Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 194
Saheeh International
[Fighting in] the sacred month is for [aggression committed in] the sacred month, and for [all] violations is legal retribution. So whoever has assaulted you, then assault him in the same way that he has assaulted you. And fear Allah and know that Allah is with those who fear Him.
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
আত্মরক্ষা ছাড়া নিষিদ্ধ মাসে যুদ্ধ করা যাবে না
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) , যাহহাক (রহঃ) , সুদ্দী (রহঃ) , কাতাদাহ (রহঃ) , মিকসাম (রহঃ) , রাবী‘ ইবনু আনাস (রহঃ) এবং ‘আত্বা (রহঃ) বলেনঃ ষষ্ঠ হিজরীর যিলকাদ মাসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীগণসহ (রাঃ) ‘উমরাহ্ করার জন্য কা‘বা ঘরের দিকে যাত্রা করেন। কিন্তু মুশরিকরা তাঁদেরকে ‘হুদায়বিয়া’ প্রান্তরে বাধা দিতে এগিয়ে আসে। অবশেষে এই শর্তের ওপর তাদের সাথে সন্ধি হয় যে, তাঁরা পরের বছর মহান আল্লাহ্র ঘরে প্রবেশ করে ‘উমরাহ্ করবেন। পরের বছর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীগণকে সাথে নিয়ে মহান আল্লাহ্র (কা‘বা) ঘরে প্রবেশ করেন। আর এ সময় আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা মুশরিকরা যে খারাপ আচরণ করেছিলো তার বদলা নেয়ার অনুমতি দিয়ে ﴿اَلشَّهْرُالْحَرَامُبِالشَّهْرِالْحَرَامِوَالْحُرُمٰتُقِصَاصٌ﴾এ আয়াতটি নাযিল করেন। (তাফসীর তাবারী ৩/৫৭৫-৫৭৭ ও ৫৭৯)
মুসনাদ আহমাদে রয়েছে, নিষিদ্ধ মাসসমূহে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধ করতেন না। তবে যদি তাঁর ওপর কেউ আক্রমণ করতো তাহলে সেটা অন্য কথা। এমনকি যুদ্ধ করতে করতে নিষিদ্ধ মাস এসে পড়লে তিনি যুদ্ধ বন্ধ করে দিতেন। (হাদীসটি সহীহ। মুসনাদ আহমাদ -৩/৩৩৪, ৩৩৫, আল মাজমা‘উয যাওয়ায়িদ-৬/৬৬) হুদায়বিয়ার প্রান্তরেও যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এ সংবাদ পৌঁছে যে, ‘উসমান (রাঃ) -কে মুশরিকরা শহীদ করেছে যিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বাণী নিয়ে মাক্কায় গিয়েছিলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর চৌদ্দশ সাহাবী (রাঃ) নিয়ে একটি গাছের নীচে মুশরিকদের সাথে জিহাদ করার বায়’আত গ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি যখন জানতে পারেন যে, এটা ভুল সংবাদ তখন তিনি তাঁর ইচ্ছা স্থগিত রাখেন এবং সন্ধির দিকে ঝুঁকে পড়েন। এর পরে যা ঘটবার তা ঘটেছিলো।
অনুরূপভাবে ‘হাওয়াযিন’ গোত্রের সাথে হুনাইনের যুদ্ধ হতে যখন তিনি অবকাশ লাভ করেন তখন মুশরিকরা তায়িফে গিয়ে দূর্গের মধ্যে আবধ্য হয়ে পড়ে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে অবরোধ করেন। চল্লিশ দিন পর্যন্ত এ অবরোধ স্থায়ী হয়। অবশেষে কয়েকজন সাহাবী (রাঃ) শাহাদাতের পর এ অবরোধ উঠিয়ে নেয়া হয় এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কার দিকে ফিরে যান। ‘জিরানাহ’ নামক স্থান হতে তিনি ‘উমরাহ্ ইহরাম বাঁধেন। এখানে যুদ্ধ লব্ধ দ্রব্য বন্টন করেন। তাঁর এ ‘উমরাহ্ যিলকাদ মাসে সংঘটিত হয়। এটা ছিলো হিজরী অষ্টম সনের ঘটনা। (ফাতহুল বারী ৩/৭০১, সহীহ মুসলিম-২/৯১৬,সুনান বায়হাক্বী-৯/৮৪)
অতঃপর বলা হচ্ছে যে, ‘যারা তোমাদের প্রতি অত্যাচার করে তোমরাও তাদের প্রতি ঐ পরিমাণই অত্যাচার করো।’ অর্থাৎ মুশরিকদের ব্যাপারেও ন্যায়ের প্রতি খেয়াল রেখো। এখানেও অত্যাচারের বিনিময় অত্যাচার দ্বারাই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেমন অন্যান্য জায়গায় শাস্তির বিনিময়কেও ‘শাস্তি শব্দের দ্বারাই ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং অন্যায়ের বিনিময়কেও অন্যায় দ্বারাই বর্ণনা করা হয়েছে।
অন্যত্র বলা হয়েছেঃ ﴿وَ اِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوْا بِمِثْلِ مَا عُوْقِبْتُمْ بِه﴾
‘যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ করো তাহলে ঠিক ততোখানি করবে যতোখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে।’ (১৬নং সূরাহ্ নাহল, আয়াত নং ১২৬)
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, এই আয়াতটি মাক্কাহ মু‘আয্যামায় অবতীর্ণ হয়, যেখানে মুসলমানদের কোন মর্যাদা বা সম্মান ছিলো না। সেখানে তাঁদের প্রতি জিহাদেরও নির্দেশ ছিলো না। অতঃপর এই আয়াতটি মাদীনা মুনাওয়ারায় অবতারিত জিহাদ সম্পর্কীয় নির্দেশের দ্বারা রহিত হয়। কিন্তু ইবনু জারীর (রহঃ) এটা অগ্রাহ্য করেছেন এবং বলেছেন যে, এই আয়াতটি মাদানী, যা ‘উমরাহ্ পুরা করার পর অবতীর্ণ হয়েছিলো। মুজাহিদ (রহঃ) -এরও এটাই অভিমত।
অতঃপর বলা হয়েছে যে, ‘তোমরা মহান আল্লাহ্র আনুগত্য স্বীকার করো ও তাঁকে ভয় করো এবং জেনে রেখো যে, এরূপ লোকের ওপরই ইহকাল ও পরকালে মহান আল্লাহ্র সহায়তা ও সাহায্য রয়েছে।’
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings