Surah At Tawbah Tafseer
Tafseer of At-Tawbah : 39
Saheeh International
If you do not go forth, He will punish you with a painful punishment and will replace you with another people, and you will not harm Him at all. And Allah is over all things competent.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
৩৮-৩৯ নং আয়াতের তাফসীর:
ঘটনা এই যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বহু দূরের সফর তাবুকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার জন্যে সাহাবীদেরকে এমন সময়ে নির্দেশ দেন যখন প্রচন্ড গরম পড়েছিল, গাছের ফল পেকে উঠেছিল এবং গাছের ছায়া বেড়ে গিয়েছিল। কিছু লোক রয়ে গিয়েছিল, তাদেরকেই তিরস্কার করে বলা হচ্ছে-যখন তোমাদেরকে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করার জন্যে ডাক দেয়া হচ্ছে তখন তোমরা মাটি আঁকড়ে বসে থাকছে। কেন? তোমরা কি দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী ভোগ্য বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আখিরাতের চিরস্থায়ী নিয়ামতকে ভুলে বসেছো? জেনে রেখো যে, পরকালের তুলনায় দুনিয়ার কোন মূল্যই নেই।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) স্বীয় তর্জনীর দিকে ইশারা করে বলেনঃ “এ অঙ্গুলিটি কেউ সমুদ্রে ডুবিয়ে উঠালে তাতে যতটুকু পানি উঠবে, ঐ পানিটুকু সমুদ্রের তুলনায় যেমন, আখিরাতের তুলনায় দুনিয়াও তেমন। (এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ) তাঁর সহীহ গ্রন্থে এবং ইমাম আহমাদ (রঃ) তার মুসনাদ গ্রন্থে তাখরীজ করেছেন)
আবু হুরাইরা (রাঃ)-কে কেউ জিজ্ঞেস করেন- আমি শুনেছি যে, আপনি নাকি হাদীস বর্ণনা করে থাকেনঃ “আল্লাহ তা'আলা একটি পুণ্যের বিনিময়ে এক লাখ সওয়াব দিয়ে থাকেন।" এটা কি সত্য? তিনি উত্তরে বলেনঃ “হ্যা, এটা তো সত্যই, তাছাড়া আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে এ কথাও বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা'আলা একটা পুণ্যের বিনিময়ে দু'লাখ সওয়াব দান করবেন।” অতঃপর তিনি (আরবী)-এ বাক্যটি পাঠ করে বলেনঃ “দুনিয়ার যা অতীত হয়েছে এবং যা বাকী আছে সমস্তই আখিরাতের তুলনায় অতি অল্প। আবদুল আযীয ইবনে আবি হাসিম (রঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, আবদুল আযীয ইবনে মারওয়ান (রঃ)-এর যখন মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসলো তখন তিনি বললেনঃ “যে কাপড়ে আমাকে কাফন পরানো হবে ওটা আমার কাছে নিয়ে এসো তো, আমি একটু দেখে নিই।” কাপড়টি তার সামনে রাখা হলে তিনি ওটার দিকে তাকিয়ে বলেনঃ “দুনিয়ায় তো আমার অংশ এটাই ছিল। এটুকু দুনিয়া নিয়ে আমি যাচ্ছি!” অতঃপর তিনি পিঠ ফিরিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেনঃ “হায় দুনিয়া! তোমার অধিকও অল্প এবং তোমার অল্পতো খুবই ছোট! আফসোস! আমরা ধোকার মধ্যেই পড়ে রয়েছি!”
আল্লাহ তা'আলা জিহাদ পরিত্যাগ করার উপর ভীতি প্রদর্শন করে বলছেন-যদি তোমরা (যুদ্ধের জন্যে) বের না হও তবে আল্লাহ তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রদান করবেন। একটি গোত্রকে রাসূলুল্লাহ (সঃ) জিহাদের জন্যে আহ্বান করেন। কিন্তু তারা তাঁর আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তখন আল্লাহ তাদের থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন।
আল্লাহ পাক বলেন-“তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য এক জাতি সৃষ্টি করে দিবেন। অর্থাৎ তোমরা গর্বে ফুলে ওঠো না যে, তোমরাই তো রাসূল (সঃ)-এর সাহায্যকারী। জেনে রেখো যে, তোমরা যদি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাহায্যকারীরূপে না থাকো তবে আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে ধ্বংস করে দিয়ে অন্যদেরকে তাঁর সাথী ও সাহায্যকারী বানিয়ে দেবেন যারা তোমাদের মত হবে না। তোমরা আল্লাহর দ্বীনের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। এটা মনে করো না যে, তোমরা জিহাদ না করলে মুজাহিদরা জিহাদ করতেই পারবে না। আল্লাহ সব কিছুর উপরই পূর্ণ ক্ষমতাবান। তোমাদের ছাড়াই তিনি তাঁর মুজাহিদ বান্দাদেরকে শত্রুদের উপর বিজয় দান করতে পারেন।
বলা হয়েছে যে, এই আয়াতটি ও (আরবী) (৯:৪১) এই আয়াতটি এবং (৯:১২০) এই আয়াতটি (আরবী) (৯:১২২) এ আয়াত দ্বারা মানসূখ বা রহিত হয়ে গেছে। কিন্তু ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) এর প্রতিবাদ করে বলেন যে, এই আয়াতগুলো মানসূখ হয়নি, বরং এগুলোর ভাবার্থ এই যে, যাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সঃ) জিহাদে বের হওয়ার জন্যে ডাক দেবেন তাদেরকে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে যেতে হবে। যদি তারা তা পরিত্যাগ করে তবে তাদেরকে ঐ কারণে শাস্তি প্রদান করা হবে। এটাই খুব উত্তম ব্যাখ্যা বটে। আল্লাহ তা'আলাই সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings