Surah Al Kahf Tafseer
Tafseer of Al-Kahf : 48
Saheeh International
And they will be presented before your Lord in rows, [and He will say], "You have certainly come to Us just as We created you the first time. But you claimed that We would never make for you an appointment."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৭-৪৯ নং আয়াতের তাফসীর:
উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্ব মুহুর্তে আকাশ-জমিনে যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হবে তার বর্ণনা দিচ্ছেন। সেদিন যেসব বিস্ময়কর বড় বড় কাজ সংঘটিত হবে তার মধ্যে কয়েকটি তুলে ধরা হয়েছে। সেদিন পাহাড়গুলো উড়তে থাকবে, পৃথিবী শূন্য প্রান্তরে পরিণত হবে। গাছ-পালা, তরু-লতা কোন কিছুই থাকবে না। পৃথিবী ধূ-ধূ মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(فَإِذَا نُفِخَ فِي الصُّوْرِ نَفْخَةٌ وَّاحِدَةٌ لا وَّحُمِلَتِ الْأَرْضُ وَالْجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةً وَّاحِدَةً لا فَيَوْمَئِذٍ وَّقَعَتِ الْوَاقِعَةُ)
“যখন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হবে একটি মাত্র ফুৎকার। আর পৃথিবী ও পর্বতমালাকে উত্তোলন করা হবে এবং একই ধাক্কায় চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়া হবে। সেদিন যা সংঘটিত হওয়ার তা অর্থাৎ কিয়ামত সংঘটিত হয়ে যাবে।” (সূরা হাক্কাহ ৬৯:১৩-১৫)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(وَّسُيِّرَتِ الْـجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا)
“এবং পাহাড়সমূহকে চলমান করা হবে, ফলে সেগুলো হয়ে যাবে মরীচিকা।” (সূরা নাবা ৭৮:২০) কিয়ামতের পূর্ব অবস্থা ও কিয়ামতের ভয়াবহতা কুরআনের ত্রিশতম পারায় আল্লাহ তা‘আলা বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
আর সেদিন সকলকে কাতারবদ্ধভাবে আল্লাহ তা‘আলার সম্মুখে উপস্থিত করা হবে। মানুষ জন্মের দিন দুনিয়াতে যেভাবে খৎনাবিহীন উলঙ্গ অবস্থায় এসেছিল ঠিক কিয়ামতের দিন সেভাবে আল্লাহ তা‘আলার সামনে উপস্থিত হবে।
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا، ثُمَّ قَرَأَ: {كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِيْنَ
তোমাদেরকে হাশরের ময়দানে উপস্থিত করা হবে নগ্ন পায়ে, উলঙ্গ ও খাৎনাবিহীন অবস্থায়। ইচ্ছা করলে এ আয়াত তেলাওয়াত করতে পারো। “যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব; এ আমার কৃত ওয়াদা, আমি এটা পালন করবই।” (সূরা আম্বিয়া ২১:১০৪)
আর তথায় তাদের আমলনামাগুলো পেশ করা হবে। কারো আমলনামায় কোন প্রকার হ্রাস-বৃদ্ধি করা হবে না। বরং যে যা আমল করবে ঠিক তা-ই সেখানে উপস্থিত পাবে, যা দেখে তারা অবাক হয়ে যাবে এবং বলবে: এটা কেমন কিতাব যা ছোট-বড় সবকিছু লিখে রেখেছে যাতে কোন কিছু বাদ নেই।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَكُلَّ إِنْسَانٍ أَلْزَمْنٰهُ طَآئِرَه۫ فِيْ عُنُقِه۪ ط وَنُخْرِجُ لَه۫ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كِتٰبًا يَّلْقَاهُ مَنْشُوْرًا اِقْرَأْ كِتٰبَكَ ط كَفٰي بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ حَسِيْبًا)
“প্রত্যেক মানুষের কর্ম আমি তার গ্রীবালগ্ন করেছি এবং কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য বের করব এক কিতাব, যা সে পাবে উন্মুক্ত। ‘তুমি তোমার কিতাব পাঠ কর, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসেব নিকেশের জন্য যথেষ্ট।’’ (সূরা ইসরা ১৭:১৩-১৪)
আর ঐ কিতাবে মানুষ তাঁর সমস্ত জীবনে যা আমল করেছে তার সকল কিছুই লিপিবদ্ধ থাকবে। আল্লাহ তা‘আলা সেই আমল অনুপাতে তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবেন। বিন্দু পরিমাণ জুলুম করবেন না।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَنَضَعُ الْمَوَازِيْنَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيٰمَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا ط وَإِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا ط وَكَفٰي بِنَا حٰسِبِيْنَ)
“এবং কিয়ামত দিবসে আমি স্থাপন করব ন্যায়বিচারের মানদণ্ড। সুতরাং কারও প্রতি কোন অবিচার করা হবে না এবং কর্ম যদি সরিষার দানা পরিমাণ ওজনেরও হয় তবুও সেটা আমি উপস্থিত করব; হিসেব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট।” (সূরা আম্বিয়া ২১:৪৭)
সুতরাং কিয়ামত দিবসে সকল কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। সেদিন সকল মানুষকে আল্লাহ তা‘আলার সামনে উপস্থিত করা হবে এবং তাদের আমল অনুপাতে বিচার করা হবে, তাদের প্রতি কোন প্রকার জুলুম করা হবে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কিয়ামত একদিন অবশ্যই সংঘটিত হবে।
২. সকল মানুষকে আল্লাহ তা‘আলার সম্মুখে হাজির করা হবে।
৩. মানুষের সকল কাজ-কর্ম লিখে রাখা হয়।
৪. মানুষের প্রতি কোন প্রকার জুলুম করা হবে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings