Surah At Tawbah Tafseer
Tafseer of At-Tawbah : 63
Saheeh International
Do they not know that whoever opposes Allah and His Messenger - that for him is the fire of Hell, wherein he will abide eternally? That is the great disgrace.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৬১-৬৪ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে পুনরায় মুনাফিকদের কথা আলোচনা করা হচ্ছে। মুনাফিকরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বিরুদ্ধাচরণ করে তাঁকে কষ্ট দিয়ে বলে هُوَ أُذُنٌ ‘সে কর্ণপাতকারী।’ অর্থাৎ তাকে যা কিছু বলা হয় সব সত্য বলে মেনে নেয়।
এমনকি আমাদের ব্যাপারে যা কিছু বলা হয় তাও বিশ্বাস করে। আমরা যখন তার কাছে কোন কিছু (মিথ্যা) শপথ করে বলি তাও বিশ্বাস করে। ইবনু আব্বাস (রাঃ), মুজাহিদ ও কাতাদাহ (রাঃ) এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। (ইবনে কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে কষ্ট দেয়া যেকোনভাবে হতে পারে- তাঁর আনুগত্য বর্জন করা, তাঁর নামে মিথ্যা হাদীস রচনা করা এবং তাঁকে নিয়ে বিদ্রƒপ ও ব্যঙ্গ করার মাধ্যমেও হতে পারে। যারা এরূপ করবে তাদের জন্য পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
(يَحْلِفُوْنَ بِاللّٰهِ)
‘আল্লাহর নামে শপথ করে’কাতাদাহ (রাঃ) বলেন: বর্ণিত আছে যে, এক মুনাফিক বলল: আল্লাহ তা‘আলার শপথ! আমাদের এসব সর্দার ও নেতা খবুই জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ লোক। যদি মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর কথা সত্যই হতো তবে কি এরা এতই বোকা যে, তাঁর কথা মানতো না? তার এ কথা একজন সাহাবী শুনে ফেলে। তিনি বললেন: আল্লাহ তা‘আলার শপথ! রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কথাই সত্য। আর যারা তাকে মেনে নিচ্ছে না তারা যে নির্বোধ এতে কোন সন্দেহ নেই। ঐ সাহাবী রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে হাযির হয়ে এ ঘটনাটি বললেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ঐ লোকটিকে ডেকে পাঠান। কিন্তু সে দৃঢ় শপথ করে বলে: আমি এ কথা বলিনি। এ লোকটি আমার ওপর অপবাদ দিচ্ছে। তখন ঐ সাহাবী দু‘আ করেন: হে আল্লাহ! আপনি সত্যবাদীকে সত্যবাদীরূপে এবং মিথ্যাবাদীকে মিথ্যাবাদীরূপে দেখিয়ে দিন। তখন এ আয়াতটি নাযিল হয়। (তাফসীর তাবারী হা: ১৬৯০৬)
(يَحْذَرُ الْمُنَافِقُوْنَ أَنْ تُنَزَّلَ)
‘মুনাফিকেরা ভয় করে..’ এ আয়াতের সদৃশ অন্য আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَإِذَا جَا۬ءُوْكَ حَيَّوْكَ بِمَا لَمْ يُحَيِّكَ بِهِ اللّٰهُ لا وَيَقُوْلُوْنَ فِيْ أَنْفُسِهِمْ لَوْلَا يُعَذِّبُنَا اللّٰهُ بِمَا نَقُوْلُ ط حَسْبُهُمْ جَهَنَّمُ ج يَصْلَوْنَهَا ج فَبِئْسَ الْمَصِيْرُ)
“আর তারা যখন তোমার কাছে আসে তখন তারা তোমাকে এমন শব্দে অভিবাদন করে যার দ্বারা আল্লাহ তোমাকে অভিবাদন করেননি। আর তারা নিজেরা মনে মনে বলেঃ কেন আল্লাহ আমাদের শাস্তি দেন না, আমরা যা বলি তার কারণে। তাদের জন্য জাহান্নামই যথেষ্ট। সেথায় তারা প্রবেশ করবে। বস্তুতঃ তা কতই না নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল!” (সূরা মুজাদালাহ ৫৮: ৮)
তারা যা আশঙ্কা করে আল্লাহ তা‘আলা তা ফাঁস করে দেবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَمْ حَسِبَ الَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ أَنْ لَّنْ يُّخْرِجَ اللّٰهُ أَضْغَانَهُمْ)
“যাদের অন্তরে রোগ আছে তারা কি মনে করেছে যে, আল্লাহ তাদের অন্তরের বিরোধী মনোভাব প্রকাশ করে দেবেন না?” (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:২৯)
আমরা একটু লক্ষ করলে দেখতে পাব যে, বারবার আল্লাহ তা‘আলা মুনাফিকদের ব্যাপারে সতর্ক করছেন তাদের স্বভাব চরিত্রের কথা তুলে ধরছেন, কারণ তারা মু’মিনদের যত ক্ষতি করবে কাফিররা তত ক্ষতি করবে না। সুতরাং তাদের থেকে সাবধান থাকা জরুরী।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যে কোন উপায়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে কষ্ট দেয়া হারাম।
২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) পৃথিবীবাসীর জন্য রহমতস্বরূপ।
৩. যারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে কষ্ট দেয় তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
৪. মুনাফিকদের কুচক্রের কথা আল্লাহ তা‘আলা ফাঁস করে দিয়েছেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings