছি এবং স্বীকার করছি যে, আমরা ভবিষ্যতের কথা জানি না। আমরা তো কেবল তাই জানি যা আপনি আমাদেরকে জানিয়ে দেন। ফলে মহান আল্লাহ আদম (আঃ)-কে সেগুলোর নাম বলে দিতে বললে তিনি সবগুলোর নাম বলে দিলেন। মহান আল্লাহ তখন তাদেরকে বললেনঃ ‘ হে ফিরিশতার দল! আমি কি তোমাদের বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আসমান ও যমীনের অদৃশ্য বিষয় অবগত আছি এবং তোমরা যা প্রকাশ করো ও যা গোপন করো আমি তাও পরিজ্ঞাত আছি? অর্থাৎ ইবলীসের গোপন অহংকারের কথাও আমি জানতাম। আর তোমরা এর মোটেই খবর রাখতে না। কিন্তু এ মতটি গরীব। এর মধ্যে এমন কতকগুলো কথা রয়েছে সেগুলো সমালোচনার যোগ্য। বিভিন্ন সূত্রে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে তাফসীরের প্রসিদ্ধ কিতাবগুলোতে এ ভাবেই বর্ণিত হয়েছে।
সুদ্দী (রহঃ) স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে বিভিন্ন সুত্রে ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) সহ বিভিন্ন সাহাবায়ি কিরাম (রাঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তার বর্ণনায় একটু বৃদ্ধি রয়েছে যে, অতঃপর মহান আল্লাহ যমীন থেকে মাটি নেয়ার জন্য জিবরাঈল (আঃ)-কে পাঠালেন। মাটি মহান আল্লাহর দোহাই দিয়ে জিবরাঈল আমীনের কাছে মাটি না নেয়ার ব্যাপারে আশ্রয় প্রার্থনা করলে ফিরে যান, অতঃপর মহান আল্লাহ মীকাঈলকে পাঠান কিন্তু তিনিও মাটির আহাজারীর কারণে ফিরে যান আবশেষে মালাকুল মাউত ফিরিশতাকে পাঠালে তিনিও মহান আল্লাহর দোহাই দিয়ে মাটির আপত্তি অগ্রাজ্য করে বিভিন্ন জায়গাহ থেকে বিভিন্ন রং ও শ্রেণীর মাটি নিয়ে যান। এর পর উক্ত মাটি খামীর করে তা দিয়ে নিজ হাতে আদম (আঃ)-এর একটি অবয়ব গঠন করেন। যাতে করে ইবলীস তা হতে গর্ব করতে না পারে। অতঃপর পূর্বে উল্লিখিত হাদীসের মতোই বাকী কথা বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এ হাদীসটিও য‘ঈফ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইসরাঈলী বর্ণনা দ্বারা ভরপুর। সাহাবীদের কথা হলেও তারা হয়তো পূর্ববর্তী কিতাবসমূহ হতে তা গ্রহণ করেছেন। মহান আল্লাহই সর্ববিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।
হাকিম (রহঃ) তার ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থে এরূপ বহু বর্ণনা এনেছেন এবং সেগুলোর সনদকে ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর শর্তের ওপর সহীহ বলেছেন। ভাবার্থ এই যে, যখন মহান আল্লাহ ফিরিশতাকে বললেনঃ ‘তোমরা আদম (আঃ)-কে সাজদাহ করো।’ ইবলীসও এই সম্বোধনের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। কেননা যদিও সে তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলো না, কিন্তু সে তাদের মতোই ছিলো এবং তাদের মতোই কাজ করতো। সুতরাং সম্বোধনের অন্তর্ভুক্ত সেও ছিলো। আর এজন্যই অমান্য করার শাস্তি তাকে ভোগ করতে হয়েছে। এর ব্যাখ্যা ইনশা’আল্লাহ كَانَ مِنَ الْجِنِّ-এর তাফসীরে আসবে।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, সে অবাধ্যতার পূর্বে যে ফিরিশতার মধ্যে ছিলো, তার নাম আযাযীল। ভূ-পৃষ্ঠে তার বাসোস্থান ছিলো। বিদ্যা ও জ্ঞানে সে খুব বড় ছিলো। এ জন্যই তার মস্তিষ্ক অহঙ্কারে ভরপুর ছিলো। তার ও তার দলের সম্পর্ক ছিলো জ্বিনদের সাথে। (তাফসীর তাবারী ১/৫০২)
মহান আল্লাহরই জন্য ছিলো আনুগত্য, আদম (আঃ)-কে সাজদাহ করার মাধ্যমে
সাজদাহ করার নির্দেশ পালন ছিলো মহান আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার ও আদম (আঃ)-এর (আঃ) প্রতি সম্মান প্রদর্শন। মহান আল্লাহ আদম (আঃ)-কে সম্মানিত করেছিলেন এবং ফিরিশতাকে আদম (আঃ)-কে তাঁর সামনে সাজদাহ করতে আদেশ করেছিলেন। (তাফসীর তাবারী ১/৫১২) কেউ কেউ বলেন যে, এই সাজদাহ ছিলো অভিনন্দন, শান্তি স্থাপন এবং সম্মান প্রদর্শনমূলক। যেমন নবী ইউসুফ (আঃ)-এর ব্যাপারে রয়েছে যে, তিনি তার পিতাকে সিংহাসনে বসিয়ে দেন এবং সবাই সাজদাহয় পড়ে যায়। তখন ইউসুফ (আঃ) বলেনঃ
﴿وَ رَفَعَ اَبَوَیْهِ عَلَى الْعَرْشِ وَ خَرُّوْا لَهٗ سُجَّدًا١ۚ وَ قَالَ یٰۤاَبَتِ هٰذَا تَاْوِیْلُ رُءْیَایَ مِنْ قَبْلُ١٘ قَدْ جَعَلَهَا رَبِّیْ حَقًّا ﴾
‘সে তার পিতা-মাতাকে সিংহাসনে উঠিয়ে নিলো আর সকলে তার সম্মানে সাজদায় ঝুঁকে পড়লো। ইউসুফ বললো, ‘হে পিতা! এ-ই হচ্ছে আমার সে আগের দেখা স্বপ্নের ব্যাখ্যা। আমার রাব্ব একে সত্যে পরিণত করেছেন।’ (১২ নং সূরাহ্ ইউসুফ, আয়াত নং ১০০)
পূর্ববর্তী উম্মাতদের জন্য সাজদাহ বৈধ ছিলো, কিন্তু আমাদের ধর্মে এটা রহিত হয়ে গেছে। মু‘আয (রাঃ) বলেনঃ ‘আমি সিরিয়াবাসীকে তাদের নেতৃবর্গ এবং ‘আলিমদের সামনে সাজদাহ করতে দেখেছিলাম। অতএব আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলিঃ হে মহান আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি সাজদাহ পাবার বেশি হকদার?’ তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
لو كنت آمرا بشرا أن يسجد لبشر لأمرت المرأة أن تسجد لزوجها من عظم حقه عليها
আমি যদি কোন মানুষকে কোন মানুষের সামনে সাজদাহ করার অনুমতি দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম যে, সে যেন তার স্বামীকে সাজদাহ করে। কেননা তার ওপর তার স্বামীর শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। (বিভিন্ন সনদের দৃষ্টিকোণ থেকে হাদীসটি সহীহ, মুসনাদ আহমাদ, ৫/২২৭, ২২৮, জামি‘ তিরমিযী ৩/১১৫৯, বায়হাকী, মাজমা‘উয যাওয়ায়িদ ৪/৩১০) আল রাযী (রাঃ)-ও এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন এটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।
কাতাদাহ (রহঃ) বলেনঃ মহান আল্লাহর দুশমন ইবলীস কর্তৃক আদম (আঃ)-কে হিংসা করার কারণ ছিলো আদম (আঃ)-কে মহান আল্লাহ কর্র্তৃক মর্যাদা প্রদান। ইবলীস বলেছিলোঃ আমি আগুন থেকে সৃষ্টি, আর আদমকে তৈরী করা হয়েছে মাটি থেকে। অতএব ইবলীসের প্রথম ভুল ছিলো তার ঔদ্ধ্যততা, যে কারণে মহান আল্লাহর শত্রু ইবলীস আদম (আঃ)-কে সাজদাহ করতে অস্বীকার করেছিলো। আমরা লক্ষ্য করলে পরবর্তী হাদীসে দেখতে পাবো। কাতাদাহ (রহঃ) বলেন যে, এই অহঙ্কারের পাপই ছিলো সর্বপ্রথম পাপ যা আদম (আঃ)-কে সাজদাহ করা হতে ইবলীসকে বিরত রেখেছিলো। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/১২৩) বিশুদ্ধ হাদীসে বর্ণিত আছেঃ
لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةِ خَرْدَلٍ مِنْ كِبْرٍ.
যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ অহঙ্কার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ লাভ করার সৌভাগ পাবে না। (হাদীসটি সহীহ। সহীহ মুসলিম ১/৯৩, সুনান আবূ দাউদ, ৪/৪০৯১, জামি‘ তিরমিযী ৪/১৯৯৮, সুনান ইবনু মাজাহ, ১/৫৯, মুসনাদ আহমাদ ১/৪৫১) এই অহঙ্কার, কুফর এবং অবাধ্যতার কারণেই ইবলীসের গলদেশে অভিসম্পাতের গলাবন্ধ লেগে গেছে এবং মহান আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়ে তাঁর দরবার হতে বিতাড়িত হয়েছে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings