Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 104
Saheeh International
O you who have believed, say not [to Allah 's Messenger], "Ra'ina" but say, "Unthurna" and listen. And for the disbelievers is a painful punishment.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০৪-১০৫ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
বিশিষ্ট তাবেঈ সুদ্দী (রহঃ) বলেন, ইয়াহূদীদের মধ্যে দু’জন লোক ছিল। একজন মালেক বিন সাইফ অন্যজন রিফায়াহ বিন সাঈদ। তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে কথা বলার সময় ‘‘راعنا‘‘ ‘আমাদের রাখাল’বলে সম্বোধন করত। সাহাবীগণ মনে করলেন, হয়তো আহলে কিতাবগণ এ কথার দ্বারা নাবীদেরকে সম্মান করে থাকে। তাই সাহাবাগণও এরূপ কথা বলতে লাগলেন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে উক্ত আয়াত নাযিল হয়। (লুবাবুন নুকূল ফী আসবাবে নুযুল পৃঃ ২৫)
আয়াতের শুরুতেই আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে সতর্ক করে বললেন: হে মু’মিনগণ! এ অর্থ হল আল্লাহ তা‘আলা পরবর্তী যে আদেশ বা নিষেধ করছেন তা খুব সতর্কতার সাথে খেয়াল কর। ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন: যখন তুমি আল্লাহ তা‘আলাকে বলতে শুনবে হে মু’মিনগণ! তাহলে তুমি তা খুব খেয়াল করে শুনবে। কারণ হয়তো কোন কল্যাণের নির্দেশ দিবেন অথবা কোন অকল্যাণ থেকে নিষেধ করবেন। সুতরাং আমাদের যথাযথ সতর্ক হওয়া উচিত।
আল্লামা সা‘দী (রহঃ) বলেন: সাহাবাগণ যখন দীনের কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন মনে করতেন তখন বলতেন راعنا অর্থাৎ আমাদের দিকে একটু দৃষ্টিপাত করুন, আমাদের অবস্থা একটু লক্ষ করুন। কিন্তু ইয়াহূদীরা এ সুযোগে উক্ত শব্দকে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে লাগল এবং বলতে লাগল راعنا হে আমাদের রাখাল। এহেন পরিস্থিতিতে আল্লাহ তা‘আলা সাহাবীদেরকে এ শব্দ পরিহার করতে নির্দেশ দিলেন এবং انطرنا অর্থাৎ আমাদের দিকে লক্ষ করুন! এ কথা বলার নির্দেশ দিয়ে এ আয়াত নাযিল করেন। কেননা راعنا শব্দটি দ্ব্যর্থবোধক; এ শব্দটি আমাদের দিকে দৃষ্টিপাত করুন অর্থে ব্যবহার হয় এবং আমাদের রাখাল অর্থেও ব্যবহার হয়। এর মূল উৎস হল رِعَايَةٌ যার অর্থ হল দেখাশোনা করা।
এ আয়াত প্রমাণ করে কাফিরদের সাথে সাদৃশ্য হয় এমন কথা ও কাজ করা যাবে না। আরো জানা গেল এমন শব্দ যা দ্ব্যর্থবোধক, ভাল-মন্দ উভয় অর্থে ব্যবহার হয়, আদব ও সম্মানার্থে এবং (বেআদবীর) ছিদ্রপথ বন্ধ করতে তার ব্যবহার করা ঠিক নয়। কেননা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যারা কোন জাতির সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, তারা তাদেরই শামিল।
পরবর্তী আয়াতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইয়াহূদী ও মুশরিকদের হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে। মুসলিমদের প্রতি তাদের এতই বিদ্বেষ ও আক্রোশ যে, মুসলিমদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে কোন কল্যাণ নাযিল হোক তা তারা চায় না। তাদের জেনে রাখা উচিত, সবকিছুর প্রকৃত মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, তিনি যাকে ইচ্ছা স্বীয় রহমত প্রদান করেন। তাদের বিদ্বেষ ও আক্রোশে মুসলিদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ রুদ্ধ হয়ে যাবে না। তবে মুসলিমদের সর্বদা তাদের চক্রান্ত ও বিদ্বেষের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে, প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. দ্ব্যর্থবোধক শব্দ ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শানে অশালীন শব্দ ব্যবহার ও আচরণ করা যাবে না।
৩. কাফির-মুশরিকদের সাথে সাদৃশ্য হয় এমন কথা ও কাজ বর্জন করা আবশ্যক।
৪. কাফির-মুশরিকরা কখনো ইসলাম ও মুসলিমদের কল্যাণ চায় না, বাহ্যিক যতই হিতাকাক্সক্ষী প্রকাশ করুক।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings