Surah At Tawbah Tafseer
Tafseer of At-Tawbah : 83
Saheeh International
If Allah should return you to a faction of them [after the expedition] and then they ask your permission to go out [to battle], say, "You will not go out with me, ever, and you will never fight with me an enemy. Indeed, you were satisfied with sitting [at home] the first time, so sit [now] with those who stay behind."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৮১-৮৩ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে সে সকল মুনাফিকদেরর কথা আলোচনা করা হচ্ছে যারা সামর্থ থাকা সত্ত্বেও তাবুক যুদ্ধে শরীক হয়নি এবং মিথ্যা অজুহাত পেশ করে না যাওয়ার অনুমতি নিয়েছিল। এ জিহাদে না গিয়ে তারা খুব খুশী। خِلاَفٌ এর অর্থ পিছন অথবা বিরুদ্ধাচরণ। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর চলে যাওয়ার পর তার পিছনে বা তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করে মদীনাতে বসে থাকল।
(قُلْ نَارُ جَهَنَّمَ أَشَدُّ حَرًّا)
বল: ‘জাহান্নামের আগুন ভীষণ উত্তপ্ত’ অর্থাৎ যদি তাদের এটা জানা থাকত যে, জাহান্নামের আগুনের উষ্ণতার তুলনায়- দুনিয়ার (গ্রীষ্মের) গরমের উষ্ণতা কিছুই না তাহলে তারা কখনই পিছনে থাকত না। তাবুক যুদ্ধ গ্রীষ্মকালীন গরমে সংঘঠিত হয়েছিল। এ সকল মুনাফিকরা গরমের ভয়ে যুদ্ধে যায়নি। হাদীসে এসেছে: দুনিয়ার এ আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তরাংশের একাংশ মাত্র। (সহীহ বুখারী হা: ৩২৬৫)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: জাহান্নামীদের মধ্যে সর্বনিম্ন যে শাস্তি দেয়া হবে তা হল আগুনের দু’টি জুতা পরিধান করিয়ে দেয়া হবে, জুতার তাপে তার মাথা টগবগ করবে। (সহীহ মুসলিম হা: ২১১)
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: যদি আমি তোমাকে তাবুক যুদ্ধ হতে এ সকল মুনাফিকদের কাছে মদীনাতে ফিরিয়ে আনি তাহলে মুনাফিকদের বলে দিও যে, তারা কখনো তোমার সাথে আর কোন যুদ্ধে শরীক হতে পারবে না। কেননা তারা প্রথমবারেই যায়নি। আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(وَنُقَلِّبُ أَفْئِدَتَهُمْ وَأَبْصَارَهُمْ كَمَا لَمْ يُؤْمِنُوْا بِه۪ٓ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَّنَذَرُهُمْ فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ)
“তারা যেমন প্রথমবারে তাতে ঈমান আনেনি আমিও তাদের মনোভাবের ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করে দেব এবং তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় উদভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়াতে দেব।”(সূরা আনআম ৬:১১০)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “তোমরা যখন গনীমতের মাল সংগ্রহ করতে যাবে তখন পেছনে পড়ে থাকা (বেদুঈনরা) তোমাদেরকে অবশ্যই বলবে, আমাদেরকেও তোমাদের সাথে যেতে দাও। এরা আল্লাহর কথা বদলে দিতে চায়। বল: তোমরা কখনো আমাদের সাথে যেতে পারবে না, আল্লাহ আগেই এ কথা বলে দিয়েছেন। তখন তারা বলবে: তোমরাই বরং আমাদের সাথে হিংসা করছ’ (যদিও হিংসার কোনো কথা নয় ), বরং এরা সঠিক কথা কমই বুঝে।”(সূরা ফাতহ ৪৮:১৫)
(فَلْيَضْحَكُوْا قَلِيْلًا....)
‘অতএব তারা যেন কম হাসে এবং বেশি বেশি কাঁদে- অর্থাৎ কম কম হাসা ও বেশি বেশি কাঁদার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারণ নাবী (সাঃ) বলেন: আল্লাহ তা‘আলার শপথ! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে তোমরা কম কম হাসতে আর বেশি বেশি কাঁদতে। আর খোলা মাঠে গিয়ে আল্লাহ তা‘আলার কাছে ফরিয়াদ করে আশ্রয় কামনা করতে। অতঃপর বর্ণনাকারী আবূ যার (রাঃ) বলেন: হায়! আমি যদি গাছ হয়ে যেতাম, তাহলে আমাকে কেটে ফেলা হত (ফলে কোন হিসাব হত না)। (তিরমিযী হা: ২৩১২, ইবনু মাযাহ হা: ৪১৯০, সহীহ)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আনুগত্য বর্জন করায় খুশী হওয়া মুনাফিকের আলামত। অনুরূপভাবে তাদের আনুগত্যকে অপছন্দ করাও মুনাফিকের আলামত।
২. বেশি বেশি হাসি অপছন্দনীয়।
৩. স্বেচ্ছায় আনুগত্য বর্জন করলে আনুগত্য থেকে চিরতরে বঞ্চিত হয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings