Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 108
Saheeh International
Or do you intend to ask your Messenger as Moses was asked before? And whoever exchanges faith for disbelief has certainly strayed from the soundness of the way.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
অধিক আবেদন ও জিজ্ঞাসাবাদ হতে নিষেধাজ্ঞা।
এ পবিত্র আয়াতে মহান আল্লাহ ঈমানদারগণকে কোন ঘটনা ঘটার পূর্বে তাঁর রাসূল (সঃ) কে বাজে প্রশ্ন করতে নিষেধ করেছেন। এ অধিক প্রশ্নের অভ্যাস খুবই জঘন্য। অন্য জায়গায় আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ “হে মুমিনগণ! ঐ সব বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করো না যে, যদি ওটা প্রকাশ করে দেয়া হয় তবে তোমাদের খারাপ লাগবে এবং যদি কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ হওয়ার যুগে এসব প্রশ্ন করতে থাকো তবে এসব বিষয় প্রকাশ করে দেয়া হবে। কোন জিনিস ঘটে যাওয়ার পূর্বে ওটা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ ভয় রয়েছে যে, প্রশ্ন করার দরুন না জানি ওটা হারাম হয়ে যায়।'
সহীহ হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অপরাধী ঐ ব্যক্তি, যে এমন জিনিস সম্পর্কে প্রশ্ন করে যা হারাম ছিল না, কিন্তু তার প্রশ্নের কারণে তা হারাম হয়ে যায়।
একদা রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে কেউ জিজ্ঞেস করে যে, যদি কোন লোক তার স্ত্রীর কাছে অপর কোন লোককে পায় তবে সে কি করবে? যদি জনগণকে সংবাদ দেয় তবে তো বড় লজ্জার কথা হবে, আর যদি চুপ থাকে তবে ওটাও নির্লজ্জের মত কাজ হবে। এ প্রশ্ন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর খুবই খারাপ মনে হলো। ঘটনাক্রমে ঐ লোকটিরই এ ঘটনা ঘটে গেল এবং লি’আনের হুকুম নাযিল হয়ে গেল।
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের মধ্যে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বাজে কথা, সম্পদ নষ্ট করা এবং বেশী প্রশ্ন করা হতে নিষেধ করেছেন। সহীহ মুসলিম শরীফে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমি যতক্ষণ কিছু না বলি ততক্ষণ তোমরাও কিছুই আমাকে জিজ্ঞেস করো না। তোমাদের পূর্ববর্তী লোককে এই বদঅভ্যাসই ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা খুব বেশী প্রশ্ন করতে এবং তাদের নবীদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করতো। আমি যদি তোমাদেরকে কিছু নির্দেশ দেই তবে সাধ্যানুসারে তা পালন কর।' এ কথা তিনি ঐ সময় বলেছিলেন যখন তিনি জনগণকে বলেছিলেনঃ “তোমাদের উপর আল্লাহ তা'আলা হজ্ব ফরয করেছেন।' তখন কেউ বলেছিলঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ) প্রতি বছরই কি. তিনি নীরব হয়ে গিয়েছিলেন। সে পুনরায় জিজ্ঞেস করেছিল; কিন্তু তিনি কোন উত্তর দেননি। সে ততীয় বার এ প্রশ্নই করলে তিনি বলেছিলেনঃ ‘প্রতি বছর নয়; কিন্তু যদি আমি হা করে দিতাম তবে ওটা প্রতি বছরই ফরয হয়ে যেতো। অতঃপর তোমরা ওটা পালন করতে পারতে না।'
হযরত আনাস (রাঃ) বলেনঃ যখন থেকে আমাদেরকে প্রশ্ন করা হতে বিরত রাখা হয় তখন থেকে আমরা রাসূলুল্লাহ (সঃ)কে কোন প্রশ্ন করতে খুবই ভয় কবতায় যান করতাম। আমরা ইচ্ছে পোষণ করতাম যে, কোন গ্রাম্য অশিক্ষিত বেদুঈন জিজ্ঞেস করলে আমরা শুনতে পেতাম।
হযরত বারা’ বিন আযিব (রাঃ) বলেনঃ “আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে কোন প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করতাম, বছরের পর বছর অতিবাহিত হয়ে যেতো, কিন্তু আমি ভয়ে জিজ্ঞেস করতে সাহস করতাম না, আশা পোষণ করতাম কোন বেদুঈন এসে প্রশ্ন করতো তবে আমরাও শুনতে পেতাম।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ মুহাম্মদ (সঃ)-এর সাহাবীগণ (রাঃ) হতে উত্তম দল আর নেই। তারা রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে শুধুমাত্র বারোটি প্রশ্ন করেছিলেন। ঐ সব প্রশ্ন ও উত্তর কুরআন পাকের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। যেমন মদ্য ইত্যাদির প্রশ্ন, হারাম মাসগুলো সম্পর্কে প্রশ্ন, পিতৃহীন বালকদের সম্পর্কে প্রশ্ন ইত্যাদি।
এখানে (আরবি) শব্দটি হয়তো বা (আরবি) এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে কিংবা স্বীয় মূল অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ প্রশ্নের ব্যাপারে, যা এখানে অস্বীকৃতি সূচক। এ নির্দেশ মুমিন ও কাফির সবারই জন্যে। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর রিসালত সবার জন্যেই ছিল। কুরআন মাজীদের অন্য স্থানে আছেঃ “আহলে কিতাব তোমার নিকট আবেদন করে যে, তুমি তাদের উপর কোন আসমানী কিতাব অবতীর্ণ করবে, মূসার (আঃ) নিকট তো এর চেয়ে বড় আবেদন জানানো হয়েছিল, (তা হচ্ছে) আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখতে চাই, ঐ অত্যাচারের কারণে। তাদেরকে একটা ভয়ানক শব্দের দ্বারা ধ্বংস করে দেয়া হয়।'
রাফে’ বিন হুরাইমালা এবং জাহার বিন ইয়াযীদ বলেছিলঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! কোন আসমানী কিতাব আমাদের উপর অবতীর্ণ করুন যা আমরা আমাদের শহরে প্রচার করবো, তাহলে আমরা মানবো।'
এতে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। আবুল আলিয়া (রঃ) বলেন যে, একটি লোক রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলেঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! বানী ইসরাঈলের পাপ মোচন যেমনভাবে হয়েছিল ঐভাবেই যদি আমাদের পাপ মোচন হতো তবে কতই না ভাল হতো! এটা শুনা মাত্রই তিনি আল্লাহর দরবারে আরয করেনঃ “হে আল্লাহ! আমরা এটা চাইনে।' অতঃপর বলেনঃ ‘বানী ইসরাঈল যেখানে কোন পাপ কার্য করতো তা ওর দরজার উপর লিখিত পাওয়া যেতো এবং সঙ্গে সঙ্গে ওটা মোচনের মাধ্যম লিখে দেয়া হতো। এখন হয় তারা দুনিয়ার লাঞ্ছনা। মঞ্জুর করতঃ কাফফারা আদায় করবে এবং গোপন পাপ প্রকাশ করবে, কিংবা কাফফারা আদায় না করে পারলৌকিক শাস্তি মঞ্জুর করবে। কিন্তু তোমাদের সম্বন্ধে আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ যার দ্বারা কোন খারাপ কাজ হয়ে যায় কিংবা সে স্বীয় নাফসের উপর অত্যাচার করে বসে, অতঃপর ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে বড় ক্ষমাশীল ও দয়ালু পাবে।' এরকমই এক নামায অন্য নামায পর্যন্ত ক্ষমার কারণ হয়ে যায়, আবার এক জুমআ দ্বিতীয় জুম'আ পর্যন্ত পাপ কার্যের কাফফারা হয়ে থাকে। জেনে রেখো, যে ব্যক্তি খারাপ কাজের ইচ্ছে করে কিন্তু তা করে বসে না, ওর পাপ লিখা হয় না; আর যদি করে বসে তবে এটাই পাপ লিখা হয়। আর যদি কোন ভাল কাজের ইচ্ছে করে কিন্তু করে না ফেলে, তবে ওর জন্যে একটি পুণ্য লিখা হয় এবং যদি করে ফেলে তবে ওর জন্যে দশটি পুণ্য লিখা হয়। আচ্ছা তা হলে বলতো, তোমরা ভাল হলে, না বানী ইসরাঈল ভাল হলো? না, না, বানী ইসরাঈল অপেক্ষা তোমাদের উপর বহু সহজ করা হয়েছে। এতে দয়া ও মেহেরবানীর পরেও যদি তোমরা ধ্বংস হয়ে যাও তবে বুঝতে হবে যে, তোমরা নিজে নিজেই ধ্বংস হয়েছে। সেই সময় এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।
কুরাইশরা রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে বলেছিলোঃ সাফা পাহাড়টি যদি সোনার হয়ে যায় তবে আমরা ঈমান আনবো।' তিনি বলেনঃ তা হলে তোমাদের পরিণাম মায়েদাহ্ (আসমানী আহাৰ্য)-এর জন্যে আবেদনকারীদের মতই হয়ে যাবে। তখন তারা এ আবেদন প্রত্যাহার করে। ভাবার্থ এই যে, অহংকার, অবাধ্যতা এবং দুষ্টামির সাথে নবীগণকে প্রশ্ন করা অত্যন্ত জঘন্য কাজ।
যে ঈমানের পরিবর্তে কুফরীকে এবং সহজের পরিবর্তে কঠিনকে গ্রহণ করে নেয়, সে সরল পথ থেকে সরে গিয়ে মুখতা ও ভ্রান্তির পথে পড়ে যায়। অনুরূপভাবে বিনা প্রয়োজনে যারা প্রশ্ন করে তাদের অবস্থাও তাই। কুরআন পাকের মধ্যে এক জায়গায় আছেঃ “তোমরা কি ঐ লোকদেরকে দেখনি, যারা আল্লাহর নিয়ামতকে কুফরী দ্বারা বদলিয়ে নেয় এবং স্বীয় সম্প্রদায়কে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করে? সে দোযখে প্রবেশ করবে এবং ওটা অত্যন্ত জঘন্য স্থান।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings