Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 198
Saheeh International
There is no blame upon you for seeking bounty from your Lord [during Hajj]. But when you depart from 'Arafat, remember Allah at al- Mash'ar al-Haram. And remember Him, as He has guided you, for indeed, you were before that among those astray.
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
হাজ্জের সময় আর্থিক লেনদেন করা
সহীহুল বুখারীতেও আয়াতের তাফসীরে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। অজ্ঞতার যুগে উকায, মিজান্নাহ এবং যুলমাজায্ নামে বাজার ছিলো। ইসলাম গ্রহণের পর হাজ্জের সময় সাহাবীগণ (রাঃ) ঐ বাজারগুলোতে ব্যবসা করার ব্যাপারে পাপ হওয়ার ভয় করেন। ফলে তাঁদেরকে অনুমতি দেয়া হয় যে, হাজ্জের মৌসুমে ব্যবসা করলে কোন পাপ নেই। (সহীহুল বুখারী-৮/৩৪/৪৫১৯, তাফসীরে আব্দুর রাযযাক-১/৯৫/২২৭, ফাতহুল বারী ৮/৩৪, আবূ দাঊদ ২/৩৫০) মুজাহিদ (রহঃ) , সা‘ঈদ ইবনু যুবাইর (রহঃ) , ইকরামাহ (রহঃ) , মানসূর ইবনুল মুতামির (রহঃ) , কাতাদাহ (রহঃ) , ইবরাহীম নাখ‘ঈ (রহঃ) , রাবী‘ ইবনু আনাস (রহঃ) এবং অন্যান্যরাও এরূপই ব্যাখ্যা করেছেন।
আবূ উমামা (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) জিজ্ঞাসিত হোন যে, একটি লোক হাজ্জ করতে যাচ্ছে এবং সাথে সাথে ব্যবসাও করছে তার ব্যাপারে নির্দেশ কি? তখন তিনি এই আয়াতটি পাঠ করে শোনান। (সনদ জায়্যিদ তথা উত্তম। তাফসীর তাবারী ৪/১৬৫/৩৮৭০)
মুসনাদ আহমাদে রয়েছে, আবূ উমামা তাইমী (রহঃ) , ইবনু ‘উমার (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করেনঃ ‘হাজ্জে আমরা পশু ভাড়া দিয়ে থাকি, আমাদেরও হাজ্জ হয়ে যাবে কি?’ তিনি উত্তরে বলেনঃ ‘তোমরা কি বায়তুল্লার তাওয়াফ করো না?’ তোমরা কি ‘আরাফায় অবস্থান করো না?’ শায়তানকে কি তোমরা পাথর মারো না? তোমরা কি মাথা মুণ্ডন করো না? তিনি বলেন, ‘এইসব কাজ তো আমরা করি।’ তখন ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, ‘তাহলে জেনে রেখো যে, একটি লোক এই প্রশ্নই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কেও করেছিলো এবং তারই উত্তরে জিবরাঈল (আঃ) ﴿ لَیْسَ عَلَیْكُمْ جُنَاحٌ اَنْ تَبْتَغُوْا فَضْلًا مِّنْ رَّبِّكُمْ ﴾ এই আয়াতটি অবতরণ করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন লোকটিকে ডাক দিয়ে বলেনঃ ‘তুমি হাজী, তোমার হাজ্জ হয়ে গেছে।’ (হাদীসটি সহীহ। তাফসীর তাবারী ৪/১৬৪/৩৮৬৫, মুসনাদ আহমাদ -২/১৫৫/৬৪৩৪, সুনান দারাকুতনী-২/২৯২) অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, ‘আবূ সালিহ (রহঃ) আমিরুল মু’মিনীন ‘উমার (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করেনঃ আপনি কি হাজ্জের সময় আর্থিক লেনদেন করে থাকেন? উত্তরে তিনি বলেনঃ হাজ্জের সময় কি খাদ্যদ্রব্যের প্রয়োজন হয় না? (হাদীসটি য‘ঈফ। তাফসীর তাবারী - ৪/১৬৭/৩৭৮৮)
‘আরাফাহ মাঠে অবস্থান
অতঃপর মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
﴿فَاِذَاۤ اَفَضْتُمْ مِّنْ عَرَفٰتٍ فَاذْكُرُوا اللّٰهَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ﴾
‘যখন তোমরা ‘আরাফাত থেকে ফিরবে তখন মাশ‘আরুল হারামের নিকট মহান আল্লাহ্ কে স্মরণ করবে।’ এখানে عرفات শব্দটি ‘আলাম হওয়া শর্তেও মুনসারিফ পড়া হয়েছে। কেননা এটা মূলত مسلمات এর ওযনে জুমু‘আ মুওয়ান্নাস সালিম।
‘আরাফাত ঐ জায়গার নাম যেখানে অবস্থান করা হাজ্জের কার্যসমূহের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। মুসনাদ আহমাদ ইত্যাদি গ্রন্থে রয়েছে, ‘আবদুর রহমান ইবনু ইমার আদ দাইলী (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ
الْحَجُّ عَرَفَاتٌ -ثَلَاثًا -فَمَنْ أَدْرَكَ عَرَفَةَ قَبْلَ أَنْ يَطْلُعَ الْفَجْرُ، فَقَدْ أَدْرَكَ. وَأَيَّامُ مِنًى ثَلَاثَةٌ فَمَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ، وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ
‘হাজ্জ হচ্ছে ‘আরাফায়। এ কথা তিনি তিন বার বলেন। যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বেই ‘আরাফায় পৌঁছে গেলো সে হাজ্জ পেয়ে গেলো। আর ‘মিনা’য় অবস্থান হচ্ছে তিন দিন। যে ব্যক্তি দু’দিনে তাড়াতাড়ি করলো তারও কোন পাপ নেই এবং যে বিলম্ব করলো তারও কোন পাপ নেই।’ (হাদীসটি সহীহ। মুসনাদ আহমাদ - ৪/৩০৯, ৩৩৫, সুনান আবূ দাঊদ-২/২৯৬/১৯৪৯, জামি‘ তিরমিযী-৩/২৩৭/৭৭৯, সুনান নাসাঈ - ৫/২৮২/৩০১৬, ২/৪২৪/৪০১১, ৪০১২, ইবনু মাজাহ-২/১০০৩/৩০১৫,সহীহ ইবনু খুযায়মাহ-৪/২৫৭/২৮২২, সুনান দারিমী-২/৮২/১৮৮৭, মুসনাদ আহমাদ -৪/৩০৯/৩১০)
‘আরাফায় অবস্থানের সময়কাল
‘আরাফায় অবস্থানের সময় হচ্ছে ৯ যিলহাজ্জ তারিখে পশ্চিমে সূর্য হেলে যাওয়া থেকে নিয়ে ১০ যিলহাজ্জ তারিখের ফজর প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত। কেননা মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হাজ্জে যোহরের সালাতের পর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এখানে অবস্থান করেছিলো এবং বলেছিলেনঃ لِتَأْخُذُوا عَنِّي مَنَاسِكَكُمْ.
‘আমার নিকট হতে তোমরা তোমাদের হাজ্জের নিয়মাবলী শিখে নাও।’ (সহীহ মুসলিম-১২৯৭, ২/৯৪৩) ওপরে বর্ণিত হাদীস থেকে জানা গেলো, যে ব্যক্তি ১০যিলহাজ্জের ফজরের পূর্বে ‘আরাফার মাঠে উপস্থিত হতে পারলো সে হাজ্জের নিয়ম পালন করলো।
‘উরওয়াহ ইবনু মুদাররিস ইবনু হারিসাহ ইবনু লাম আত-তা‘ঈ (রাঃ) বলেনঃ আমি মুজদালিফায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে উপস্থিত হলাম যখন ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেছে। আমি তাঁকে বললামঃ হে মহান আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমি তা’ইয়ের দু’টি পাহাড় থেকে এসেছি,আমি এবং আমাকে বহনকারী পশু উভয়ই ক্লান্ত। এমন কোন পাহাড় বাদ রাখিনি যেখানে আমি থামিনি। আমার হাজ্জ করা হয়েছে কি? তিনি বলেনঃ
مَنْ شَهِدَ صَلَاتَنَا هَذِهِ، فَوَقَفَ مَعَنَا حَتَّى نَدْفَعَ وَقَدْ وَقَفَ بِعَرَفَةَ قَبْلَ ذَلِكَ لَيْلًا أَوْ نَهَارًا، فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ وَقَضَى تَفَثَهُ.
‘যে ব্যক্তি এখানে আমাদের এই সালাত আদায়ের সময় পৌঁছে যাবে এবং চলার সময় পর্যন্ত আমাদের সাথে অবস্থান করবে, এর পূর্বে সে ‘আরাফায়ও যাবে এবং ফারযিয়াত হতে সে অবকাশ লাভ করবে। (মুসনাদ আহমাদ ৪/২৬১, সুনান আবূ দাঊদ-২/১৯৬/১৯৫, জামি‘ তিরমিযী-৩/৩৩৮/৮৯১, সুনান নাসাঈ -৫/২৯১/৩০৪১, সুনান ইবনু মাজাহ-২/১০০৪/৩০১৬, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ-৪/২৫৫, ২৫৬/২৮২০, সুনান দারিমী-২/৮৩/১৮৮৮, মুসনাদ আহমাদ -৪/১৫, ২৬১, ২৬২) ইমাম তিরমিযী (রহঃ) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
আমীরুল মু’মিনীন ‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, ইব্রাহীম (আঃ) -এর নিকট মহান আল্লাহ্ জিবরাঈল (আঃ) -কে প্রেরণ করেন এবং তিনি তাঁকে হাজ্জ করিয়ে দেন। ‘আরাফায় পৌঁছে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন عَرَفَة ‘আপনি চিনতে পেরেছেন কি?’ ইবরাহীম (আঃ) বলেন, র্আরাফতু অর্থাৎ ‘আমি চিনতে পেরেছি।’ কেননা এর পূর্বে আমি এখানে এসেছিলাম।’ এ জন্যই এ স্থানের নাম ‘আরাফাহ হয়ে গেছে। (সনদ বিচ্ছিন্ন। তাফসীর তাবারী -(১/৪) /১৭৩/৩৭৯৪,৩৭৯৫, মুসনাদ ‘আবদুর রাযযাক ৫/৯৬, তাফসীরে ‘আবদুর রাযযাক-১/৯৫/২৩১) ‘আতা’ (রহঃ) , ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) , ইবনু ‘উমার (রাঃ) , এবং আবূ মিজলায (রহঃ) হতেও এটাই বর্ণিত আছে। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ২/৫১৯) ‘আরাফার নাম ‘মাশ’আরুল হারাম,’ ‘আবার মাশ’আরুল’ ‘আকসা এবং ‘ইলাল’ও বটে। ঐ পাহাড়কেও আরা’ফাহ বলে যার মধ্যস্থলে ‘জাবালুর রহমত’ রয়েছে।
কখন ‘আরাফাহ ও মুজদালিফা ত্যাগ করতে হবে
অজ্ঞতা-যুগের অধিবাসীরাও ‘আরাফায় অবস্থান করতো। যখন রোদ পর্বত চূড়ায় এরূপভাবে অবশিষ্ট থাকতো যেরূপভাবে মানুষের মাথায় পাগড়ী থাকে, তখন তারা সেখান হতে চলে যেতো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্যাস্তের পর সেখান হতে প্রস্থান করেন। (সনদ য‘ঈফ। তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ২/৫১৭) অতঃপর তিনি মুজদালিফায় পৌঁছে সেখানে শিবির স্থাপন করেন এবং দুই ভিন্ন ইকামতে মাগরিব ও ইশার সালাত আদায় করেন। প্রত্যুষে অন্ধকার থাকতেই ওয়াক্তের প্রথম ভাগে তিনি ফজরের সালাত আদায় করেন। ফজরের সময়ের শেষভাগে তিনি ওখান হতে যাত্রা শুরু করেন।
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি সুদীর্ঘ হাদীসে বিদায় হাজ্জের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। এতে এটাও রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্যাস্ত পর্যন্ত ‘আরাফায় অবস্থান করেন। যখন সূর্য লুপ্ত হয় তখন এবং কিঞ্চিৎ হলদে বর্ণ প্রকাশ পায় তখন তিনি নিজের সাওয়ারীর ওপর উসামা ইবনু যায়দ (রাঃ) -কে পিছনে বসিয়ে নেন। অতঃপর উষ্ট্রীর লাগাম টেনে ধরেন, ফলে উষ্ট্রীর মাথা গদির নিকটে পৌঁছে যায়। ডান হাতের ইশারায় তিনি জনগণকে বলতে থাকেনঃ ‘হে জনমণ্ডলী! তোমরা ধীরে-সুস্থে ও আরাম-আয়েশের সাথে চলো। যখনই তিনি কোন পাহাড়ের সম্মুখীন হোন তখনই তিনি লাগাম কিছুটা ঢিল দেন যাতে পশুটি সহজে উপরে উঠতে পারে। মুযদালিফায় পৌঁছে তিনি এক আযান ও দু’ ইকামতের মাধ্যমে মাগরিব ও ‘ঈশার সালাত আদায় করেন। মাগরিব ও ‘ঈশার ফরয সালাতের মধ্যবর্তী সময় কোন সুন্নাত ও নফল সালাত আদায় করেননি। অতঃপর ঘুমানোর জন্য শুইয়ে পড়েন। সুবহি সাদিক প্রকাশিত হওয়ার পর আযান ও ইকামতের মাধ্যমে ফজরের সালাত আদায় করেন। তারপর ‘কাসওয়া’ নামক উষ্ট্রীতে আরোহণ করে ‘মাশ’আরে হারামে’ আসেন এবং কিবলাহ মুখী হয়ে দু‘আ করায় লিপ্ত হোন। আল্লাহু আকবার ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করে মহান আল্লাহ্র শ্রেষ্ঠত্ব ও একাত্মতা বর্ণনা করতে থাকেন। তারপর তিনি একটু ঘুমিয়ে পড়েন। সূর্যদয়ের পূর্বেই তিনি এখান থেকে রাওনা হোন। (সহীহ মুসলিম-২/১৪৭/৮৮৬-৮৯২) উসামা (রাঃ) -কে প্রশ্ন করা হলোঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এখান হতে যাওয়ার সময় কোন গতিতে চলেন? তিনি উত্তরে বলেনঃ মধ্যম গতিতে তিনি সাওয়ারী চালনা করেন। তবে রাস্তা প্রশস্ত দেখলে কিছু দ্রুত গতিতেও চালাতেন। (ফাতহুল বারী ৩/৬০৫, সহীহ মুসলিম ২/৯৩৬)
মাশ’আরুল হারামের বর্ণনা
‘আবদুর রাযযাক তাঁর মুসনাদ বর্ণনা করেছেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেছেন যে, মুযদালিফার সম্পূর্ণ অংশই মাশ’আরুল হারামের অন্তর্ভুক্ত। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ২/৫২১) বর্ণিত আছে যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ) -কে মাশ’আরুল হারাম (অত্র আয়াতে উল্লিখিত) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ এটা হলো মুযদালিফার এই পাহাড় এবং এর চারিদিকের এলাকা। (তাফসীর তাবারী ৪/১৭৬) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) , সা‘ঈদ ইবনু যুবাইর (রহঃ) , ইকরামাহ (রহঃ) , মুজাহিদ (রহঃ) , সুদ্দী (রহঃ) , রাবী‘ ইবনু আনাস (রহঃ) , হাসান বাসরী (রহঃ) এবং কাতাদাহ (রহঃ) বলেছেন যে, মুযদালিফার দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী জায়গা হলো মাশ’আরুল হারাম। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ২/৫২১, ৫২২)
যুবাইর ইবনু মুত‘ঈম (রাঃ) থেকে ইমাম আহমাদ (রহঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আরাফার সমস্ত জায়গাই অবস্থান স্থল, তবে ‘উরানাহ ’ থেকে দূরে থাকবে। মুযদালিফার সমস্ত জায়গাই অবস্থান করার স্থল। তবে ‘মুহাসসার’ এর মধ্যভাগ থেকে দূরে থাকবে। মাক্কার সমস্ত জায়গাই হচ্ছে কুরবানী করার জায়গা এবং সমস্ত আইয়ামে তাশরীকের দিনগুলো অর্থাৎ ১১ থেকে ১৩ যিলহাজ্জ হচ্ছে কুরবানী করার দিন। (মুসনাদ আহমাদ ৪/৮২)
একটি মুরসাল হাদীসে রয়েছে যে, ‘আরাফার সমস্ত প্রান্তই অবস্থান স্থল। ‘আরাফাহ হতে উট এবং মুযদালিফায় প্রত্যেক সীমায় থামার জায়গা। তবে মুহাসসার উপত্যকাটি নয়। মুসনাদ আহমাদে এর পরে রয়েছে যে, মাক্কার সমস্ত গলিই কুরবানী করার জায়গা এবং ‘আইয়ামে তাশরীকের’ অর্থাৎ ১১ থেকে ১৩ যিলহাজ্জ প্রতিটি দিনই হচ্ছে কুরবানীর দিন। কিন্তু এ হাদীসটিও মুনকাতা‘। কেননা সুলাইমা ইবনু মূসা রাশদাক যুবাইর ইবনু মুত‘ঈম (রাঃ) -কে পায়নি।
অতঃপর মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেনঃ ﴿وَاذْكُرُوْهُكَمَاهَدٰىكُمْ﴾‘মহান আল্লাহ্কে স্মরণ করো। কেননা তিনি তোমাদেরকে সুপথ দেখিয়েছেন।’ হাজ্জের আহকাম বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন এবং ইব্রাহীম (আঃ) -এর এই সুন্নাতকে প্রকাশ করেছেন। অথচ তোমরা এর পূর্বে বিভ্রান্তদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে। অর্থাৎ এই সুপথ প্রদর্শনের পূর্বে কিংবা এই কুর’আনুল হাকীমের পূর্বে অথবা এই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পূর্বে প্রকৃতপক্ষে এই তিনটিরই পূর্বে দুনিয়া ভ্রান্তির মধ্যে ছিলো।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings