Surah An Nur Tafseer
Tafseer of An-Nur : 30
Saheeh International
Tell the believing men to reduce [some] of their vision and guard their private parts. That is purer for them. Indeed, Allah is Acquainted with what they do.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩০-৩১ নং আয়াতের তাফসীর:
অন্যের বাড়িতে প্রবেশের শিষ্টাচার বর্ণনা করার পর অত্র আয়াতদ্বয়ে মু’মিন নর-নারীর দৃষ্টি ও লজ্জাস্থান সম্পর্কে করণীয় কী সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
یَغُضُّوْا শব্দের অর্থ অবনত করা, নিচু করে রাখা, দৃষ্টি অবনত রাখার অর্থ হলন দৃষ্টিকে এমন বস্তু থেকে ফিরিযে নেয়া যা দেখা শরীয়ত নিষিদ্ধ ও অবৈধ করে দিয়েছে। (ইবনু কাসীর)
সুতরাং বেগানা নারীকে সরাসরি বা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখা, কারো গুপ্তাঙ্গের দিকে দৃষ্টিপাত করা, কারো বাড়িতে উঁিক মারা এবং অশ্লীল দৃশ্যের দিকে দৃষ্টিপাত করা এতে শামিল। সাঈদ বিন আবূল হাসান হাসানকে বলেন: অনারবের মহিলারা বুক ও মাথা খুলে রাখে, তোমার দৃষ্টি তাদের থেকে ফিরিয়ে রাখবে। অতঃপর তিনি এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন। (সহীহ বুখারী, কিতাবুল ইসতিযান, মুআল্লাক হাদীস)
জারীর বিন আবদুল্লাহ আল বাজালী (رضي الله عنه) বলেন: আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে হঠাৎ দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন আমি যেন আমার দৃষ্টিকে ফিরিয়ে নেই। (সহীহ মুসলিম হা: ২১৫৯)
এমনকি এ দৃষ্টিপাত হতে বাঁচতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবাদেরকে রাস্তায় বসা থেকেও নিষেধ করেছেন।
আবূ সাঈদ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমরা রাস্তায় বসা থেকে বিরত থাক। তখন সাহাবারা বলল: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এটি ছাড়া তো আমাদের বসে কথা বলার জায়গা নেই। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: যদি তোমরা বাধ্যই হও তাহলে রাস্তার হক আদায় কর। সাহাবারা জিজ্ঞেস করল, রাস্তার হক কী? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: দৃষ্টিকে অবনত রাখা, কষ্টদায়ক জিনিস সরানো, সালামের উত্তর দেয়া, সৎ কাজের আদেশ দেয়া, অসৎ কাজ হতে নিষেধ করা। (সহীহ বুখারী হা: ২৪৬৬, ৬২২৯, সহীহ মুসলিম হা: ১১৪)
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (رضي الله عنه)-কে বললেন: একবার দৃষ্টি চলে গেলে পুনরায় দৃষ্টিপাত করবে না, কারণ প্রথমবার দৃষ্টিপাত ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয়বার দৃষ্টি তোমার নয় (শয়তানের পক্ষ থেকে হয় সেজন্য তোমাকে পাকড়াও করা হবে)। (তিরমিযী হা: ২৭৭৭, আবূ দাঊদ হা: ২১৪৯, হাসান)
দৃষ্টি সংযত রাখার নির্দেশ দেয়ার পর আল্লাহ তা‘আলা লজ্জাস্থানের হেফাযতের নির্দেশ দিচ্ছেন। কারণ অধিকাংশ সময় লজ্জাস্থানের খিয়ানত হয় দৃষ্টির খেয়ানতের কারণে। সুতরাং দৃষ্টি সংযত করার সাথে লজ্জাস্থান হেফাযত করতে হবে। অর্থাৎ নিজ স্ত্রী ও অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত অন্যের সাথে যৌন চাহিদা নিবারণ করাই হল লজ্জাস্থানের খিয়ানত করা। তা নারীর সাথে হোক বা পুরুষের সাথে হোক অথবা অন্য যে কোন কিছুর সাথে হোক না কেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَالَّذِيْنَ هُمْ لِفُرُوْجِهِمْ حٰفِظُوْنَ - إِلَّا عَلٰٓي أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُوْمِيْنَ)
“এবং যারা নিজেদের লজ্জাস্থানকে হেফাযত করেন তাদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্র ব্যতীত, এতে তারা নিন্দনীয় হবে না।” (সূরা মা‘আরিজ ৭০:২৯-৩০)
আবূ হুরাইরাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: বানী আদমের ওপর যিনার একটি অংশ লিখে দেয়া হয়েছে। এটি অবশ্যই তাকে পেয়ে বসবে। দুই চোখের যিনা হল দেখা, জিহ্বার যিনা হল কথা বলা, দু’ কানের যিনা হল শ্রবণ করা, দু’ হাতের যিনা হল ধরা, দু’ পায়ের যিনা হল হেঁটে যাওয়া, অন্তর তার আকাক্সক্ষা করবে এবং চাইবে। আর লজ্জাস্থান হয় এটিকে সত্য প্রমাণিত করবে, না হয় মিথ্যা প্রমাণিত করবে। (সহীহ বুখারী হা: ৩২৪৩, ৬৬১২)
এরপর আল্লাহ তা‘আলা পুরুষদেরকে সতর্ক করার পাশাপাশি নারীদেরকেও সতর্ক করছেন। অথচ আমরা জানি কুরআন যেখানে পুরুষদেরকে সম্বোধন করে নির্দেশ দিয়েছে সেখানে নারীরাও শামিল। তারপরেও এখানে নারীদেরকে আলাদাভাবে উল্লেখ করার কারণ হল বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করা এবং তাদেরকেও বিশেষ সতর্ক করা। কারণ শুধু পুরুষেরাই দৃষ্টি সংযত করলে এবং লজ্জাস্থান হেফাযত করলে হবে না, সাথে সাথে নারীদেরকেও করতে হবে। অন্যথায় সমাজ থেকে অনাচার, ব্যভিচার ও অশ্লীলতা দূর করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে সমাজে অন্যায়, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা বিস্তারে নারীদের ভূমিকা অগ্রণী। কারণ আজ আধুনিকতার নামে নারীরা অবাধ মেলামেশা, অশ্লীল পোশাক পরিধান করে বাহিরে চলা ফেরা করা, চলচ্চিত্রের নামে দেহ ব্যবসা ও যুবকদেরকে খারাপ কাজে প্ররোচিত করা ইদ্যাদির মাধ্যমে নিজেদের লজ্জাস্থানের খিয়ানত করছে। যেখানে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ عَلَي قَوْمٍ لِيَجِدُوا مِنْ رِيحِهَا فَهِيَ زَانِيَةٌ
যে নারী আতর ব্যবহার করে কোন জাতির পাশ দিয়ে অতিক্রম করে যাতে তারা সুগদ্ধি পায় তাহলে সে নারী ব্যভিচারিণী। (নাসায়ী হা: ৫১২৬, তিরমিযী হা: ২৭৮৬, হাসান) সেখানে যারা এভাবে অর্ধ-উলঙ্গ হয়ে বের হয় তাদের কী অবস্থা হবে?
فُرُوْجَهُنَّ
নারীদের লজ্জাস্থান আপদমস্তক তথা সারা শরীর। একজন নারী বাইরে বের হলে সারা শরীক ঢেকে বের হবে এবং এমনভাবে ঢাকবে যাতে শরীরের উচু-নিঁচু অঙ্গের তারতম্য বুঝা না যায়। সুতরাং নারীরাও পর পুরুষ হতে নিজেদের দৃষ্টি সংযত রাখবে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাযত করবে।
(وَلَا يُبْدِيْنَ زِيْنَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا)
‘তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে’ -সাধারণত প্রকাশ থাকে কোন্ সৌন্দর্য যা পর্দা করা সম্ভব নয়; এ ব্যাপারে আলেমদের তিনটি মত রয়েছে:
১. নারীদের শরীরের অন্তর্গত সৌন্দর্য, যেমন হাতের তালু ও চেহারা। এগুলো সাধারণত প্রকাশ পেয়ে যায়, ঢেকে রাখা সম্ভব হয় না। যেমন সালাত আদায় করতে গেলে, হজ্জ করতে গেলে, কারো সাথে কিছু আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে প্রকাশ পায়। এতটুকু পরিমাণ নারীর শরীর থেকে প্রকাশ পেয়ে গেলে গুনাহ হবে না। এ পক্ষে মত দিয়েছেন ইমাম কুরতুবী, যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দীন আলবানী (رحمه الله)। আয়িশাহ (رضي الله عنها) হতে বর্ণিত, আসমা বিনতে আবূ বকর (رضي الله عنها) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রবেশ করলেন, এমনবস্থায় তার গায়ে পাতলা পোশাক ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং তাকে বললেন: হে আসমা! একজন নারী যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয় তখন তার থেকে এরূপ বেশি দেখা বৈধ নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা ও দুই হাতের তালুর দিকে ইশারা করলেন। (আবূ দাঊদ হা: ৪১০৪, মিশকাত হা: ৪৩৭২, হাসান)
২. বাইরের সৌন্দর্য যা শরীরের অঙ্গ নয়, এ সৌন্দর্য প্রকাশ পেলে শরীরের প্রতি দৃষ্টি যাবে না। যেমনন ইবনু মাসউদ (رضي الله عنه) বলেন: মহিলাদের গায়ের সব পোশাকের ওপর যে কাপড় থাকে বা চাদর। ইমাম শানকিত্বী (رحمه الله) বলেন; আমাদের কাছে এ কথাই বেশি প্রাধান্যযোগ্য এবং সংশয় ও ফেতনা থেকে অধিক সতর্কতা।
৩. শরীরের সাথে সম্পৃক্ত এমন বহিরাগত সৌন্দর্য, কিন্তু এ সৌন্দর্য প্রকাশ পেলে শরীরের অঙ্গ দেখা যাবে। যেমন মেহেদী. সুরমা ও অনুরূপ।
(وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلٰي جُيُوْبِهِنَّ)
‘তাদের ঘাড় ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে’ যাতে মাথা, ঘাড়, গলা ও বুকের পর্দা হয়ে যায়। কারণ এ সমস্ত অঙ্গ খুলে রাখার অনুমতি নেই। সুতরাং যে সকল নারীরা বুকে, মাথায় কাপড় না দিয়ে বের হয় তাদের সতর্ক হওয়া উচিত। সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে এ ব্যাপারে আলোচনা রয়েছে।
আয়িশাহ (رضي الله عنها) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহ তা‘আলা ঐ সকল স্ত্রীলোকদের ওপর রহম করুন যারা প্রথমে হিজরত করেছিল। যখন এ আয়াত নাযিল হয় তখন তারা নিজেদের চাদর ফেড়ে দোপাট্টা বানিয়েছিল। (সহীহ বুখারী হা: ৪৭৫৮)
(وَلَا يُبْدِيْنَ زِيْنَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُوْلَتِهِنَّ)
অর্থাৎ বেগানা পুরুষের সামনে যে সৌন্দর্য প্রকাশ করা নিষিদ্ধ ছিল ততটুকু পরিমাণ সৌন্দর্য আয়াতে উল্লিখিত ব্যক্তিদের সামনে প্রকাশ করতে পারবে। অর্থাৎ হাত, পা, চেহারা সাধারণত উক্ত ব্যক্তিদের সামনে খুলে রাখা যাবে। তবে স্বামীর কথা ভিন্ন। কারণ স্বামীর সাথে কোনরূপ পর্দা নেই। যেভাবে ইচ্ছা চলাফেরা করতে পারবে।
পিতা বলতে পিতা ও তার ওপরে দাদা এবং আরো যারা রয়েছে, শ্বশুর বলতে শ্বশুর ও তার ওপরে শ্বশুরের পিতা এবং আরো যারা রয়েছে। ছেলে বলতে নিজ ছেলে ও নাতি-নাতনীসহ আরো নিচে যারা রয়েছে। স্বামীর পুত্র বলতে অন্য স্ত্রীর গর্ভজাত বেটা ও তার নিচে যারা রয়েছে। ভাই বলতে সহোদর, বৈমাত্রিয় ও বৈপিত্রেয় তিন প্রকার ভাই বুঝানো হয়েছে।
نِسَا۬ئِهِنَّ তাদের নারী বলতে মুসলিম নারীদেরকে বুঝানো হয়েছে যাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে যে, তারা যেন কোন মহিলার শোভা-সৌন্দর্য, রূপ-লাবণ্য, দৈহিক আকার-আকৃতি নিজেদের স্বামীর কাছে বর্ণনা না করে। (সহীহ বুখারী হা: ৫২৪০) এছাড়া যে কোন কাফির মহিলার সামনে সৌন্দর্য প্রকাশ করা নিষেধ।
ইমাম আহমাদ (رحمه الله)-সহ অনেকে এমত দিয়েছেন। কেউ বলেছেন: তাদের নারীগণ বলতে যারা তাদের খিদমতে বা বাড়ির কাজ করে থাকে।
(مَا مَلَكَتْ أَيْمٰنُهُنَّ)
অর্থাৎ মুসলিম ও আহলে কিতাবের কৃতদাস-দাসী উভয়েই শামিল। একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাতিমা -এর বাড়িতে একজন গোলাম নিয়ে আসলেন যে নিজেকে ফাতিমার জন্য হেবা করে দিয়েছে। সে সময় ফাতিমার কাপড়ের এমন অবস্থা ছিল যে মাথা ঢাকলে পা খুলে যায়, আর পা ঢাকলে মাথা খুলে যায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: কোন সমস্যা নেই, এখানে আমি তোমার পিতা ও তোমার গোলাম। (আবূ দাঊদ হা: ৪১০৬, ইরওয়া হা: ১৭৯৯, সহীহ)
(التّٰبِعِيْنَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ) الْإِرْبَةُ-
যৌন চাহিদা, অর্থাৎ যে সকল পুরুষের যৌন চাহিদা নেই তা অতি বৃদ্ধ হওয়ার কারণে হোক আর অন্য যেকোন কারণেই হোক, আবার কেউ বলেছেন তারা হল হিজড়া, তবে যারাই হোক তাদের যদি যৌন কামনা না থাকে এবং অন্যের কাছে পরনারীর সৌন্দর্যের কথা বলে না বেড়ায় তাহলে উক্ত পরিমাণ সৌন্দর্য প্রকাশ করা যাবে। অন্যথায় তাও নিষিদ্ধ। (সহীহ বুখারী হা: ৪৩২৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৮০)
الطِّفْلِ অর্থাৎ যারা সাবালক হয়নি বা নারী সংক্রান্ত জ্ঞান হয়নি।
(وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ)
অর্থাৎ এমনভাবে চলাফেরা করবে না যাতে গোপন সৌন্দর্য মানুষ জেনে যায়। যেমন পায়ে নূপুর পরে শব্দ করে চলা।
নারী পুরুষের সম্মান, সম্ভ্রম ও মর্যাদা সংরক্ষণের এ দিক-নির্দেশনা দেয়ার পর আল্লাহ তা‘আলা সকলকে তাওবাহ করার নির্দেশ দিচ্ছেন। কারণ পূর্বে এ সংক্রান্ত যত অপরাধ রয়েছে, তাওবাহ করলে আল্লাহ তা‘আলা সেসবকে ক্ষমা করে দেবেন, ফলে তোমরা সফলকাম হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. নারী-পুরুষ সকলকে দৃষ্টি সংযত রাখতে হবে।
২. হারাম কোন কিছুর প্রতি দৃষ্টি গেলে সাথে সাথে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে হবে।
৩. লজ্জাস্থানের হিফাযত করতে হবে।
৪. মহিলাদেরকে তাদের বক্ষদেশসহ আপাদমস্তক ভালভাবে ঢেকে চলাফেরা করতে হবে।
৫. আয়াতে যে সকল পুরুষের কথা বলা হয়েছে এরা ব্যতীত অন্যদের সাথে দেখা করা হারাম।
৬. সৌন্দর্য প্রকাশ করণার্থে জোরে জোরে পদক্ষেপ করা যাবে না।
৭. বিধর্মী মহিলাদের নিকট সৌন্দর্য প্রকাশ করা যাবে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings