Surah Ibrahim Tafseer
Tafseer of Ibrahim : 34
Saheeh International
And He gave you from all you asked of Him. And if you should count the favor of Allah, you could not enumerate them. Indeed, mankind is [generally] most unjust and ungrateful.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩২-৩৪ নং আয়াতের তাফসীর:
উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা মানুষের প্রতি যে অগণিত নেয়ামত দান করেছেন তারই কয়েকটির বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি আকাশকে সৃষ্টি করে একটি সুরক্ষিত ছাদস্বরূপ বানিয়ে রেখেছেন, আকাশকে সুশোভিত করেছেন তারকা দ্বারা, জমিন সৃষ্টি করে বিছানার মত বিছিয়ে বসবাসের উপযোগী করে দিয়েছেন। আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করে জমিনে বিভিন্ন ফলফলাদি, শস্য ও ফসল উৎপন্ন করে জীবিকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিনি নৌযান ও নদীসমূহকে মানুষের অনুগত করে দিয়েছেন যাতে তারা সমুদ্রে বিচরণ করে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে পারে, তাঁর অনুগ্রহ অর্জন করতে পারে। এ ছাড়াও আরো বড় নেয়ামত চন্দ্র-সূর্য, দিবা-রাত্রি সকল জিনিসকে মানুষের কল্যাণার্থে নিয়োজিত রেখেছেন। তারা প্রত্যেকেই নিজ কক্ষ পথে অবিরাম বিচরণ করে, একে আপরকে অতিক্রম করে না, পরস্পর ধাক্কা খায় না।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(لَا الشَّمْسُ یَنْۭبَغِیْ لَھَآ اَنْ تُدْرِکَ الْقَمَرَ وَلَا الَّیْلُ سَابِقُ النَّھَارِﺚ وَکُلٌّ فِیْ فَلَکٍ یَّسْبَحُوْنَﭷ)
“সূর্যের সাধ্য নেই যে, সে চন্দ্রকে ধরে ফেলে এবং রাতও দিনের পূর্বে আসতে পারে না। প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষে চলছে।” (সূরা ইয়াসীন ৩৬:৪০)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُه۫ حَثِيْثًا لا وَّالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُوْمَ مُسَخَّرٰتٍۭ بِأَمْرِه۪ ط أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ ط تَبٰرَكَ اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِيْنَ)
“তিনিই দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন যাতে তাদের একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরণ করে, আর সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি, যা তাঁরই আজ্ঞাধীন, জেনে রাখ যে, সৃষ্টি তাঁর, হুকুমও (চলবে) তাঁর। বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ, তিনি বরকতময়।” (সূরা আ’রাফ ৭:৫৪)
এ ছাড়াও সূর্যের আলোর অনেক উপকার রয়েছে। সূর্যের আলো না হলে কোন কিছু জন্মাবে না, দিন-রাতের পার্থক্য বুঝা যাবে না। মূলত প্রত্যেক বস্তু—কে আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারার্থে।
এসব ছাড়াও মানুষ যা চায় আল্লাহ তা‘আলা সব দিয়েছেন। সুতরাং তিনি আমাদেরকে যে অফুরন্ত নেয়ামত দান করেছেন, তা গণনা করে শেষ করতে পারবো না। সুন্দর একটি শরীর দিয়েছেন, সুস্থতা দিয়েছেন, কাজ করার ক্ষমতা দিয়েছেন, এ ছাড়াও কত নেয়ামত দিয়েছেন যার হিসাব আমরা করতে পারব না।
ইমাম বুখারী (রহঃ) এ প্রসঙ্গে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন, “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সমস্ত প্রশংসা ও গুণগান আল্লাহ তা‘আলারই জন্য। আমাদের প্রশংসা মোটেই যথেষ্ট নয় এবং তা পূর্ণ ও বেপরোয়াকারীও নয়। সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক! (আমাদের অপারগতার জন্য আমাদেরকে ক্ষমা করুন)। (সহীহ বুখারী হা: ৫৪৫৮)
একদা দাঊদ (عليه السلام) বললেন: হে রব! আমি তোমার নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা কিভাবে প্রকাশ করব? অথচ স্বয়ং কৃতজ্ঞতা প্রকাশই তোমার পক্ষ থেকে আমার প্রতি নেয়ামত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: হে দাঊদ! তখন তুমি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে যখন তুমি স্বীকার করে বলবে যে, হে আল্লাহ তা‘আলা! আমি তোমার নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে অপারগ। (তাফসীর ইবনু কাসীর )
ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্যই, যার অসংখ্য নেয়ামতরাজির মধ্যে একটি হচ্ছে নেয়ামতের শুকরিয়া যা নতুন একটি নেয়ামত ছাড়া করা যায় না। ঐ নতুন নেয়ামতের ওপর আবার আরেকটি শুকরিয়া আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়। এভাবে আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামত অসংখ্য যার পূর্ণ শুকরিয়া আদায় করা অসম্ভব।
সুতরাং মানুষের উচিত হবে না, আল্লাহ তা‘আলার অকৃতজ্ঞ হয়ে নিজের প্রতি জুলুম করা। বরং কর্তব্য হল তিনি যে নেয়ামত দান করেছেন সে জন্য তাঁর শুকরিয়া আদায় করা, শুকরিয়া আদায় করলে তিনি আরো নেয়ামত বৃদ্ধি করে দেবেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আকাশ থেকে পানি বর্ষণের মাধ্যমে জমিন থেকে খাদ্য দ্রব্য উৎপন্ন হয়।
২. পৃথিবীর সকল বস্তু মানুষের উপকারার্থে সৃষ্ট।
৩. আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে অগণিত নেয়ামত দান করেন।
৪. সকলের উচিত নেয়ামত পেয়ে শুকরিয়া আদায় করা।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings