Surah Al Alaq Tafseer
Tafseer of Al-'Alaq : 19
Saheeh International
No! Do not obey him. But prostrate and draw near [to Allah ].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৯-১৯ নম্বর আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতগুলোতে একটি ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। সালাতের আদেশ হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন সালাত শুরু করতেন তখন আবূ জাহল তাঁকে সালাত আদায় করতে বারণ করে এবং হুমকি দেয় যে, ভবিষ্যতে সালাত পড়লে ও সিজদা করলে সে তাঁর ঘাড় পদতলে পিষ্ট করে দেবে। এর জবাবে আলোচ্য আয়াতসমূহ অবতীর্ণ হয়েছে।
عَبْدًا বলতে নাবী (সাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে।
(إِنْ كَانَ عَلَي الْهُدٰٓي)
অর্থাৎ সালাত আদায়কারী নাবী (সাঃ)।
(عَلَي الْهُدٰٓي) অর্থাৎ হকের ব্যাপারে জ্ঞান রাখে ও আমল করে। অন্যদেরকে তাক্বওয়ার নির্দেশ দেয়।
إِنْ كَذَّبَ অর্থাৎ যে সত্যের পথে বাধা দেয়। وَتَوَلّٰي বা হক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
(كَلَّا لَئِنْ لَّمْ يَنْتَهِ)
অর্থাৎ নাবী (সাঃ)-এর বিরুদ্ধাচরণ ও দুশমনী করা হতে এবং তাঁকে সালাত আদায়ে বাধা দেয়া হতে বিরত না হয় তাহলে আমি তার কপালের উপরিভাগের কেশগুচ্ছ ধরে টান দেব। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, একদা আবূ জাহল বলেছিল, যদি মুহাম্মাদ কাবার নিকট সালাত পড়া হতে বিরত না হয় তাহলে তাকে পদদলিত করব এবং দস্তুরমত লাঞ্ছিত করব। নাবী (সাঃ)-এর কানে এ কথা পৌঁছলে তিনি বললেন: সে যদি তা করত, তাহলে ফেরেশতা তাকে ধরে ফেলত। (সহীহ বুখারী হা. ৪৯৫৮)
(فَلْيَدْعُ نَادِيَه) শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মাকামে ইবরাহীমের নিকট সালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় আবূ জাহল তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিল ও বলছিল: হে মুহাম্মাদ! আমি কি তোমাকে সালাত আদায় করতে নিষেধ করিনি? এ বলে সে নাবী (সাঃ)-কে ধমক দিল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার প্রতি ক্রোধান্বিত হলেন এবং কড়া জবাব দিলেন। তখন সে বলল : হে মুহাম্মাদ! তুমি আমাকে কিসের ভয় দেখাচ্ছ? আল্লাহ তা‘আলার শপথ! এ উপত্যকায় আমারই রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরিষদ ও পৃষ্ঠপোষক । তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (আহমাদ ১/৩২৯, সনদ সহীহ।)
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : আবূ জাহল বলল : আমি যদি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে কাবা ঘরে সালাত আদায় করতে দেখি তবে তাঁর ঘাড় ভেঙ্গে দেব। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তখন বললেন : যদি সে এরূপ করতো তবে জনগণের চোখের সামনেই আযাবের ফেরেশতারা তাকে পাকড়াও করত। ঠিক এমনভাবেই কুরআনে ইয়াহূদীদেরকে বলা হয়েছে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে মৃত্যু কামনা কর। যদি তারা মৃত্যু কামনা করত তবে অবশ্যই তারা মৃত্যু বরণ করত এবং তাদের বাসস্থান জাহান্নাম দেখতে পেতো। অনুরূপ নাজরানের নাসারাদেরকে মুবাহালার জন্য ডাক দয়া হয়েছিল। তারা যদি মুবাহালার জন্য বের হতো তবে তারা ফিরে এসে তাদের জানমাল এবং সন্তান-সন্ততি কিছুই পেতো না। (আহমাদ ১/২৪৮, তিরমিযী হা. ৩৩৪৮, সনদ সহীহ।)
সবশেষে আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাঃ)-কে কাফিরদের অনুসরণ ত্যাগ করে একমাত্র তাঁর জন্য সিজদা ও নৈকট্য অর্জনের নির্দেশ প্রদান করেছেন। এটা সিজদার আয়াত, এ আয়াত পাঠ শেষে সিজদা করা মুস্তাহাব। সিজদার আহকাম সম্পর্কে সূরা আ‘রাফে আলোচনা করা হয়েছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আয়াতগুলো অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট জানলাম।
২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে আল্লাহ তা‘আলা সরাসরি সাহায্য করেছেন।
৩. যখন মানুষ নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে তখনই সে আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্য হয়।
৪. আবূ জাহলের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের কথা ও তার শেষ পরিণাম জানলাম। প্রত্যেক যে ব্যক্তি ইসলাম ও মুসলিমের বিরুদ্ধাচরণ করবে তাদের পরিণতি আবূ জাহলের মত হবে।
৫. এ সূরার শেষ আয়াত তেলাওয়াত করে সিজদা করা মুস্তাহাব।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings