Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 210
Saheeh International
Do they await but that Allah should come to them in covers of clouds and the angels [as well] and the matter is [then] decided? And to Allah [all] matters are returned.
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
ঈমান আনার ব্যাপারে বিলম্ব করা উচিত নয়
অত্র আয়াতে মহান আল্লাহ্ কাফিরদেরকে ধমক দিয়ে বলেছেন যে, তারা কি কিয়ামতেরই অপেক্ষা করছে যে দিন সত্যের সাথে ফায়সালা হয়ে যাবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে? যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ
﴿كَلَّاۤ اِذَا دُكَّتِ الْاَرْضُ دَكًّا دَكًّاۙ۲۱ وَّ جَآءَ رَبُّكَ وَ الْمَلَكُ صَفًّا صَفًّاۚ۲۲ وَ جِایْٓءَ یَوْمَىِٕذٍۭ بِجَهَنَّمَ١ۙ۬ یَوْمَىِٕذٍ یَّتَذَكَّرُ الْاِنْسَانُ وَ اَنّٰى لَهُ الذِّكْرٰى﴾
‘এটা সঙ্গত নয়। পৃথিবীকে যখন চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে এবং যখন তোমার রাব্ব আগমন করবেন, আর সারিবদ্ধভাবে ফিরিশতাগণও সমুপস্থিত হবে, সেদিন জাহান্নামকে আনয়ন করা হবে এবং সেদিন মানুষ উপলদ্ধি করবে, কিন্তু এই উপলদ্ধি তার কি করে কাজে আসবে?’ (৮৯নং সূরাহ্ ফজর, আয়াত নং ২১-২৩)
অন্য স্থানে রয়েছেঃ
﴿هَلْ یَنْظُرُوْنَ اِلَّاۤ اَنْ تَاْتِیَهُمُ الْمَلٰٓىِٕكَةُ اَوْ یَاْتِیَ رَبُّكَ اَوْ یَاْتِیَ بَعْضُ اٰیٰتِ رَبِّكَ﴾
‘তারা কি শুধু এ প্রতিক্ষায় রয়েছে যে, তাদের কাছে ফিরিশতা আসবে? কিংবা স্বয়ং তোমার রাব্ব আসবেন? অথবা তোমার রাবের কোন কোন নিদর্শন প্রকাশ হয়ে পড়বে?’ (৬নং সূরাহ্ আন‘আম, আয়াত নং ১৫৮)
ইমাম ইবনু জারীর (রহঃ) এখানে একটি দীর্ঘ হাদীস এনেছেন যার মধ্যে শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া ইত্যাদির বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এর বর্ণনাকারী হচ্ছেন আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) । মুসনাদ ইত্যাদির মধ্যে এই হাদীসটি রয়েছে। এর মধ্যে বর্ণিত আছে যে, যখন মানুষ ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে তখন তারা নবী (আঃ) দের নিকট সুপারিশের প্রার্থনা জানাবে। আদম (আঃ) থেকে নিয়ে এক একজন নবীর কাছে তারা যাবে এবং প্রত্যেকের কাছে পরিষ্কার জবাব পেয়ে ফিরে আসবে। কিন্তু যখন তারা মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দরবারে আসবে তখন তিনি উত্তর দিবেন, আমি প্রস্তুত আছি। আমিই তার অধিকারী। অতঃপর তিনি যাবেন এবং ‘আরশের নীচে সাজদায় পড়ে যাবেন। তিনি মহান আল্লাহ্র নিকট সুপারিশ করবেন যে, তিনি যেন বান্দাদের ফায়সালার জন্য আগমন করেন। মহান আল্লাহ্ তার সুপারিশ কবূল করবেন এবং মেঘমালার ছায়াতলে সমাগত হবেন। দুনিয়ার আকাশও ফেটে যাবে এবং তার সমস্ত ফিরিশতা এসে যাবেন। অতঃপর দ্বিতীয় আকাশটিও ফেটে যাবে এবং এ আকাশের ফিরিশতাগণও এসে যাবেন। এভাবে সাতটি আকাশই ফেটে যাবে এবং সেগুলোর ফিরিশতাগণও এসে যাবেন। এরপর মহান আল্লাহ্র ‘আরশ নেমে আসবে এবং সম্মানিত ফিরিশতাগণ অবতরণ করবেন এবং স্বয়ং মহা শক্তিশালী আল্লাহ্ আগমন করবেন। সমস্ত ফিরিশতা তাসবীহ পাঠে লিপ্ত হয়ে পড়বেন। সেই সময় তারা নিম্নলিখিত তাসবীহ পাঠ করবেনঃ
سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ، سُبْحَانَ رَبِّ الْعَرْشِ ذِي الْجَبَرُوتِ سُبْحَانَ الْحَيِّ الذِي لَا يَمُوتُ، سُبْحَانَ الذِي يُمِيتُ الْخَلَائِقَ وَلَا يَمُوتُ، سُبّوح قُدُّوسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ، قُدُّوسٌ قُدُّوسٌ، سُبْحَانَ رَبِّنَا الْأَعْلَى، سُبْحَانَ ذِي السُّلْطَانِ وَالْعَظْمَةِ، سُبْحَانَهُ أَبَدًا أَبَدًا.
অর্থাৎ সাম্রাজ্য ও আত্মার অধিকারীর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। সম্মান ও অসীম ক্ষমতার অধিকারীর প্রশংসা কীর্তন করছি। সেই চিরঞ্জীবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি যিনি মৃত্যুবরণ করেন না। তাঁরই গুণগান করছি যিনি সৃষ্টজীবসমূহের মৃত্যু ঘটিয়ে থাকেন এবং তিনি নিজে মৃত্যুমুখে পতিত হোন না। ফিরিশতা ও আত্মার প্রভুর তাসবীহ পাঠ করছি। আমাদের বড় প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। সাম্রাজ্য ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারীর আমরা গুণকীতন করছি। সদা সর্বদা তাঁরই পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (সনদটি য‘ঈফ। তাফসীর তাবারী -৪/২৬৬-২৬৮)
হাফিয ইবনু আবূ বাকর মিরদুওয়াই (রহঃ) এই আয়াতের তাফসীরে অনেক হাদীস এনেছেন সেগুলোর মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি এই যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
يَجْمَعُ اللَّهُ الْأَوَّلِينَ وَالْآخَرِينَ لِمِيقَاتِ يَوْمٍ مَعْلُومٍ، قِيَامًا شَاخِصَةً أَبْصَارُهُمْ إِلَى السَّمَاءِ، يَنْتَظِرُونَ فَصْل الْقَضَاءِ، وَيَنْزِلُ اللَّهُ فِي ظُلَل مِنَ الْغَمَامِ مِنَ الْعَرْشِ إِلَى الْكُرْسِيِّ.
‘মহান আল্লাহ্ পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদেরকে ঐ দিন একত্রিত করবেন যার সময় নির্ধারিত রয়েছে। তাদের দৃষ্টিগুলো আকাশের দিকে থাকবে। প্রত্যেকেই ফায়সালার জন্য অপেক্ষমান থাকবে। মহান আল্লাহ্ মেঘমালার ছত্র-ছায়ায় ‘আরশ হতে কুরসীর ওপর অবতরণ করবেন। (সনদটি হাসান। আল উলু‘ লিয যাহাবী-১১০ পৃষ্ঠা, হাদীস-৬৯, আল মাজমা‘উয যাওয়ায়িদ-১০/৩৪০)
ইবন আবী হাতিম (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) সূত্রে বলেন যে, যে সময় তিনি অবতরণ করবেন সেই সময় তাঁর মধ্যে ও তাঁর সৃষ্টজীবের মধ্যে সত্তর হাজার আবরণ থাকবে। আবরণগুলো হবে আলো, অন্ধকার ও পানির আবরণ। পানি অন্ধকারের মধ্যে এমন শব্দ করবে যার ফলে অন্তর কেঁপে উঠবে। (সনদটি মুনকাতি‘ তথা বিচ্ছিন্ন। তাফসীর ইবনু আবী হাতিম) আর যুহাইর ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) -এর সূত্রে বলেন যে, ঐ মেঘপুঞ্জের ছায়াতল মণি দ্বারা জড়ানো থাকবে এবং তা হবে মুক্তা ও পান্না বিশিষ্ট। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন যে, এই মেঘমালা সাধারণ মেঘমালা নয়। বরং এটা ঐ মেঘমালা যা তীহ উপত্যকায় বানী ইসরাইলের মস্তকোপরি বিরাজমান ছিলো।
আবুল ‘আলিয়া (রহঃ) বলেন যে, ه هَلْ يَنْظُرُونَ إِلَّا أَنْ يَأْتِيَهُمُ اللهُ فِي ظُلَلٍ مِنَ الْغَمامِ وَالْمَلائِكَةُ -এর অর্থ হচ্ছে ফিরিশতাগণ মেঘপুঞ্জের ছায়াতলে আসবে এবং মহান আল্লাহ্ যাতে চাবেন তাতেই আসবেন। (তাফসীর তাবারী ৪/২৬৪) কোন কোন পঠনে এটাও আছে যেঃ
هَلْ يَنْظُرُونَ إِلَّا أَنْ يَأْتِيَهُمُ اللهُ وَالْمَلَائِكَةُ فِي ظُلَلٍ مِنَ الْغَمَامِ.
‘তারা কি এই অপেক্ষায়ই রয়েছে যে, মহান আল্লাহ্ তাদের নিকট আগমন করবেন এবং ফিরিশতাগণ মেঘমালার ছায়াতলে আসবে? এটা মহান আল্লাহ্র নিম্নোক্ত বাণীর সাদৃশ্যঃ
﴿وَ یَوْمَ تَشَقَّقُ السَّمَآءُ بِالْغَمَامِ وَ نُزِّلَ الْمَلٰٓىِٕكَةُ تَنْزِیْلًا﴾
‘যেদিন আকাশ মেঘপুঞ্জসহ বিদীর্ণ হবে এবং ফিরিশতাগণকে নামিয়ে দেয়া হবে।’ (২৫নং সূরাহ্ ফুরকান, আয়াত নং ২৫)
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings