Surah At Tawbah Tafseer
Tafseer of At-Tawbah : 118
Saheeh International
And [He also forgave] the three who were left behind [and regretted their error] to the point that the earth closed in on them in spite of its vastness and their souls confined them and they were certain that there is no refuge from Allah except in Him. Then He turned to them so they could repent. Indeed, Allah is the Accepting of repentance, the Merciful.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১৭-১১৯ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
আব্দুল্লাহ বিন কা’ব বিন মালেক হতে বর্ণিত যিনি কা’ব বিন মালেক (দৃষ্টিহীন হওয়ার পরে) তার পথপ্রদর্শক হিসেবে ছিলেন। তিনি বলেন: আমি কা’ব বিন মালেক (রাঃ)-কে তাবূক যুদ্ধে যারা পশ্চাতে থেকে গিয়েছিলেন তাদের ঘটনা বলতে শুনেছি, তিনি বলেন: আল্লাহর কসম! হয়ত আল্লাহ (রাসূলুল্লাহর কাছে) সত্য কথা প্রকাশের কারণে অন্য কাউকে অত বড় পরীক্ষা করেননি যে পরীক্ষা আমাকে করেছেন। যখন আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে তাবূক যুদ্ধে না যাওয়ার সঠিক কারণ বর্ণনা করেছি তখন থেকে আজ পর্যন্ত মিথ্যা বলার ইচ্ছাও করিনি। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর ওপর এ আয়াত নাযিল করেন:
(لَقَدْ تَّابَ اللّٰهُ عَلَي النَّبِيِّ .... وَكُوْنُوْا مَعَ الصَّادِقِيْنَ)
(সহীহ সহীহ বুখারী হা: ৪৬৭৮, সহীহ মুসলিম হা: ২৭৬৯)
তাবুক অভিযানকে سَاعَةِ الْعُسْرَةِ ‘সঙ্কটময় মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ প্রথমতঃ তখন গ্রীষ্মকাল, প্রচুর গরম ছিল। দ্বিতীয়তঃ ফসল কাটার সময় ছিল। তৃতীয়তঃ অনেক দূরের সফর ছিল। চতুর্থতঃ সফরের সম্বল ছিল অতি অল্প। ফলে এ অভিযানে অংশগ্রহণকারীদেরকে جيش العسرة বা সঙ্কটকালের সেনা বলা হয়।
যে সকল সাহাবী সামর্থ থাকা সত্ত্বেও বিনা কারণে তাবুক যুদ্ধে যায়নি এবং নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে তাদের তাওবাহ কবূল করার কথা এ আয়াতে বলা হয়েছে।
(وَعَلَي الثَّلَاثَةِ الَّذِيْنَ خُلِّفُوْا)
‘এবং তিনি ক্ষমা করলেন অপর তিনজনকে’ অর্থাৎ অনুরূপভাবে আল্লাহ তা‘আলা ঐ তিনজনের তাওবাহ কবূল করেছেন যেভাবে অন্যান্যদের তাওবাহ কবূল করত ক্ষমা করেছেন যারা সামর্থ থাকা সত্ত্বেও তাবুক যুদ্ধে মুসলিমদের সাথে বের হয়নি। সে তিনজন হলেন: কাব বিন মালিক, মুরারা বিন রাবী ও হিলাল বিন উমাইয়া (রাঃ)। (তাফসীর সা’দী, পৃঃ ৩৬৫)
خُلِّفُوْا ও مُرْجَوْنَ
এর অর্থ একই। অর্থাৎ যাদের তাওবাহ কবুল করা বা না করা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছিল, অতঃপর পঞ্চাশ দিন পর তাদের তাওবাহ কবূল করা হয়েছিল। সহীহ বুখারীর ৪৪১৮ নং হাদীসে এ সম্পর্কে বিস্তারীত বর্ণনা এসেছে।
(وَكُوْنُوْا مَعَ الصَّادِقِيْنَ)
‘এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও’অর্থাৎ সত্য বল, সত্যকে আঁকড়ে ধর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো। তাহলে ধ্বংস থেকে নাজাত পাবে এবং সকল কাজে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য প্রশস্ততা দেবেন ও নিষ্কৃতির পথ বের করে দেবেন। যেমন তিনজন সাহাবী সামর্থ থাকা সত্ত্বেও তাবুক যুদ্ধে যায়নি, পরে সত্য কথা বলার কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাদের তাওবাহ কবুল করে নিষ্কৃতির পথ বের করে দিয়েছেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: তোমাদের সত্য বলা আবশ্যক। কেননা সত্য সৎকাজের দিকে দিক নির্দেশনা দেয় আর সৎ কাজ জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়। একজন ব্যক্তি যখন সর্বদা সত্য কথা বলে এবং সত্য অনুসন্ধান করে তখন তার নাম (সত্যবাদী) সিদ্দিকীনদের সাথে লিখা হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৬০৯৪)
তাই আমরা সদা সত্য বলব এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকব তাহলে আল্লাহ তা‘আলা সকল কাজে আমাদের সহায় হবেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাহাবাদের ফযীলত জানতে পারলাম।
২. মু’মিনদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ যে, তিনি তাদের অন্তরকে বক্রতা থেকে মুক্ত করে রেখেছেন।
৩. কা‘ব বিন মালিকসহ তাঁর দুই সাথীর ফযীলত জানলাম।
৪. কথায় ও কাজে তাক্বওয়া ও সত্যবাদীতার ফযীলত জানলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings