Surah An Nur Tafseer
Tafseer of An-Nur : 29
Saheeh International
There is no blame upon you for entering houses not inhabited in which there is convenience for you. And Allah knows what you reveal and what you conceal.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৭-২৯ নং আয়াতের তাফসীর:
মানুষ সামাজিক জীব, সমাজে বসবাস করতে হলে একজনের সাথে অপরজনের উঠা-বসা, চলা-ফেরা ও বাড়িতে গমনাগমনের প্রয়োজন হয়। নিজের বাড়িতে যেমন চলাফেরা করা যায় অপরের বাড়িতে তো সেভাবে আসা-যাওয়া করা যায় না। সেজন্য ইসলাম অপরের বাড়িতে প্রবেশের কিছু শিষ্টাচার দিয়েছে, যা মেনে চলার মধ্যে অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন (১) মানুষের স্বাধীনতায় বিঘœ সৃষ্টি ও কষ্টদান থেকে বিরত থাকা, যা বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলে হয়ে থাকে। (২) অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করলে আগন্তুক ব্যক্তির সম্মান বজায় থাকবে, কেননা কোন ব্যক্তি বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলে বাড়ির ভিতরের লোকজন স্বভাবতই তার ওপর রাগ করতে পারেন। (৩) নির্লজ্জতা ও অশ্লীলতা দমন। (৪) মানুষ মাঝে মাঝে নিজ বাড়িতে নির্জনে এমন কাজ করে যা অন্যকে অবগত করতে চায় না। যদি কেউ বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে তাহলে গোপন বিষয়ে প্রকাশ হয়ে যাবে।
استيناس শব্দের অর্থ জানা, অর্থাৎ যতক্ষণ না তোমরা জানতে পেরেছ যে, ঘরে কে আছে এবং সে তোমাদেরকে ভিতরে আসার অনুমতি দিয়েছে, ততক্ষণ তোমরা ভিতরে প্রবেশ করবে না। কেউ কেউ تَسْتَأْنِسُوْا কে অনুমতি অর্থে ব্যবহার করেছেন। আয়াতে অন্যের বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি নেয়ার কথা আগে বলা হয়েছে তারপর সালামের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু হাদীস থেকে জানা যায়, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথমে সালাম দিতেন এবং পরে প্রবেশ করার অনুমতি নিতেন। অনুরূপ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অভ্যাস ছিল যে, তিনি তিনবার অনুমতি চাইতেন। অতঃপর কোন উত্তর না পেলে তিনি ফেরত আসতেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আরো অভ্যাস ছিল যে, অনুমতি চাওয়ার সময় দরজার ডানে বা বামে দাঁড়াতেন, একেবারে সামনে দাঁড়াতেন না যাতে দরজা খোলা থাকলে অথবা খোলা হলে সরাসরি ভিতরে নজর পড়ে যায়। (সহীহ বুখারী হা: ৬২৪৫)
অনুরূপ তিনি দরজায় দাঁড়িয়ে ভিতরে উঁকি মারতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এমনকি বাড়ির ভিতরে যে উঁকি মারে সে ব্যক্তির চোখ বাড়ির লোকে নষ্ট করে দিলেও তার কোন অপরাধ নেই। (সহীহ বুখারী হা: ৬৯০২, সহীহ মুসলিম হা: ২১৫৮)
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এটাও অপছন্দ ছিল যে, ভেতর থেকে বাড়ির মালিক ‘কে তুমি’ জিজ্ঞেস করলে তার উত্তরে নাম না বলে কেবল ‘আমি’ বলা। অর্থাৎ ‘কে’ জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে নিজের নামসহ পরিচয় দিতে হবে। (সহীহ বুখারী হা: ৬২৫০)
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, অনুমতি চাওয়ার পর অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত প্রবেশ করবে না, আর যদি ফিরে যেতে বলে তাহলে প্রবেশ না করে ফিরে যেও, এটাই উত্তম হবে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আরো একটি বিধান বর্ণনা করেছেনন যে গৃহে কোন লোক বসবাস করে না ঐ গৃহে যদি কোন দ্রব্য-সামগ্রী থাকে তাহলে ঐ গৃহ থেকে দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে আসতে হলে তাতে প্রবেশ করার জন্য কোন অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হবে না।
সুতরাং আমরা যদি এ বিধানগুলো মেনে চলি তাহলে সমাজে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব, কোন বিশৃংখলা হবে না এবং কোন ভুল বুঝা-বুঝিরও সৃষ্টি হবে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. অন্যের বাড়িতে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
২. সর্বোচ্চ তিনবার সালাম দিয়ে অনুমতি চাইতে হবে, যদি অনুমতি না দেয় তাহলে ফিরে যেতে হবে।
৩. সালামের উত্তর দেয়ার পরেও যদি বলে যে ফিরে যাও, তাহলেও ফিরে যাওয়াটা উত্তম।
৪. মানব বসবাসহীন যে গৃহে কোন দ্রব্যসামগ্রী রাখা হয় তাতে প্রবেশের জন্য কোন অনুমতি লাগবে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings