Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 22
Saheeh International
[He] who made for you the earth a bed [spread out] and the sky a ceiling and sent down from the sky, rain and brought forth thereby fruits as provision for you. So do not attribute to Allah equals while you know [that there is nothing similar to Him].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২১ ও ২২ নং আয়তের তাফসীর:
(یٰٓاَیُّھَا النَّاسُ اعْبُدُوْا رَبَّکُمُ الَّذِیْ خَلَقَکُمْ.....)
আয়াতটি পূর্বের আয়াতের সাথে সম্পর্কযুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা তিন শ্রেণির (মু’মিন, কাফির ও মুনাফিক) লোকেদের কথা উল্লেখ করার পর সকল মানুষকে ডেকে একমাত্র তাঁর ইবাদত করার নির্দেশ প্রদান করেন। মূলত এ জন্যই আল্লাহ তা‘আলা সকল মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ)
“আমি সৃষ্টি করেছি জিন ও ইনসানকে এজন্য যে, তারা একমাত্র আমারই ইবাদত করবে।”(সূরা জারিয়াত ৫১:৫৬)
ইবাদত অর্থ:
বিনয়-নম্র হওয়া, অনুগত হওয়া ইত্যাদি। শরীয়তের পরিভাষায় ইবাদত বলা হয়- বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ প্রত্যেক ঐ সকল কথা ও কাজ যা আল্লাহ তা‘আলা পছন্দ করেন ও সন্তুষ্ট থাকেন। একজন মু’মিন যখন তার জীবনে সকল ইবাদত যথাযথ বাস্তবায়িত করতে পারবে তখন সে পরিপূর্ণতার উচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারবে। উবুদিয়্যাহ তথা আল্লাহ তা‘আলার বান্দা ও গোলাম হতে পারা মু’মিনের জন্য সবচেয়ে মর্যাদার বিষয় ও এতে সে আল্লাহ তা‘আলার প্রিয়-পাত্রে পরিণত হয়। এজন্য আল্লাহ তা‘আলা কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘তাঁর আব্দ’তথা তাঁর বান্দা তথা গোলাম বলে সম্বোধন করেছেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেও বলতেন: আমি একজন বান্দা, অতএব তোমরা আমাকে আল্লাহ তা‘আলার বান্দা ও রাসূল বলেই সম্বোধন কর। (সহীহ ইবনু হিব্বান হা: ৪১৩)
সুতরাং এ থেকে প্রমাণ হয়, একজন মু’মিন ‘আব্দ’তথা আল্লাহ তা‘আলার বান্দা হওয়ায় শরীয়তের সীমার বাইরে যেতে পারে না যতই সে ইবাদতগুজারী হোক না কেন। পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বেশি যিনি আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করেছেন তিনি হলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি আল্লাহ তা‘আলার বান্দার সীমারেখার বাইরে যেতে পারেননি এবং তিনি বাইরে যেতে পছন্দও করতেন না। ঈসা (আঃ) নিজেও শিশু ও বৃদ্ধাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলার বান্দা বলে পরিচয় দিতেন। অতএব যে সকল কথিত সূফী বলে থাকে- বান্দা ইবাদত করতে করতে এমন এক পর্যায়ে চলে যায় যখন তার ইবাদতের দরকার হয় না, তখন শরীয়ত মানা আবশ্যক নয়। তাদের কথা ভ্রান্ত, তারা ইসলাম থেকে বহির্ভূত।
এ আয়াত থেকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর তাওহীদ বা এককত্ব ও তাঁর উলুহিয়্যাতের বর্ণনা শুরু করেছেন। তিনি স্বীয় বান্দাদেরকে অস্তিত্বহীনতা থেকে অস্তিত্বে এনেছেন, তিনিই প্রত্যেক প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য নেয়ামত দান করেছেন। তিনিই জমিনকে বিছানাস্বরূপ বানিয়েছেন এবং আকাশকে ছাদস্বরূপ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَجَعَلْنَا السَّمَا۬ءَ سَقْفًا مَّحْفُوظًا وَّهُمْ عَنْ آيَاتِهَا مُعْرِضُونَ)
“এবং আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ; কিন্তু তারা আকাশে নিহিত নিদর্শনাবলী হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়।”(সূরা আম্বিয়াহ ২১:৩২) আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন এমন সময়ে যখন মানুষ বৃষ্টির পূর্ণ মুখাপেক্ষী হয়। তারপর ঐ পানি দ্বারা বিভিন্ন ফলমূল উৎপন্ন করেন, যা থেকে মানুষ এবং জীবজন্তু উপকৃত হয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(الَّذِیْ جَعَلَ لَکُمُ الْاَرْضَ فِرَاشًا وَّالسَّمَا۬ئَ بِنَا۬ئًﺕ وَّاَنْزَلَ مِنَ السَّمَا۬ئِ مَا۬ئً فَاَخْرَجَ بِھ۪ مِنَ الثَّمَرٰتِ رِزْقًا لَّکُمْ)
“যিনি তোমাদের জন্য জমিনকে বিছানা ও আকাশকে ছাদস্বরূপ করেছেন এবং যিনি আকাশ হতে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তার দ্বারা তোমাদের জন্য উপজীবিকাস্বরূপ ফলসমূহ উৎপাদন করেন।”(সূরা বাকারাহ ২:২২)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(اَللہُ الَّذِیْ جَعَلَ لَکُمُ الْاَرْضَ قَرَارًا وَّالسَّمَا۬ئَ بِنَا۬ئً وَّصَوَّرَکُمْ فَاَحْسَنَ صُوَرَکُمْ وَرَزَقَکُمْ مِّنَ الطَّیِّبٰتِﺚ ذٰلِکُمُ اللہُ رَبُّکُمْﺊ فَتَبٰرَکَ اللہُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ)
“আল্লহই তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন বাসোপযোগী এবং আকাশকে করেছেন ছাদ এবং তোমাদের আকৃতি করেছেন উৎকৃষ্ট এবং তোমাদেরকে দান করেছেন উৎকৃষ্ট রিযিক। এই তো আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক। জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ কতই না বরকতময়!” (সূরা মু’মিন ৪০:৬৪)
অতএব একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, পরিচালক ও সকলের মালিক। এ জন্যই তিনি সর্বপ্রকার ইবাদত পাওয়ার এবং তাঁর সাথে অংশীদার স্থাপন না করার একমাত্র হকদার। তাই আল্লাহ তা‘আলা বললেন:
(فَلَا تَجْعَلُوْا لِلّٰهِ أَنْدَادًا وَّأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ)
“অতএব তোমরা জেনে শুনে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক কর না।”(সূরা বাকারাহ ২:২২)
ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কোন গুনাহ সবচেয়ে বড়? তিনি বললেন- আল্লাহ তা‘আলার সাথে অংশী স্থাপন করা অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। (সহীহ বুখারী হা: ২৮৫৬) মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞাসা করে বললেন: হে মুআয! তুমি কি জান বান্দার ওপর আল্লাহ তা‘আলার হক কী? মুআয (রাঃ) বললেন: আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল ভাল জানেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: বান্দার ওপর আল্লাহ তা‘আলার হক হল- বান্দা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করবে অন্য কিছুকে তাঁর সাথে শরীক করবে না। (সহীহ বুখারী হা: ২৮৫৬)
ইবনু আব্বাস (রাঃ) অন্য বর্ণনায় বলেন:
(فَلَا تَجْعَلُوا لِلّٰهِ أَنْدَادًا)
“অতএব তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক কর না।”(সূরা বাকারাহ ২:২২)
انداد (সমকক্ষ) শির্ক। গভীর অন্ধকার রাতে কাল পাথরের ওপর কালো পিঁপড়ার চলাচল প্রত্যক্ষ করা যত সূক্ষ্ম, শির্ক তার চেয়ে বেশি সূক্ষ্ম। কখন কিভাবে একজন ব্যক্তি শির্কে লিপ্ত হয়ে যায় সে নিজেও বুঝতে পারে না। যেমন মানুষ বলে যে, যদি কুকুরটি না থাকত তাহলে চোর ঘরে ঢুকে পড়ত, এটা বলা শির্ক। কারণ চোর হতে বাঁচানোর মালিক একমাত্র আল্লাহ।
অনুরূপ অনেক শির্কী আকিদাহ, কথা ও কাজ আছে যা মানুষের মাঝে খুব প্রচলিত। এমনকি শির্কী কাজকে অনেকে অজ্ঞতাবশত ইবাদত মনে করে খুব বিনয়ের সাথে পালন করে থাকে। আকীদাহগত শির্ক যেমন: এরূপ বিশ্বাস করা- আল্লাহ স্ব-স্বত্তায় সর্বত্র বিরাজমান, ওলী-আউলিয়া অনেকক্ষেত্রে ভাল মন্দের মালিক, আল্লাহ ছাড়া কোন নাবী-রাসূল, গাউস-কুতুব, ফকীর-দরবেশ বা জ্যোতিষী গায়েব জানে বলে বিশ্বাস করা, কবরস্থ ব্যক্তি দু‘আ শুনতে পারে এবং বিপদাপদ প্রতিহত করে কল্যাণ নিয়ে আসতে পারে, আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসার ন্যায় নিজের পীর ও অন্যান্য মানুষকে ভালবাসা, অন্তরে পীর ও অলিদের অনিষ্টের গোপন ভয় করা, তাদের কবরের মাটি, গাছ, নিকটস্থ কূপের পানি ও জীব-জন্তুর দ্বারা উপকারে বিশ্বাস করা এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ওপর ভরসা করা ইত্যাদি।
বাচনিক শির্ক হয় এরূপ বললে যে: আল্লাহ যা চান আর আপনি যা চান, আমার সন্তানের কসম বা আল্লাহ ছাড়া যে কোন বস্তুর নামে কসম করা ইত্যাদি।
কর্মে শির্ক হয় যেমন: রোগ নিরাময় বা কোন প্রকার অনিষ্ট থেকে বাচাঁর জন্য শরীরে তা‘বীজ বা বালা ব্যবহার করা, মাযার ও কবরে দান করা, হাদিয়া দেয়া, মানত করা, কুরবানীর জন্য কোন পশু দেয়া, তাদের জন্য রুকু-সিজদা করা, কুরআন তেলাওয়াত করা, তাদের কাছে সন্তান চাওয়া, ভাস্কর্য, স্মৃতিসৌধ, ওলী-আউলিয়া, দরবেশ, ফকীর বা মাযারের পাশ দাঁড়িয়ে নিরবতা ও বিনয় প্রকাশ করা, মানব রচিত বিধান ও আইন দ্বারা শাসন ও বিচার কার্য পরিচালনা করা, অলিদেরকে আল্লাহ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মাধ্যম নির্ধারণ করা ও তাদের কাছে শাফাআত চাওয়া। আল্লাহ যা হারাম করে দিয়েছেন তা কোন শাসক বা আলেম হালাল করে দিলে সে হারামকে হালাল হিসেবে মেনে নেয়া ইত্যাদি।
আল্লাহ তা‘আলা অত্র আয়াতে ইবাদতের নির্দেশ দেয়ার সাথে সাথে তা পালনের ফলাফল উল্লেখ করে বলেন:
(لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ)
যাতে তোমরা মুত্তাকী বা আল্লাহ-ভীরু হতে পার। সূরা বাকারার ২ নং আয়াতে মুত্তাকীদের পরিচয় ও তাদের বৈশিষ্ট্য এবং তাকওয়ার ফলাফল আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লামা শানক্বিতী (রহঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতে পুনরুত্থান এর ব্যাপারে তিনটি দলীলের দিকে ইঙ্গিত করেছেন যা অন্যান্য আয়াতে সুস্পষ্টভাবে আলোকপাত করা হয়েছে।
১ নং দলীল: আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমবার মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। অতএব যিনি প্রথমবার সৃষ্টি করতে সক্ষম তিনি দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করতে আরো অধিক সক্ষম। তিনি বলেন:
(كَمَا بَدَأْنَآ أَوَّلَ خَلْقٍ نُّعِيدُه۫)
“যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করবো।”(সূরা আম্বিয়া ২১:১০৪) এরূপভাবে আল্লাহ তা‘আলা সূরা ইয়াসীন: ৭৯, সূরা ক্বফ: ১৫, বানী ইসরাঈল: ৫১, সূরা হজ্জ এবং সূরা ওয়াকিয়া: ৬২ নং আয়াতে পুনরুত্থানের কথা আলোচনা করেছেন।
২ নং দলীল: আল্লাহ তা‘আলা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন:
(اَوَ لَمْ یَرَوْا اَنَّ اللہَ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَلَمْ یَعْیَ بِخَلْقِھِنَّ بِقٰدِرٍ عَلٰٓی اَنْ یُّحْیِ الْمَوْتٰ)
“তারা কি এটুকুও বোঝে না, যে আল্লাহ জমিন ও আসমান সৃষ্টি করলেন এবং এগুলো সৃষ্টি করতে তিনি ক্লান্ত হননি, সে আল্লাহ মৃতুকে অবশ্যই জীবিত করার ক্ষমতা রাখেন।”(সূরা আহক্বাফ ৪৬:৩৩)
এছাড়াও আল্লাহ তা‘আলা সূরা ইয়াসীন ৮১, সূরা বানী ইসরাঈল ৯৯, সূরা নাযিয়াত ২৭-২৮ নং আয়াতে এ ব্যাপারে বর্ণনা করেছেন।
৩ নং দলীল: আল্লাহ তা‘আলা জমিন নির্জীব হবার পর পুনরায় তা জীবিত করেন। এটা পুনরুত্থানের সবচেয়ে বড় দলীল। এর দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَأَنْزَلَ مِنَ السَّمَا۬ءِ مَا۬ءً فَأَخْرَجَ بِه۪ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًالَّكُمْ)
“এবং যিনি আকাশ হতে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তার দ্বারা তোমাদের জন্য উপজীবিকাস্বরূপ ফলসমূহ উৎপাদন করেন।”(সূরা বাকারাহ ২:২২)
অন্যান্য আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَأَحْيَيْنَا بِه۪ بَلْدَةً مَّيْتًا كَذٰلِكَ الْخُرُوجُ)
“বান্দাদের জীবিকাস্বরূপ; আমি বৃষ্টি দ্বারা জীবিত করি মৃত ভূমিকে; এভাবেই পুনরুত্থান ঘটবে।”(সূরা ক্বফ ৫০:১১)
অনুরূপভাবে আল্লাহ তা‘আলা সূরা হা-মীম-সিজদাহ: ৩৯, সূরা রূম: ১৯, আ‘রাফ: ৫৭ নং আয়াতে এ ব্যাপারে স্পষ্টভাবে আলোচনা করেছেন।
সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা যেভাবে আকাশ-জমিন সৃষ্টি করেছেন এবং বৃষ্টি দ্বারা নির্জীব জমিনকে পুনরায় জীবিত করতে সক্ষম সেভাবে তিনি মানুষের মৃত্যুর পর হিসাব-নিকাশের জন্য পুনরুত্থিত করতে সক্ষম।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সৃষ্টিকর্তা যিনি ইবাদত পাওয়ার হকদার তিনিই আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। সুতরাং তিনিই সকল প্রকার ইবাদত পাওয়ার যোগ্য।
২. সকল মুসলিম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনীত শরীয়তের অধীন। কেউ যদি বিশ্বাস করে দুনিয়াতে এমন ওলী, কুতুব ও বুজুর্গ যারা শরীয়ত মেনে চলার ঊর্ধ্বে তাহলে তারা মুসলিম থাকবে না।
৩. শির্ক সবচেয়ে বড় জুলুম। অতএব তা থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে সকল প্রকার শির্ক হতে মুক্ত থাকতে হবে।
৪. আল্লাহ তা‘আলা বান্দার হিসাব-নিকাশ গ্রহণ করতে ও প্রত্যেকের প্রাপ্য প্রদান করার জন্য সকলকে পুনরুত্থিত করবেন। এটা তাঁর জন্য কঠিন কিছুই নয়।
৫. যারা তাক্বওয়া অবলম্বন করে চলে তাদের দুনিয়াবী ও পরকালীন ফলাফল অবগত হলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings