Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 199
Saheeh International
Then depart from the place from where [all] the people depart and ask forgiveness of Allah . Indeed, Allah is Forgiving and Merciful.
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
‘আরাফা মাইদানে অবস্থানের পর ঐ স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ
‘আরাফায় অবস্থানকারীদের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, তারা এখান থেকে মুযদালিফায় যাবে, যেন ‘মাশ’আরুল হারামের’ নিকট মহান আল্লাহ্কে স্মরণ করতে পারে। এটাও তাদেরকে বলা হচ্ছে যে, কুরাইশরাও সমস্ত লোকের সাথে ‘আরাফায় অবস্থান করবে, যেমন সর্বসাধারণ এখানে অবস্থান করতো। পূর্বে কুরাইশরা তাদের গৌরব ও আভিজাত্য প্রকাশের জন্য মুযদালিফায় অবস্থান করতো এবং অন্যরা ‘আরাফাহ মাঠের সীমার বাইরে যেতো না।
সহীহুল বুখারীতে রয়েছে যে, কুরাইশ ও তাদের মতানুসারী লোকেরা মুযদালিফায়ই থেমে যেতো এবং নিজেদের নাম حَمَس রাখতো। অবশিষ্ট সমস্ত ‘আরববাসী ‘আরাফায় গিয়ে অবস্থান করতো এবং ওখান হতে ফিরে আসতো। এ জন্যই ইসলাম নির্দেশ দিয়েছে যে, সর্ব সাধারণ যেখান হতে প্রত্যাবর্তন করতো, তোমরা সেখান হতে প্রত্যাবর্তন করো। (ফাতহুল বারী ৮/৩৫) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) , মুজাহিদ (রহঃ) , ‘আতা (রহঃ) , কাতাদাহ (রহঃ) ,সুদ্দী (রহঃ) প্রভৃতি মনীষীও এটিই বলেন। (তাফসীর তাবারী ৪/১৮৬, ১৮৭) ইমাম ইবনু জারীর (রহঃ) -ও এই তাফসীরই পছন্দ করেছেন এবং বলেছেন যে, এর ওপর ইজমা‘ রয়েছে।
বর্ণিত আছে যে, যুবাইর ইবনু মুত‘ঈম (রাঃ) বলেনঃ ‘আমার উট ‘আরাফায় হারিয়ে যায়, আমি উটটি খুঁজতে বের হই। সেখানে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে অবস্থানরত অবস্থায় দেখতে পাই। আমি বলি, ‘এটা কেমন কথা যে, ইনি হচ্ছেন حَمَس , অথচ ‘হারামের’ বাইরে এসে অবস্থান করছেন।’ (মুসনাদ আহমাদ ৪/৮০, ফাতহুল বারী ৩/৬০২, সহীহ মুসলিম ২/৮৯৪) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এখানে إِفَاضَة শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে প্রস্তর নিক্ষেপের উদ্দেশ্যে মুযদালিফা হতে মিনায় যাওয়া। (ফাতহুল বারী ১/৩৫) আর اَلنَّاسُ শব্দ দ্বারা ইবরাহীম (আঃ) -কে বুঝানো হয়েছে। মহান আল্লাহ্ই ভালো জানেন।
মহান আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা
অতঃপর ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, যার নির্দেশ সাধারণত ‘ইবাদতের পরে দেয়া হয়ে থাকে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরয সালাত সমাপ্ত করার পর তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। (সহীহ মুসলিম ১/৪১৪) তিনি জনসাধারণকে ‘সুবহানাল্লাহি’ ‘আলহামদুলিল্লাহি’ এবং ‘আল্লাহু আকবার’ তেত্রিশ বার করে পড়ার নির্দেশ দিতেন। (ফাতহুল বারী ২/৩৭৮, সহীহ মুসলিম ১/৪১৭) ইমাম বুখারী (রহঃ) ইবনু মারদুআহ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, সাদ্দাদ ইবনু আউস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সমুদয় ক্ষমা প্রার্থনার নেতা হচ্ছে নিম্নের এই প্রার্থনাটিঃ
اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتِنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلِيَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ.
‘হে মহান আল্লাহ্! তুমি আমার রাব্ব, তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো। আমি তোমারই বান্দা। আমি যথাসাধ্য তোমার সাথে কৃত প্রতিজ্ঞা পালনে বদ্ধ পরিকর। আমি যা করেছি তার খারাপ প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য তোমার আশ্রয় চাই। তুমি আমাকে যেসব নি‘য়ামত দান করেছো আমি তা স্বীকার করছি। আমি আমার অপরাধও স্বীকার করছি। অতএব আমাকে ক্ষমা করো। কেননা তুমি ছাড়া পাপ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এই দু‘আটি রাতে পাঠ করবে যদি সেই রাতেই মারা যায় তাহলে সে অবশ্যই জান্নাতী হবে। আর যে ব্যক্তি এটি দিনে পাঠ করবে, যদি ঐ দিনই সে মৃত্যু বরণ করে তাহলে অবশ্যই সে জান্নাতী হবে। (সহীহুল বুখারী-২/৭৫/৬১৭, ১১/১০০/৬৩০৬, ফাতহুল বারী ১১/১০০, সুনান নাসাঈ -৮/৬৭৪/৫৫৩৭, মুসনাদ আহমাদ -৪/১২২,১২৪, ১২৫, মুসতাদরাক হাকিম-২/৪৫৮)
আবূ বাকর (রাঃ) একবার বলেনঃ ‘হে মহান আল্লাহ্ রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমাকে কোন একটি দু‘আ শিখিয়ে দিন যা আমি সালাতে পাঠ করবো।’ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আপনি বলুনঃ
اَللّٰهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيرًْا وَّلَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ.
হে মহান আল্লাহ্! আমি আমার নিজের নাফসের ওপর অনেক যুলম করেছি। তুমি ছাড়া পাপমোচনকারী আর কেউ নেই। অতএব হে মহান আল্লাহ্! অনুগ্রহ করে আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার প্রতি দয়া করো। নিশ্চয়ই তুমি দয়ালু ও সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাকারী।’ (সহীহুল বুখারী-২/৮৩৪ফাতহুল বারী ১৩/৪৮৪, সহীহ মুসলিম ৪/২০৭৮/৪৮, জামি‘ তিরমিযী-৫/৫০৭/৩৫৩১, সুনান নাসাঈ -৩/৬০/১৩০১, সুনান ইবনু মাজাহ-২/১২৬১/৩৮৩৫, মুসনাদ আহমাদ -১/৩, ৭)
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings