24:4
وَٱلَّذِينَ يَرۡمُونَ ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ ثُمَّ لَمۡ يَأۡتُواۡ بِأَرۡبَعَةِ شُهَدَآءَ فَٱجۡلِدُوهُمۡ ثَمَٰنِينَ جَلۡدَةً وَلَا تَقۡبَلُواۡ لَهُمۡ شَهَٰدَةً أَبَدًاۚ وَأُوۡلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ٤
Saheeh International
And those who accuse chaste women and then do not produce four witnesses - lash them with eighty lashes and do not accept from them testimony ever after. And those are the defiantly disobedient,
৪-৫ নং আয়াতের তাফসীর: সতী-সাধবী মহিলাদেরকে ব্যভিচারের অপবাদ দানকারীর বিধান উক্ত আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। যারা স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে জেনে-শুনে কোন সতী-সাধ্বী মহিলার উপর ব্যভিচারের অপবাদ দিবে, অনুরূপ কোন সৎ পুরুষকে ব্যভিচারের অপবাদ দিবে এবং তার কথার পক্ষে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে পারবে না তাদের শাস্তির বিধান তিনটি।১. (ثَمٰنِيْنَ جَلْدَةً) তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করা হবে।২. (وَّلَا تَقْبَلُوْا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا) সর্বকালের জন্য তাদের সাক্ষ্যকে প্রত্যাখ্যান করা হবে, কোন বিষয়েই তাদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না।৩. (وَأُولٰ۬ئِكَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَ) তারা ফাসিক বা পাপাচারী। তারা খাঁটি মু’মিন নয়। আর তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত সম্প্রদায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (إِنَّ الَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ الْمُحْصَنٰتِ الْغٰفِلٰتِ الْمُؤْمِنٰتِ لُعِنُوْا فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ ص وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيْمٌ) “নিশ্চয়ই যারা সতী-সাধ্বী, সরলমনা (ব্যভিচার সম্পর্কে গাফেল) ও ঈমানদার নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য আছে মহাশাস্তি।” (সূরা নূর ২৪:২৩)আবূ হুরাইরাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক জিনিস থেকে বেঁচে থাক। সাহাবাগণ (رضي الله عنهم) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! সে কাজগুলো কী কী? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: (১) আল্লাহ তা‘আলার সাথে শিরক করা, (২) জাদু, (৩) কোন মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা, (৪) সুদ খাওয়া, (৫) ইয়াতীমের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ, (৬) যুদ্ধ চলাকালে ময়দান থেকে পলায়ন এবং (৭) সতী-সাধ্বী নারীকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া যে ব্যভিচার সম্পর্কে কিছুই জানে না। (সহীহ মুসলিম হা: ৮৯)(إِلَّا الَّذِيْنَ تَابُوْا مِنْ ۭ بَعْدِ) “তবে যদি এর পর তারা তাওবাহ করে’ অর্থাৎ সে যে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, তা স্বীকার করে, আমল সংশোধন করে নেয়, আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দেবেন। তবে বেত্রাঘাতের শাস্তি মাফ হবে না।” তবে অন্য দুই বিধান সাক্ষ্য গ্রহণ না করা এবং ফাসেক হওয়া সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন: তাওবার পর ফাসেক থাকবে না, তবে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না। আবার কেউ বলেছেন: তাওবার পর ফাসেক থাকবে না এবং সাক্ষ্যও গ্রহণ করা হবে। ইমাম শাওকানী (রহঃ) দ্বিতীয় মতকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। (বিস্তারিত সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ ৪/৬৫-৬৮)الْمُحْصَنٰتِ কয়েকটি অর্থে ব্যবহার হয়, এ সম্পর্কে সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে অর্থ হলন এমন স্বাধীন নারী যারা নিজের সতীত্ব সংরক্ষণ করে, পর পুরুষের সাথে যাদের কোন সম্পর্ক নেই। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. কোন মানুষকে অন্যায়ভাবে অপবাদ দেয়া যাবে না।২. কারো ব্যাপারে ব্যভিচারের অভিযোগ সঠিক বলে প্রমাণিত করতে চাইলে অবশ্যই চারজন সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে।৩. সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারলে যে ব্যক্তি অপবাদ দিবে তাকে আাশিটি বেত্রাঘাত করা হবে, তার সাক্ষ্য কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং সে হবে একজন ফাসিক।৪. আল্লাহ তা‘আলা সর্বদা মানুষের তাওবাহ কবুল করেন যদি তা মৃত্যুর পূর্বে যেকোন সময় হয়।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us