Surah An Nur Tafseer
Tafseer of An-Nur : 3
Saheeh International
The fornicator does not marry except a [female] fornicator or polytheist, and none marries her except a fornicator or a polytheist, and that has been made unlawful to the believers.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
আমর বিন শু‘আইব তার পিতা হতে, তার পিতা তার দাদা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ছিল যাকে বলা হত “মুরসেদ”। সে মুসলিম বন্দীদেরকে মক্কা থেকে মদীনায় নিয়ে যেত। বর্ণনাকারী বলেন, মক্কায় একজন অসতী মহিলা ছিল, তার নাম ছিল “আন্নাক”। ঐ লোকটি বিবাহ করার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অনুমতি চাইলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুপ করে রইলেন, তাকে কোন উত্তর দিলেন না। এমতাবস্থায় এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (তিরমিযী হা: ৩১৭৭, নাসাঈ হা: ৩২২৮, সনদ হাসান)
এ আয়াতের ব্যাপারে তাফসীরে অনেক মত পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলেছেন: অধিক সময় এ রকমই হয়ে থাকে তাই এ রকম বলা হয়েছে। আয়াতের অর্থ হলন সাধারণতঃ ব্যভিচারী ব্যক্তি বিবাহের জন্য নিজের মত ব্যভিচারিণীকেই পছন্দ করে থাকে। সে জন্য দেখা যায় অধিকাংশ ব্যভিচারী নারী-পুরুষ তাদেরই অনুরূপ ব্যভিচারী নারী-পুরুষের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক করে থাকে বা করতে পছন্দ করে। মূলত এ কথার দ্বারা উদ্দেশ্য হল মু’মিনদেরকে সতর্ক করা যে, ব্যভিচার যেমন একটি জঘন্যতম কাজ ও মহাপাপ, তেমনি ব্যভিচারী ব্যক্তির সাথে বিবাহ ও দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক গড়াও অবৈধ। ইমাম শাওকানী (رحمه الله) এ মতটিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন: এখানে نكاح বলতে বিবাহ উদ্দেশ্য নয়, বরং সহবাস করা অর্থে ব্যবহার হয়েছে। উদ্দেশ্য হলন ব্যভিচারের নিকৃষ্টতা ও জঘন্যতা বর্ণনা করা। আর আয়াতের অর্থ হলন ব্যভিচারী ব্যক্তি নিজ যৌনকামনা চরিতার্থ করার জন্য অবৈধ রাস্তা অবলম্বন করে ব্যভিচারিণী মহিলার কাছেই যেয়ে থাকে। অনুরূপ ব্যভিচারিণী মহিলাও যৌনকামনা চরিতার্থ করার জন্য ব্যভিচারী পুরুষের কাছে যেয়ে থাকে। কিন্তু মু’মিনদের জন্য এ রকম কাজ করা হারাম। এখানে ব্যভিচারীর সাথে মুশরিক নারী-পুরুষের আলোচনা এজন্য করা হয়েছে যে, শিরকের সাথে ব্যভিচারের সামঞ্জস্য আছে। একজন মুশরিক যেরূপ আল্লাহ তা‘আলাকে ছেড়ে দিয়ে অন্যের নিকট মাথা নত করে, অনুরূপ একজন ব্যভিচারী নিজের জৈবিক চাহিদা মিটানোর জন্য নিজের স্ত্রীকে বাদ দিয়ে অন্যের সাথে মিলামিশা করে।
কিন্তু আল্লামা শানকিতী (رحمه الله) বলেছেন, এখানে نكاح দ্বারা মিলন করা বা সহবাস করার অর্থ সঠিক নয়। কারণ ব্যভিচারী নারী-পুরুষের সাথে মুশরিক নারী-পুরুষের কথা সম্পৃক্ত করেছেন। একজন ব্যভিচারী মুসলিম ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় একজন মুশরিক নারীকে বিবাহ করা। আবার একজন ব্যভিচারী নারীর জন্য বৈধ নয় একজন ব্যভিচারী মুশরিক পুরুষকে বিবাহ করা। যেমন সূরা বাকারার ২২১ নং আয়াতে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং কোন অবস্থাতেই মুশরিক নারী-পুরুষকে বিবাহ করা বৈধ নয়।
কেউ কেউ বলেছেন, এ আয়াতটি মানসুখ বা রহিত। এ কথার কোন দলীল নেই। কারণ সূরা নূর মদীনায় অবতীর্ণ, কোন কিছু তাকে রহিত করেনি।
ব্যভিচারী নারী-পুরুষকে মু’মিনদের জন্য বিবাহ করা হারাম করা হয়েছে। সুতরাং এরূপ জঘন্যতম কাজ করা থেকে সতর্ক থাকতে হবে, সেই সাথে যারা এরূপ কাজ করে তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মু’মিন সর্বদা মু’মিনকে বিবাহ করবে, যিনাকারী বা মুশরিক নারী-পুরুষ তার জন্য হারাম। পক্ষান্তরে ব্যভিচারী নারী-পুরুষ তাদের মত ব্যক্তিদেরকে পছন্দ করে থাকে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings