Surah At Tawbah Tafseer
Tafseer of At-Tawbah : 26
Saheeh International
Then Allah sent down His tranquillity upon His Messenger and upon the believers and sent down soldiers angels whom you did not see and punished those who disbelieved. And that is the recompense of the disbelievers.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৫-২৭ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতে হুনাইন যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মক্কা ও তায়েফের মধ্যবর্তী একটি উপত্যকার নাম হুনাইন। এখানে হাওয়াযিন এবং সাকীফ নামক দুই গোত্রের লোক বসবাস করত। উভয় গোত্রই তীর নিক্ষেপে পারদর্শী ছিল। এরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেকথা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জানতে পারলে বার হাজার সৈন্য নিয়ে সেই গোত্রের সাথে লড়াই করার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হন।
এ যুদ্ধ মক্কা বিজয়ের আঠার বা ঊনিশ দিন পর শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়। উল্লিখিত উভয় গোত্রের লোক পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছিল। তারা বিভিন্ন ঘাঁটিতে তীরন্দাজ মোতায়েন করেছিল। এদিকে মুসলিমরা আত্মগর্ব করতে লাগল, আজ আমরা সংখ্যায় স্বল্পতার কারণে পরাজিত হব না। আমরা সংখ্যায় অনেক। সেদিন মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা ছিল বার হাজার ইতোপূর্বে কোন যুদ্ধেই মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা শত্রুদের তুলনায় বেশি ছিল না। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (إِذْ أَعْجَبَتْكُمْ كَثْرَتُكُمْ) ‘যখন তোমাদেরকে উৎফুল্ল করেছিল তোমাদের সংখ্যাধিক্য’ আল্লাহ তা‘আলা এ গর্ব পছন্দ করলেন না। পরিণামস্বরূপ যখন হাওয়াযিন গোত্রের তীরন্দাজরা বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে মুসলিম বাহিনীর ওপর তীর নিক্ষেপ করতে লাগল তখন মুসলিম বাহিনী বিচলিত ও বিক্ষিপ্ত হয়ে পলায়ন শুরু করল। ময়দানে কেবল নাবী (সাঃ) একশত সৈন্য নিয়ে অবিচল থাকলেন। তিনি মুসলিমদের ডাক দিয়ে বললেন: হে আল্লাহ তা‘আলার বান্দারা! তোমরা আমার কাছে এসো। কখনো কখনো তিনি এ কবিতা পড়তেন:
أنَا نَبِيٌ لَا كَذِب * أنَا ابْنُ عَبْدِ المُطَّلِّب
আমি নাবী এটা মিথ্যা নয়। আমি আব্দুল মুত্তালিবের সন্তান। আব্বাস (রাঃ)-এর দ্বারা ডাক দেয়ালেন (কারণ আব্বাস (রাঃ)-এর গলার স্বর উঁচু ছিল। ফলে সবাই একত্রিত হলো। তারপর সকলে মিলে দৃঢ়তার সাথে যুদ্ধ করলেন। অতঃপর জয় লাভ করলেন। এ যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী প্রচুর গনীমত লাভ করে। ছয় হাজার লোক বন্দী করে, চৌদ্দ হাজার উট, চল্লিশ হাজারেরও বেশি ছাগল, চার হাজার উকিয়া রৌপ্য গনীমত হিসেবে পেয়েছিলেন। (আর-রাহিকুল মাখতুম, হুনাইন যুদ্ধ) আবূ কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: হুনাইনের বছর আমরা নাবী (সাঃ)-এর সাথে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। আমরা যখন শত্রুর মুখোমুখি হলাম তখন মুসলিমদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিল। এমন সময় আমি মুশরিকদের এক ব্যক্তিকে দেখলাম সে মুসলিমদের এক ব্যক্তিকে পরাভূত করে ফেলেছে। তাই আমি কাফির লোকটির পশ্চাৎ দিকে গিয়ে তরবারী দিয়ে তার কাধ ও ঘাড়ের মাঝে শক্ত শিরার ওপর আঘাত হানলাম এবং লোকটির গায়ের লৌহ বর্মটি কেটে ফেললাম। এ সময় সে আমার ওপর আক্রমণ করে বসল এবং আমাকে এত জোরে চাপ দিয়ে জড়িয়ে ধরল যে, আমি আমার মৃত্যুর বাতাস অনুভব করলাম। এরপর লোকটিকে মৃত্যু পেয়ে বসল আর আমাকে ছেড়ে দিল। এরপর আমি উমার (রাঃ) এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, মুসলিমদের অবস্থা কী? তিনি বললেন: মহান শক্তিধর আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছা। এরপর সবাই (আবার) ফিরে এল এবং মুশরিকদের ওপর হামলা চালিয়ে যুদ্ধে জয়ী হল। .........হাদীসের শেষ পর্যন্ত। (সহীহ বুখারী হা: ৪৩২১, সহীহ মুসলিম হা: ২১০০)
সুতরাং মুসলিমদের সংখ্যাধিক্যতা ধর্তব্য নয় বরং ধর্তব্য হল তাদের ঈমান ও সৎ আমল। মুসলিমরা যদি ঈমানে শক্তিশালী হয় এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আল্লাহ তা‘আলার ওপর ভরসা করে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই তাদের বিজয় দান করবেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সংখ্যায় অধিক হলেই বিজয় লাভ করা যায় না, যদি আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য না থাকে।
২. শত্রুরা রণকৌশলে বেশি পারদর্শী হলেও ভয় পাবার কিছু নেই। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তার চেয়েও অধিক শক্তিশালী।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings