Surah At Tawbah Tafseer
Tafseer of At-Tawbah : 16
Saheeh International
Do you think that you will be left [as you are] while Allah has not yet made evident those among you who strive [for His cause] and do not take other than Allah, His Messenger and the believers as intimates? And Allah is Acquainted with what you do.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৬-১৮ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদেরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপর জান্নাত দেবেন- সে কথাই এখানে প্রকাশ পেয়েছে। প্রকৃত ঈমানদারদের জন্য মর্যাদা বৃদ্ধি ও মুনাফিকদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা জিহাদকে শরীয়ত সিদ্ধ করে দিয়েছেন। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَحَسِبَ النَّاسُ أَنْ يُّتْرَكُوْآ أَنْ يَّقُوْلُوْآ اٰمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُوْنَ , وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَلَيَعْلَمَنَّ اللّٰهُ الَّذِيْنَ صَدَقُوْا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكٰذِبِيْنَ )
“মানুষ কি মনে করে যে, আমরা ঈমান এনেছি- এ কথা বললেই তাদেরকে পরীক্ষা না করেই অব্যাহতি দেয়া হবে? আমি তো এদের পূর্ববর্তীদেরকেও পরীক্ষা করেছিলাম; আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন কারা সত্যবাদী এবং তিনি অবশ্যই প্রকাশ করে দেবেন কারা মিথ্যাবাদী।”(সূরা আনকাবুত ২৯:২-৩)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللّٰهُ الَّذِيْنَ جٰهَدُوْا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصّٰبِرِيْنَ)
“তোমরা কি ধারণা করছো যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ জানবেন না তোমাদের মধ্য হতে কে জিহাদ করে ও কে ধৈর্য ধরে।”(সূরা আলি ইমরান ৩:১৪২)
মোটকথা আল্লাহ তা‘আলা জিহাদকে শরীয়তসিদ্ধ করেছেন বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্য, কে তাঁর আদেশ মান্য করতঃ জান-মাল দিয়ে জিহাদ করে আর কে অমান্য করে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: যে ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করল কিন্তু জিহাদ করল না এবং জিহাদের কোন ইচ্ছাও করল না সে এক প্রকার মুনাফিক অবস্থায় মারা গেল। (সহীহ মুসলিম হা: ১৯১০)
নিষ্ঠাবান মুসলিমদের আলামত দুটি: প্রথমত তারা শুধু আল্লাহ তা‘আলার জন্য কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে। দ্বিতীয়ত কোন অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে না। وَلِیْجَةٌ অর্থ অন্তরঙ্গ বন্ধু, যে গোপন কথা জানে। সূরা আলি-ইমরানের ১১৮ নং আয়াতে এ অর্থে بِطَانَةً শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা ঐ সকল লোকেদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন যারা তঁর ঘরসমূহ আবাদ করবে। যারা নিজেদের কুফরীর সাক্ষ্য দেয় ঐ সকল মুশরিকরা আল্লাহ তা‘আলার ঘরসমূহ আবাদ করতে পারে না। যেমন মুশরিকরা তালবিয়াহ পাঠ করার সময় বলত:
لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ إِلاَّ شَرِيكًا هُوَ لَكَ تَمْلِكُهُ وَمَا مَلَكَ
“আমি তোমার কাছে হাজির, তোমার কোন শরীক নেই, তবে শরীক আছে, তার ও সে শরীক যা কিছুর মালিক তাও তোমার কর্তৃত্বাধীন।”(সহীহ মুসলিম হা: ১১৮৫)
যাদের চারটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে তারাই শুধু মাসজিদ আবাদ করবে:
১. যারা আল্লাহ তা‘আলা ও আখিরাতের ওপর বিশ্বাসী হবে। ২. সালাত কায়িম করবে। ৩. যাকাত প্রদান করবে। ৪. এবং আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করবে না।
তাই মাসজিদ পরিচালনা কমিটিরও এ বৈশিষ্ট্যসমূহ থাকা আবশ্যক। তাহলেই মাসজিদের উন্নয়ন আশা করা যায়। খতিব সাহেবদের উচিত কমিটিকে ভয় না করে আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে সততার সাথে দীনী দায়িত্ব পালক করা।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. বান্দাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে দেবেন।
২. মাসজিদ আবাদকারীদের ও পরিচালনা কমিটির বৈশিষ্ট্যের কথা জানতে পারলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings