Surah At Tawbah Tafseer
Tafseer of At-Tawbah : 105
Saheeh International
And say, "Do [as you will], for Allah will see your deeds, and [so, will] His Messenger and the believers. And you will be returned to the Knower of the unseen and the witnessed, and He will inform you of what you used to do."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০৩-১০৬ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাঃ)-কে নির্দেশ প্রদান করছেন মু’মিনদের সম্পদের যাকাত গ্রহণ কর। এখানে সদাক্বাহ দ্বারা ফরয যাকাত উদ্দেশ্য। (তাফসীর সা‘দী. পৃঃ ৩৬০)
এ ফরয যাকাত গ্রহণ করলে তা তাদেরকে অপরাধ ও অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করবে এবং তাদের সৎ আমলও বৃদ্ধি পাবে।
অনেকে মনে করে থাকেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর ইন্তিকালের পর যাকাত আদায় করতে হবে না। কারণ আয়াতের সর্বনাম দ্বারা ঐ ব্যক্তিদের সম্বোধন করা হয়েছে যারা সৎ আমলের সাথে অসৎ আমল সংমিশ্রণ করেছে। আর আয়াতে নাবী (সাঃ)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, অতএব রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মারা গেছেন, ফলে আর যাকাত দিতে হবে না। আবূ বাকর (রাঃ) ও অন্যান্য সাহাবী এ ভুল ব্যাখ্যা খণ্ডন করে দিয়েছেন। তিনি বললেন: আল্লাহর শপথ! যারা রাসূলের যুগে যাকাত দিয়েছে তারা যদি যাকাতের উটের সাথে রশি দিতেও বাধা দেয় তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। (সহীহ বুখারী হা: ৭২৮৫)
(وَصَلِّ عَلَيْهِمْ)
‘তাদের জন্য দু‘আ করবে’- অর্থাৎ তাদের জন্য দু‘আ করুন, ক্ষমা প্রাথর্না করুন। কেননা আপনার দু‘আ তাদের জন্য রহমতস্বরূপ।
আবদুল্লাহ বিন আবূ আউফা (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট কোন ব্যক্তির যাকাতের সম্পদ নিয়ে আসা হলে তিনি তাদের জন্য দু‘আ করতেন। একদা আমার পিতা যাকাতের সম্পদ নিয়ে আসলে নাবী (সাঃ) বলেন:
اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰي آلِ أَبِيْ أَوْفَي
হে আল্লাহ! তুমি আবূ আউফার পরিবারের ওপর রহম কর। (সহীহ বুখারী হা: ১৪৯৭)
(أَنَّ اللّٰهَ هُوَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ وَيَأْخُذُ)
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের তাওবাহ কবূল করেন’- এখানে তাওবাহ ও দান-খয়রাতের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। কেননা এ দু’টিই মানুষের পাপকে মোচন ও নিশ্চিহ্ন করে দেয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার কাছে তাওবাহ করে আল্লাহ তা‘আলা তার তাওবাহ কবূল করেন। আর যে হালাল রিযিক থেকে তার পথে ব্যয় করে তিনি তার দান কবূল করেন এবং তা বৃদ্ধি করতে থাকেন এমনকি তা উহুদ পাহাড় সমপরিমাণ হয়ে যায়।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ সদাক্বাহ কবূল করেন এবং ওটাকে ডান হাতে গ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি ওটাকে বড় করতে থাকনে। যেমন তোমাদের কেউ তার ঘোড়ার বাচ্চাকে লালন-পালন করে বড় করে থাকে। এমনকি এক লুকমা সদাক্বাহ উহুদ পাহাড় পরিমাণ হয়ে যায়। (তিরমিযী হা: ৬৬২, সহীহ)
(وَقُلِ اعْمَلُوا فَسَيَرَي اللّه عَمَلَكُمْ)
‘আর বল: ‘তোমরা কর্ম করতে থাকো; আল্লাহ তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ করবেন’- মুজাহিদ (রাঃ) বলেন: এটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণকারীদের জন্য ভীতিপ্রদর্শন যে তাদের কার্যাবলী আল্লাহ তা‘আলার সামনে পেশ করা হবে। আর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও মু’মিনদের মধ্যে তাদের কাজ প্রকাশিত হয়ে পড়বে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(يَوْمَئِذٍ تُعْرَضُوْنَ لَا تَخْفٰي مِنْكُمْ خَافِيَةٌ)
“সেই দিন তোমাদেরকে উপস্থিত করা হবে এবং তোমাদের কিছুই গোপন থাকবে না। (সূরা হাককাহ: ৬৯/১৮)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(يَوْمَ تُبْلَي السَّرَآئِرُ)
“যেদিন গোপন বিষয়সমূহ প্রকাশ করা হবে” (সূরা তারেক: ৮৫/৯)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: তোমাদের কেউ যদি দরজা ও ছিদ্রহীন কোন শক্ত পাথরের মধ্যে গোপনে কোন কাজ করে তবুও আল্লাহ ওটাকে লোকেদের সামনে এমনভাবে প্রকাশ করবেন যেন সে ঐসব কাজ তাদের সামনেই করেছে। (আহমাদ: ৩য় খণ্ড, ২৮পৃঃ)
ইমাম বুখারী (রাঃ) বলেন; আয়িশাহ বলেন: যদি কোন মুসলিম ব্যক্তির ভাল আমল তোমাকে মুগ্ধ করে তাহলে বল:
(اعْمَلُوْا فَسَيَرَي اللّٰهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُوْلُهُ وَالْمُؤْمِنُوْنَ)
‘‘তোমরা কর্ম করতে থাকো; আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং মু’মিনগণ তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ করবেন’। (সহীহ বুখারী ,তাওহীদ অধ্যায় ৪৬ নং অনুচ্ছেদ)
وَآخَرُوْنَ مُرْجَوْنَ لِأَمْرِ اللّٰهِ
‘আবার অনেকে রয়েছে যাদের ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশের প্রতীক্ষায় সিদ্ধান্ত স্থগিত রইল’ অর্থাৎ তাবুক যুদ্ধ থেকে প্রথমতঃ মুনাফিকরা পিছিয়ে ছিল। দ্বিতীয়তঃ এমন কিছু মুসলিম পিছনে ছিল যাদের কোন ওজর ছিল না। তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা করা হয়নি। বরং আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশের অপেক্ষা করা হয়েছিল। এ আয়াতে সেই শ্রেণি লোকেদের কথা বলা হচ্ছে। এরা ছিল তিনজন। সামনে তাদের আলোচনা আসবে ইনশা-আল্লাহ।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যাকাত একটি ফরয ইবাদত, যা নিসাব পরিমাণ সম্পদশালীদের ওপর কিয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে।
২. ইসলামের কোন রুকনকে অস্বীকার করলে মুসলিম থাকে না।
৩. যার কাছ থেকে যাকাত নেয়া হবে তার জন্য দু‘আ করা মুস্তাহাব।
৪. দান করার ফযীলত জানতে পারলাম।
৫. আল্লাহ তা‘আলার ডান হাত রয়েছে তার প্রমাণ পেলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings