Surah At Tawbah Tafseer
Tafseer of At-Tawbah : 24
Saheeh International
Say, [O Muhammad], "If your fathers, your sons, your brothers, your wives, your relatives, wealth which you have obtained, commerce wherein you fear decline, and dwellings with which you are pleased are more beloved to you than Allah and His Messenger and jihad in His cause, then wait until Allah executes His command. And Allah does not guide the defiantly disobedient people."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৩-২৪ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা ঐসব লোকেদের অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন যারা কুফরীকে ভালবাসে, কুফরীকে প্রাধান্য দেয় যদিও তারা অতি নিকটাত্মীয় হয়। যদিও আয়াতগুলো মক্কায় অবস্থানরত মুসলিমদেরকে হিজরত করা ও কাফিরদের দেশ ত্যাগ করার প্রতি উৎসাহ দিয়ে নাযিল হয়েছে কিন্তু আয়াতটি কিয়ামত পর্যন্ত সকল মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য যাদের অবস্থা এমন হবে। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(لَا تَجِدُ قَوْمًا يُّؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَآدُّوْنَ مَنْ حَادَّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَه۫ وَلَوْ كَانُوْآ اٰبَا۬ءَهُمْ أَوْ أَبْنَا۬ءَهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيْرَتَهُمْ)
“যারা আল্লাহর প্রতি ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, তাদেরকে তুমি এমন লোকেদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবে না যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করে, যদিও তারা তাদের পিতা অথবা তাদের পুত্র অথবা তাদের ভাই অথবা তাদের জাতি-গোষ্ঠী হোক না কেন।”(সূরা মুজাদালাহ ৫৮:২২)
যারা এরূপ ব্যক্তিদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করে নেবে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে কঠিন ধমক দিয়ে যালেম বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: সে ব্যক্তিও তাদের মত মুশরিক যে ব্যক্তি শির্ককে পছন্দ করে। (কুরতুবী, অত্র আয়াতের তাফসীর)
(أَحَبَّ إِلَيْكُمْ مِّنَ اللّٰهِ وَرَسُوْلِه)
‘যদি আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করা অপেক্ষা অধিক প্রিয় হয়’ অর্থাৎ যদি আয়াতে উল্লিখিত আটটি জিনিসের কোন একটি তোমাদের কাছে আল্লাহ তা‘আলা, রাসূল ও তাঁর রাস্তায় জিহাদ করার চেয়ে অধিক প্রিয় হয় তাহলে আল্লাহ তা‘আলার শাস্তির অপেক্ষা কর। অর্থাৎ তাদের ভালবাসা ও মোহে যদি আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের প্রতি ঈমান এবং জিহাদ করা বর্জন কর তাহলে তোমরা আল্লাহ তা‘আলার শাস্তির সম্মুখিন হবে।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: সেই সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ! তোমাদের কেউ পূর্ণ মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সকল মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় হই। (সহীহ বুখারী হা: ১৪)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: যখন তোমরা বাইয়ে ঈনাহ বা সূদভিত্তিক ক্রয়-বিক্রয় শুরু করবে, গরুর লেজ ধারণ করে থাকবে, অর্থাৎ কৃষি কাজ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে আর জিহাদ ছেড়ে দেবে তখন আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে লাঞ্ছনায় পতিত করবেন; আর এ লাঞ্ছনা দূর হবে না যতক্ষণ না তোমরা নিজেদের সঠিক দীনের দিকে ফিরে আসবে। (আবূ দাঊদ হা: ৩৪৬২, সহীহ)
হাদীসে এসেছে: শয়তান আদম সন্তানের তিনটি পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে- ১. ইসলাম গ্রহণ করতে বাধা দিয়ে বলে: তুমি তোমার ও বাপ-দাদার ধর্ম বর্জন করো না। কিন্তু আদম সন্তান তার কথা না শুনে ইসলাম গ্রহণ করে। ২. হিজরত করতে বাধা দিয়ে বলে: তুমি কি তোমার সম্পদ ও পরিবার ত্যাগ করবে? কিন্তু তার কথা না শুনে আদম সন্তান হিজরত করে। ৩. জিহাদের রাস্তায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং বলে: তুমি জিহাদ করবে? তোমার পরিবারকে অন্যজনে বিবাহ করে নেবে, তাহলে তোমার সম্পদ বণ্টন করে নেবে। কিন্তু আদম সন্তান তার কথা না শুনে জিহাদ করে। আল্লাহ তা‘আলার ওপর ওয়াজিব এ ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। (নাসায়ী হা: ৩১৩৪, মুসনাদ আহমাদ হা: ১৫৫২৮, সহীহ)
সুতরাং একজন মু’মিন কখনো আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের ভালবাসার ওপর নিজেকে ও নিজের পিতা-মাতাসহ আত্মীয়-স্বজনকে প্রাধান্য দিতে পারে না। যদি তাদের ভালবাসা দীনের পথে চলতে ও নির্দেশ মানতে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সে পূর্ণ মু’মিন বলে বিবেচিত হবে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যারা কুফরীকে প্রাধান্য দেয় তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা আবশ্যক যদিও নিকটাত্মীয় হয়।
২. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এবং তাঁর রাস্তায় জিহাদ করার চেয়ে আটটি জিনিস অধিক প্রিয় হলে আল্লাহ তা‘আলার শাস্তি অবধারিত।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings