Surah At Tawbah Tafseer
Tafseer of At-Tawbah : 28
Saheeh International
O you who have believed, indeed the polytheists are unclean, so let them not approach al-Masjid al-Haram after this, their [final] year. And if you fear privation, Allah will enrich you from His bounty if He wills. Indeed, Allah is Knowing and Wise.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৮-২৯ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: মুশরিকরা হাজ্জ করতে বাইতুল্লায় আসত এবং ব্যবসা করার জন্য সাথে খাদ্য নিয়ে আসত। যখন বাইতুল্লায় আসতে নিষেধ করা হল তখন শয়তান মুসলিমদের মনে ভয় সৃষ্টি করে দিয়ে বলতে লাগল: তাহলে তোমরা কিভাবে বাঁচবে, তোমাদের খাবার কোথা থেকে আসবে? তখন আল্লাহ তা‘আলা
(وَإِنْ خِفْتُمْ عَيْلَةً فَسَوْفَ يُغْنِيكُمُ اللّٰهُ مِنْ فَضْلِه۪)
আয়াতটি নাযিল করেন। (লুবানুল নুকুল, পৃঃ ১৪০, কুরতুবী, অত্র আয়াতের তাফসীর, সফওয়াতুত্ তাফাসীর ১/৪৯৩)
মুশরিকরা অপবিত্র এর অর্থ: তারা আকীদা বিশ্বাস ও আমলগত অপবিত্র। কারো কারো নিকট মুশরিকরা বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয়ভাবে অপবিত্র। কেননা, তারা পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে সেরূপ খেয়াল রাখেনা যেরূপ শরীয়ত নির্দেশ দিয়েছে।
মুশরিকরা শুধু মাসজিদে হারামেই প্রবেশ করতে পারবে না। প্রয়োজনে অন্য কোন মাসজিদে প্রবেশ করতে পারে। যেমন সুমামাহ বিন উসালকে মাসজিদে নববীতে বেঁধে রাখা হয়েছিল। অথচ সে ছিল মুশরিক। অধিকাংশ আলিমের মতে মাসজিদে হারাম বলতে সম্পূর্ণ হারাম এলাকা এতে শামিল। সুতরাং সম্পূর্ণ হারাম এলাকায় মুশরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
তবে ইমাম কুরতুবী (রহঃ) এ বিষয়ে পাঁচটি মত নিয়ে এসেছেন। মদীনাবাসীদের মতে মাসজিদে হারামসহ কোন মাসজিদে প্রবেশ করতে পারবে না। এ নির্দেশ দিয়ে উমার বিন আব্দুল আযীয (রহঃ) গভর্নরদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। এ মতকে কুরআনের অন্য আয়াত সমর্থন করে।
(فِيْ بُيُوْتٍ أَذِنَ اللّٰهُ أَنْ تُرْفَعَ وَيُذْكَرَ فِيْهَا اسْمُه۫ لا يُسَبِّحُ لَه۫ فِيْهَا بِالْغُدُوِّ وَالْاٰصَالِ)
“সে-সকল ঘরকে সমুন্নত করতে এবং যাতে তাঁর নাম স্মরণ করতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে”(সূরা নূর ২৪: ৩৬)
নাবী (সাঃ) বলেন: মাসজিদে প্রসাব ও ময়লা ফেলা উচিত নয়। (সহীহ মুসলিম হা: ২৮৫) কাফিররা ময়লা থেকে খালি নয়। তবে সঠিক কথা প্রথমটিই, কারণ কুরআনে সরাসরি মাসজিদে হারামের কথা উল্লেখ রয়েছে।
(بَعْدَ عَامِهِمْ هٰذَا)
‘এ বৎসরের পর’এ বছর বলতে যে বছর সূরা তাওবাহ নাযিল হয়েছে তথা নবম হিজরী, কেউ বলেছেন দশম হিজরী।
إِنْ شَا۬ءَ ‘আল্লাহ ইচ্ছা করলে’ অর্থাৎ রিযিক সম্পূর্ণ আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছাধীন, আল্লাহ তা‘আলা যাকে যতটুকু ইচ্ছা রিযিক দান করেন এবং তিনিই বণ্টন করে দেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَهُمْ يَقْسِمُوْنَ رَحْمَتَ رَبِّكَ ط نَحْنُ قَسَمْنَا بَيْنَهُمْ مَّعِيْشَتَهُمْ فِي الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَرَفَعْنَا بَعْضَهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجٰتٍ لِّيَتَّخِذَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا سُخْرِيًّا ط وَرَحْمَتُ رَبِّكَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُوْنَ)
“তারা কি তোমার প্রতিপালকের রহমত বন্টন করে? আমিই তাদের মধ্যে জীবিকা বণ্টন করি তাদের পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নীত করি যাতে একে অপরের দ্বারা খেদমত লাভ করতে পারে এবং তারা যা জমা করে তা হতে তোমার প্রতিপালকের রহমত উৎকৃষ্টতর।”(সূরা যুখরুফ ৪৩: ৩২)
(قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُوْنَ)
‘যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহতে ঈমান আনে না ও শেষদিনেও নয়’মুশরিকদের বিরুদ্ধে সাধারণভাবে যুদ্ধের আদেশের পর এ আয়াতে ইয়াহূদী খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করার আদেশ করা হচ্ছে। (যদি তারা ইসলাম গ্রহণ না করে তাহলে তারা জিযিয়া দিয়ে মুসলিমদের অধীনে বসবাস করবে। জিযিয়া হল নির্ধারিত কিছু অর্থ। মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাস করতে চায় এমন অমুসলিমদের থেকে বাৎসরিক যে চাঁদা আদায় করা হয় তাকে জিযিয়া বলা হয়। এ জিযিয়া প্রত্যেকে স্বহস্তে নত স্বীকার করে প্রদান করবে। এর বিনিময়ে তাদের জান মাল ও মান-ইজ্জতের হিফাযতের দায়িত্ব মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর বর্তাবে। জিযিয়া কেবল স্বাধীন পুরুষ ও যোদ্ধাদের থেকে নেয়া হবে। কুরআনে সে নির্দেশই দেয়া হয়েছে এবং আলেম সমাজ এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।
ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা আল্লাহ তা‘আলা এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখত, তা সত্ত্বেও তাদের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, তারা আল্লাহ তা‘আলা এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে না। এ থেকে এটা স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে যে, মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলার প্রতি সেভাবে ঈমান না আনবে যেভাবে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলগণের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের ঈমান গ্রহণযোগ্য নয়।
অধিকাংশ আলিম এ আয়াতের ভিত্তিতে বলেছেন: জিযিয়া কেবল আহলে কিতাবের থেকে নেয়া হবে। কেননা তাদের ছাড়া অন্যের কাছ থেকে জিযিয়া নেয়ার কথা বলা হয়নি। অন্যরা হয় ইসলাম গ্রহণ করবে নতুবা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে। (তাফসীরে সা‘দী, পৃঃ ৩৪১)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মক্কার হারাম এলাকায় মুশরিকদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ সে যে কেউ হোক না কেন।
২. দরিদ্রতার ভয় যেন কোন মু’মিনকে আল্লাহ তা‘আলার আদেশ বাস্তবায়ন করতে বাধা না দেয়।
৩. আহলে কিতাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ওয়াজিব যতক্ষণ না ইসলাম গ্রহণ করে অথবা জিযিয়া দেয়।
৪. শির্ক মিশ্রিত ঈমান গ্রহণযোগ্য নয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings