Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 168
Saheeh International
O mankind, eat from whatever is on earth [that is] lawful and good and do not follow the footsteps of Satan. Indeed, he is to you a clear enemy.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৬৮ ও ১৬৯ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা হালাল খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ও শয়তানের কার্যক্রম কী তার বর্ণনা দিয়েছেন।
‘طيب‘ যা পবিত্র; অপবিত্র নয়। যেমন- মৃত, রক্ত, শুকরের গোশত ইত্যাদি অপবিত্র। (তাফসীর সাদী পৃঃ ৬৩)
তাফসীরে মুয়াসসারে বলা হয়েছে, যা পবিত্র অপবিত্র নয়; যা উপকারী, ক্ষতিকর নয়। (তাফসীর মুয়াসসার: পৃঃ ৬৩) খাদ্য ও পানীয় শরীয়তসম্মত হবার জন্য দু’টি বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরী। ১. হালাল হতে হবে ২. তা পবিত্র হতে হবে। কোন জিনিস পবিত্র হলেই হালাল হবে এমন নয়, বরং প্রত্যেক হালাল জিনিস পবিত্র, কিন্তু প্রত্যেক পবিত্র জিনিস হালাল নয়। যেমন সুদ, ঘুষ, চুরি করা টাকা বা বস্তু হিসেবে পবিত্র কিন্তু উপার্জন পদ্ধতি হারাম। তাই এটা হালাল নয়। অপরপক্ষে শুকর যদি টাকা দিয়েও কিনে আনে তাহলেও তা শরীয়তসম্মত খাদ্য নয়, কারণ তা হালাল পন্থায় কিনলেও স্বয়ং বস্তুটি অপবিত্র। সুতরাং এটাও খাদ্যের উপযোগী নয়। আর যে সকল জন্তু যবেহ করে খেতে হয় তা আল্লাহ তা‘আলার নামে যবেহ করতে হবে, অন্যথায় তা শরীয়তের দৃষ্টিতে হালাল খাদ্য নয়। কারণ তা শরীয়তসম্মত পন্থায় যবেহ না হওয়ায় অপবিত্র ও হারাম। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ لَّآ اَجِدُ فِیْ مَآ اُوْحِیَ اِلَیَّ مُحَرَّمًا عَلٰی طَاعِمٍ یَّطْعَمُھ۫ٓ اِلَّآ اَنْ یَّکُوْنَ مَیْتَةً اَوْ دَمًا مَّسْفُوْحًا اَوْ لَحْمَ خِنْزِیْرٍ فَاِنَّھ۫ رِجْسٌ اَوْ فِسْقًا اُھِلَّ لِغَیْرِ اللہِ بِھ۪ﺆ فَمَنِ اضْطُرَّ غَیْرَ بَاغٍ وَّلَا عَادٍ فَاِنَّ رَبَّکَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ)
“বল: ‘আমার প্রতি যে ওয়াহী হয়েছে, তাতে লোকে যা খায় তার মধ্যে আমি কিছুই হারাম পাইনি, মৃত জন্তু, প্রবাহমান রক্ত ও শুকরের মাংস ব্যতীত। কেননা এগুলো অবশ্যই অপবিত্র অথবা অবৈধ, আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে যবেহ করার কারণে।’তবে কেউ অবাধ্য না হয়ে এবং সীমালঙ্ঘন না করে নিরুপায় হয়ে তা খেলে তোমার প্রতিপালক তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”(সূরা আন‘আম ৬:১৪৫)
মোটকথা আল্লাহ তা‘আলা যা হালাল করেছেন তা-ই পবিত্র আর যা হারাম করেছেন তা-ই অপবিত্র।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে বারণ করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন-
(إِنَّه۫ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ)
নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্র“।”
পরের আয়াতে আল্লাহ বলেন:
(اِنَّمَا یَاْمُرُکُمْ بِالسُّوْ۬ئِ وَالْفَحْشَا۬ئِ وَاَنْ تَقُوْلُوْا عَلَی اللہِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ)
“সে তো কেবল তোমাদেরকে মন্দ ও অশ্লীল কার্যের এবং আল্লাহ সম্বন্ধে তোমরা যা জান না সে বিষয়ে কথা বলার নির্দেশ দেয়।”(সূরা বাকারাহ ২:১৬৯)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَنْ یَّتَّبِعْ خُطُوٰتِ الشَّیْطٰنِ فَاِنَّھ۫ یَاْمُرُ بِالْفَحْشَا۬ئِ وَالْمُنْکَرِ)
“যে কেউ শয়তানের পদাংক অনুসরণ করলো শয়তান তো অশ্লীলতা ও মন্দ কার্যের নির্দেশ দেয়।”(সূরা নূর ২৪:২১)
শয়তানের অনুসরণ করে হালালকে হারাম কর না। যেমন মুশরিকরা করেছিল। তারা মূর্তির নামে উৎসর্গ করে নিজেদের ওপর হারাম করে নিত। (আহসানুল বায়ান, পৃঃ ৭২)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমি আমার সমস্ত বান্দাদেরকে একনিষ্ঠ (মুসলিম) হিসেবে সৃষ্টি করেছি। তারপর তাদের নিকট শয়তান এসে তাদেরকে দীন থেকে বিচ্যুত করে দেয়। আমি যে সমস্ত জিনিস তাদের জন্য হালাল করেছিলাম সেসব জিনিস তাদের ওপর হারাম করে দেয়। (সহীহ মুসলিম হা: ২৮৬৫)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সকল প্রকার খাদ্য ও পানীয় পবিত্র ও হালাল হতে হবে।
২. হালাল উপার্জন খাওয়া আবশ্যক।
৩. শয়তানের অনুসরণ করা হারাম।
৪. শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্র“।
৫. শয়তান মানুষকে খারাপ কাজের দিকে পথ দেখায়।
৬. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা হালাল করেছেন তা-ই হালাল এবং যা হারাম করেছেন তা-ই হারাম। এর বাইরে হালাল-হারাম করে নেয়ার অধিকার কারো নেই।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings