Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 189
Saheeh International
They ask you, [O Muhammad], about the new moons. Say, "They are measurements of time for the people and for Hajj." And it is not righteousness to enter houses from the back, but righteousness is [in] one who fears Allah. And enter houses from their doors. And fear Allah that you may succeed.
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
প্রথম চাঁদ বা হেলাল
আল ‘আউফী (রহঃ) বর্ণনা করেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে নতুন চাঁদ অর্থাৎ হেলাল সম্পর্কে জানতে চায়। তখন মহান আল্লাহ্ ﴿یَسْـَٔلُوْنَكَ عَنِ الْاَهِلَّةِ قُلْ هِیَ مَوَاقِیْتُ لِلنَّاسِ ﴾ এ আয়াত নাযিল করেন এবং এতে বলা হয় যে, এর দ্বারা ‘ইবাদতের সময়কালে কোন মহিলার ইদ্দতের এবং হাজ্জের সময় জানা যায়। (তাফসীর তাবারী ৩/৫৫৪) মুসলিমদের সিয়াম-ইফতারের সম্পর্কও এর সাথে সংশ্লিষ্ট। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
جَعَلَ اللَّهُ الْأَهِلَّةَ مَوَاقِيتَ لِلنَّاسِ فَصُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ، فَإِنَّ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَعُدُّوا ثَلَاثِينَ يَوْمًا.
‘মহান আল্লাহ্ মানুষের সময় নিরূপণের জন্য চাঁদ তৈরী করেছেন। এটা দেখে সিয়াম পালন করো, এটা দেখে ‘ঈদ-উৎসব উদযাপন করো। যদি মেঘের কারণে চাঁদ দেখতে না পাও তাহলে পূর্ণ ত্রিশ দিন গণনা করে নাও।’ (হাদীসটি হাসান। মুসনাদ ‘আবদুর রাযযাক-৪/১৫৬/৭৩০৬, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্-৩/২০১/১৯০৬, সুনান বায়হাক্বী-৪/২০৫) এই বর্ণনাটিকে ইমাম হাকিম (রহঃ) সঠিক বলেছেন। এই হাদীসটি অন্য সনদেও বর্ণিত হয়েছে। (হাদীসটি হাসান। মুসতাদরাক হাকিম- ১/৪২৩। মুসনাদ আহমাদ -৪/২৩, সুনান দারাকুতনী-২/১৬৩/২৯, আল কামিল-৬/১৫০, আল মাজমা‘উয যাওয়ায়িদ-৩/১৪৫)
তাকওয়া সঠিক ‘আমল করতে সাহায্য করে
মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেনঃ
﴿وَلَیْسَ الْبِرُّ بِاَنْ تَاْتُوا الْبُیُوْتَ مِنْ ظُهُوْرِهَا وَ لٰكِنَّ الْبِرَّ مَنِ اتَّقٰى١ۚ وَ اْتُوا الْبُیُوْتَ مِنْ اَبْوَابِهَا﴾
‘তোমরা যে পশ্চাৎ দিক দিয়ে গৃহে প্রবেশ করো এটি সাওয়াবের কাজ নয়, বরং সওয়াবের কাজ হলো যে ব্যক্তি সংযমশীলতা অবলম্বন করে। আর তোমরা গৃহসমূহে সেগুলোর দরজা দিয়ে প্রবেশ করো। সহীহুল বুখারীতে রয়েছেঃ
كَانُوا إِذَا أَحْرَمُوا فِي الْجَاهِلِيَّةِ أتَوْا الْبَيْتَ مِنْ ظَهْرِهِ
‘অজ্ঞতার যুগে প্রথা ছিলো যে, মানুষ ইহরাম অবস্থায় থাকলে বাড়ীতে পিছন দিক দিয়ে প্রবেশ করতো। ফলে এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (সহীহুল বুখারী-৮/৩১/৪৫১২, ফাতহুল বারী ৮/৩১০)
আবূ দাঊদ ত্বায়ালিসী (রহঃ) এর হাদীস গ্রন্থেও এই বর্ণনাটি রয়েছে। মাদীনার আনসারগণের সাধারণ প্রথা এই ছিলো যে, সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় তারা বাড়ীতে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতো না। (মুসনাদ আবূ দাউদ ত্বয়ালিসি-৯৮/৭১৭) প্রকৃতপক্ষে অজ্ঞতার যুগের কুরাইশরা নিজেদের জন্য এটাও একটা স্বাতন্ত্র্য স্থাপন করেছিলো যে, তারা নিজেদের নাম ‘হুমুস’ রেখেছিলো। ইহরাম অবস্থায় এরা সোজা পথে গৃহে প্রবেশ করতে পারতো; কিন্তু বাকি লোকেরা এভাবে পারতো না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি বাগানে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে তিনি তার দরজা দিয়ে বের হোন।
তাঁর একজন আনসারী সাহাবী কুতবাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) ও তাঁর সাথে ঐ দরজা দিয়েই বের হোন। তখন জনগণ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলেন, হে মহান আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! তিনি তো একজন ব্যবসায়ী মানুষ। তিনি আপনার সাথে আপনার মতোই দরজা দিয়ে বের হলেন কেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন কুতবাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) -কে বললেনঃ مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ
‘কিসে তোমাকে এরূপ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে? তিনি উত্তরে দেন যেঃ আমি আপনাকে যা করতে দেখেছি তাই করেছি। আমি স্বীকার করি যে, আমি হুমুসের অন্তর্ভুক্ত। কেননা আমার ও আপনার ধর্ম তো একই। তখন এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (হাদীসটি সহীহ। মুসতাদরাক হাকিম-১/৪৮৩)
হাসান বাসরী (রহঃ) বলেনঃ ‘অজ্ঞতার যুগে বহু সম্প্রদায়ের মধ্যে এই প্রথা চালু ছিলো যে, যখন তারা সফরের উদ্দেশে বের হতো তখন যদি কোন কারণবশতঃ সফরকে অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় ছেড়ে ফিরে আসতো তাহলে তারা দরজা দিয়ে গৃহে প্রবেশ করতো না, বরং পিছন দিক দিয়ে আসতো। এই আয়াত দ্বারা তাদেরকে ঐ কুপ্রথা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/৪০১)
অতঃপর বলা হচ্ছে যে, মহান আল্লাহ্র নির্দেশ পালন করা, তাঁর নিষিদ্ধ কার্যাবলী হতে বিরত থাকা, অন্তরে তাঁর ভয় রাখা, এগুলো প্রকৃতপক্ষে ঐ দিন কাজে আসবে যেদিন প্রত্যেকে মহান আল্লাহ্র সামনে উপস্থিত হবে এবং তাদেরকে পূর্ণভাবে প্রতিদান ও শাস্তি দেয়া হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings