Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 25
Saheeh International
And give good tidings to those who believe and do righteous deeds that they will have gardens [in Paradise] beneath which rivers flow. Whenever they are provided with a provision of fruit therefrom, they will say, "This is what we were provided with before." And it is given to them in likeness. And they will have therein purified spouses, and they will abide therein eternally.
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
মু’মিন ব্যক্তিদের প্রতিদান
কাফির ও ধর্মদ্রোহীদের শাস্তি ও লাঞ্ছনার বর্ণনা দেয়ার পর এখানে মু’মিন ও সৎলোকদের প্রতিদান, সাওয়াব ও সম্মানের অর্থ এটাই যে, এতে প্রত্যেক বিষয় জোড়া জোড়া রয়েছে। এর বিস্তারিত বিবরণও উপযুক্ত জায়গায় দেয়া হবে। ভাবার্থ এই যে, ঈমানের সাথে কুফরের এবং কুফরের সাথে ঈমানের, সাওয়াবের সাথে পাপের ও পাপের সাথে সাওয়াবের বর্ণনা অবশ্যই আসে। যে জিনিসের বর্ণনা দেয়া হয় সাথে সাথে তার বিপরীত জিনিসেরও বর্ণনা দেয়া হয়। কোন জিনিসের বর্ণনা দিয়ে কোন জায়গায় তার দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হয়। مُتَشَابِه এ রকমই।
মহান আল্লাহ কর্তৃক বর্ণিত জান্নাতের তলদেশ দিয়ে নদী বয়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে তার বৃক্ষরাজী ও অট্টালিকার নিম্নদেশ দিয়ে বয়ে যাওয়া। হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে যে, সেখানে নদী বা ঝর্ণা প্রবাহিত হয়, কিন্তু গর্ত নেই। অন্য হাদীসে আছে যে, কাওসার নদীর দু’ধারে খাঁটি মুক্তার গম্বুজ আছে, তার মাটি হচ্ছে খাঁটি মৃগনাভি, তার কুচি পাথরগুলো হচ্ছে মণি-মুক্তা ও অতি মূল্যবান পাথর। মহান আল্লাহ অনুগ্রহ করে যেন আমাদেরকে ঐ নি‘য়ামত দান করেন। তিনি বড়ই অনুগ্রহশীল ও দয়ালু। হাদীসে আছেঃ
أنهار الجنة تُفَجَّر من تحت تلال -أو من تحت جبال-المسك
জান্নাতের নদীগুলো মুশ্কের পাহাড়ের নিম্নদেশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/৮৭) মাশরুফ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) হতেও এরূপ বর্ণিত আছে। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/৮৮)
জান্নাতের ফল-মূলের সাথে সাযুজ্য
জান্নাতবাসীদের এই কথাঃ رُزِقْنَا مِنْ قَبْلُ ‘ইতোপূর্বে আমাদেরকে দেয়া হয়েছিলো’ এর ভাবার্থ এই যে, দুনিয়ায়ও তাদেরকে এই ফলগুলো দেয়া হয়েছিলো। তাদের এটা বলার কারণ এই যে, বাহ্যিক আকার-আকৃতিতে এটি সম্পূর্ণ সাদৃশ্যপূর্ণ হবে।
ইয়াহ্ইয়া ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন যে, জান্নাতের ঘাস হচ্ছে জাফরান এবং পাহাড়গুলো হচ্ছে মিশ্ক আম্বরের। ছোট ছোট সুন্দর চেহারা পরিবর্তনহীন ছেলেরা ফল এনে হাযির করবে এবং তারা খাবে। আবার আনলে তারা বলবেঃ এটা এখনই তো খেলাম। তারা উত্তর দিবেঃ জনাব! রং ও রূপ তো এক, কিন্তু স্বাদ পৃথক, খেয়ে দেখুন। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/৯০) খেয়েই তারা আরো সুস্বাদু অনুভব করবে। সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ার এটাই অর্থ। ইকরামাহ (রহঃ) বলেনঃ দুনিয়ার ফলের সাথে এবং নামে ও আকারে সাদৃশ্য থাকবে, কিন্তু স্বাদ হবে পৃথক। (তাফসীর তাবারী ১/৩৯১)
জান্নাতের স্ত্রীগণ হবেন পূতপবিত্র
মহান আল্লাহ বলেনঃ وَلَهُمْ فِيْهَا أَزْوَاجٌ مُّطَهَّرَةٌ ‘আর তাদের জন্য তন্মধ্যে শুদ্ধা সহধর্মিনীগণ রয়েছে।’ ইবনু আবূ তালহা (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ এর অর্থ হচ্ছে তারা অশ্লীলতা ও অপবিত্রতা থেকে পবিত্র। (তাফসীর তাবারী ১/২৯৫) মুজাহিদ (রহঃ) বলেনঃ তারা হলো মাসিক, প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়া, প্রস্রাব, বীর্য, থুথু এবং গর্ভ ধারণ থেকে পবিত্র। (তাফসীর তাবারী ১/৩৯৬) কাতাদাহ (রহঃ) বলেছেন, তা হলো অশুচি এবং পাপ। তিনি অন্যত্র বর্ণনা করেছেন যে, তা হলো মাসিক এবং গর্ভ ধারণ থেকে পবিত্র। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/৯১) ‘আতা (রহঃ), হাসান (রহঃ), যাহহাক (রহঃ), আবূ সালিহ (রহঃ), ‘আতিয়্যাহ (রহঃ) এবং সুদ্দীও (রহঃ) অনুরূপ বলেছেন। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/৯২)
وَّهُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ ‘তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে’ অর্থাৎ চূড়ান্ত ও স্থায়ী শাস্তি একমাত্র ঈমানদার ব্যক্তিই লাভ করবে, তারা মৃত্যু-যন্ত্রণা ভোগ করবে না এবং অফুরন্ত নি‘য়ামত লাভ করবে, যা কখনো নিঃশেষে হবে না কিংবা ছিনিয়ে নেয়া হবে না।
আমরাও মহান আল্লাহর কাছে এরূপ নি‘য়ামতের প্রার্থনা করছি, তিনি তো অত্যন্ত অনুগ্রহকারী, দয়ালু ও মহানুভব।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings