Surah At Tawbah Tafseer
Tafseer of At-Tawbah : 128
Saheeh International
There has certainly come to you a Messenger from among yourselves. Grievous to him is what you suffer; [he is] concerned over you and to the believers is kind and merciful.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১২৮-১২৯ নং আয়াতের তাফসীরঃ
অত্র সূরার শেষে আল্লাহ তা‘আলা নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে প্রেরণ করে মু’মিনদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন সে নেয়ামতের করা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন।
‘তোমাদের মধ্য হতেই’ এর অর্থ হল: তোমাদের মত মানব জাতি থেকে এবং তোমাদের আরবি ভাষায়। যেমন ইবরাহীম (আঃ) বলেছেন:
(رَبَّنَا وَابْعَثْ فِيْهِمْ رَسُوْلًا مِّنْهُمْ يَتْلُوْا عَلَيْهِمْ اٰيٰتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتٰبَ وَالْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيْهِمْ ط إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ)
“হে আমাদের রব! সে দলে তাদেরই মধ্য হতে এমন একজন রাসূল প্রেরণ কর যিনি তাদেরকে আপনার আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনাবেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দান করবেন ও তাদেরকে পবিত্র করবেন। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।”(সূরা বাকারাহ ২:১২৯)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَقَدْ مَنَّ اللہُ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ اِذْ بَعَثَ فِیْھِمْ رَسُوْلًا مِّنْ اَنْفُسِھِمْ یَتْلُوْا عَلَیْھِمْ اٰیٰتِھ۪ وَیُزَکِّیْھِمْ وَیُعَلِّمُھُمُ الْکِتٰبَ وَالْحِکْمَةَﺆ وَاِنْ کَانُوْا مِنْ قَبْلُ لَفِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ)
“নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বাসীগণের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের নিজেদেরই মধ্য হতে একজন রাসূল তাদের কাছে প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের নিকট তাঁর নিদর্শনাবলী (আয়াতসমূহ) পাঠ করেন ও তাদেরকে পবিত্র করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও বিজ্ঞান শিক্ষা দান করেন যদিও তারা এর পূর্বে প্রকাশ্য ভ্রান্তির মধ্যে ছিল।”
জাফর বিন আবূ তালিব (রাঃ) বাদশা নাজ্জাশীর কাছে বলেছিলেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আমাদের মাঝে আমাদের মধ্য থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন, আমরা তাঁর বংশ পরিচয়, গুণাবলী সম্পর্কে জানি। তাঁর উঠা-বসা, চলা-ফেরা, সত্যবাদিতা ও বিশ্বস্ততা ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে। জাহিলী যুগ থেকেই তাঁর বংশে কোন কলঙ্ক নেই।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: আমি (পিতা-মাতার) বিবাহের মাধ্যমে জন্ম লাভ করেছি, ব্যভিচারের মাধ্যমে নয়। (ইরউয়াউল গালীল ৬/৩২৯-৩৩৪ পৃঃ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) পিতার উরসে মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া রক্ত মাংসের একজন মানুষ, পার্থক্য শুধু আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে নাবী ও রাসূল হিসেবে চয়ন করেছেন, তাঁর কাছে ওয়াহী প্রেরণ করেছেন আর অন্যান্য সাধারাণ মানুষের এ গুণ নেই।
(حَرِيْصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِيْنَ)
“তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মু’মিনদের প্রতি তিনি দয়ালু” অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاخْفِضْ جَنَاحَکَ لِمَنِ اتَّبَعَکَ مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ ، فَاِنْ عَصَوْکَ فَقُلْ اِنِّیْ بَرِیْ۬ ئٌ مِّمَّا تَعْمَلُوْنَ ، وَتَوَکَّلْ عَلَی الْعَزِیْزِ الرَّحِیْمِ)
“এবং যারা তোমার অনুসরণ করে সে সমস্ত মু’মিনদের প্রতি বিনয়ী হও। তারা যদি তোমার অবাধ্য হয়, তুমি বল: ‘তোমরা যা কর তা হতে আমি দায়মুক্ত। তুমি নির্ভর কর পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু আল্লাহর ওপর।” (সূরা শুয়ারাহ ২৬:২১৫-১৭)
আর যদি দীনের দাওয়াত থেকে কেউ মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে বল: আল্লাহ তা‘আলা আমার জন্য যথেষ্ট। আমি তার ওপর ভরসা করি। তিনি ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই।
সুতরাং আমাদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলার অপার অনুগ্রহ যে, তিনি আমাদের মত মানব জাতির মধ্য থেকে সর্বশেষ ও চূড়ান্ত রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) কে প্রেরণ করেছেন। আরো অনুগ্রহ যে তাঁকে মু’মিনদের প্রতি দয়ালু ও কল্যাণকামী করেছেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষের প্রতি আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ অনুগ্রহ যে, আরবদের মধ্য থেকে তিনি শেষ নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে প্রেরণ করেছেন।
২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর চরিত্রের পরিপূর্ণতার বিবরণ পেলাম।
৩. আল্লাহ তা‘আলার ওপর ভরসা করা ওয়াজিব।
৪. আল্লাহ তা‘আলার আরশের মহত্ত্ব জানলাম।
৫. এ আয়াতের ফযীলত জানা গেল।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings