Surah Ash Shams Tafseer
Tafseer of Ash-Shams : 12
Saheeh International
When the most wretched of them was sent forth.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
নামকরণ:
الشَّمْسِ অর্থ সূর্য। সূরার প্রথম আয়াতের الشَّمْسِ শব্দ থেকেই উক্ত নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে।
সূরায় সফলকামদের বৈশিষ্ট্য এবং ব্যর্থদের ব্যর্থতার কারণ বর্ণনা করা হয়েছে।
১-১৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর:
কারা আখিরাতে সফলকাম আর কারা ব্যর্থ সে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলা ধারাবাহিকভাবে তাঁর সাতটি বড় বড় মাখলুক নিয়ে শপথ করেছেন। প্রথমেই আল্লাহ তা‘আলা সূর্যের শপথ করেছেন। এটা আল্লাহ তা‘আলার একটি অন্যতম বড় মাখলুক এবং নিদর্শন।
وَضُحٰهَا অর্থ : ضوءها বা সূর্যের আলোর শপথ। কাতাদাহ (রহঃ) বলেন : এখানে যুহা দ্বারা সারা দিন উদ্দেশ্য। ইবনু জারীর (রহঃ) বলেন : এটাই সঠিক। অর্থাৎ সূর্য ও তার কিরণের শপথ, যে কিরণ সারাদিন থাকে। মূলত বিষয়টি গুরুত্ব দেয়ার জন্য কিরণের শপথ পৃথকভাবে করেছেন।
إِذَا تَلٰهَا ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : يتلو النهار বা শপথ চন্দ্রের যা সূর্য অস্তমিত হবার সাথে সাথে আগমন করে। এখান থেকে বিজ্ঞানীরা বলেছেন : চন্দ্রের নিজস্ব কোন আলো নেই, বরং সে সূর্যের আলো ধার করে চলে সে জন্য চন্দ্র সূর্যের পরে আসে।
إِذَا جَلّٰهَا অর্থ : إذا جلي الظلمة و كسفها
বা যখন অন্ধকার দূরীভূত ও মোচন করে দেয়।
إِذَا يَغْشٰهَا অর্থ : إذا يغشى الشمس حين تغيب
বা সূর্য অস্তমিত হবার সময় যখন তাকে রাত আচ্ছদিত করে নেয়।
وَمَا بَنٰهَا এখানে ما শব্দটি من বা ‘যিনি’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ শপথ আকাশের এবং যিনি তা বানিয়েছেন। তিনি হলেন আল্লাহ তা‘আলা। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَالسَّمَا۬ءَ بَنَيْنٰهَا بِأَيْدٍ وَّإِنَّا لَمُوْسِعُوْنَ)
আমি আকাশ নির্মাণ করেছি আমার (নিজ) হাতে এবং আমি অবশ্যই মহা সম্প্রসারণকারী।” (সূরা জারিয়াত ৫১: ৪৭-৪৮)
وَمَا طَحٰهَا অর্থ : مد الارض ووسعها বা জমিনকে বি¯ৃ—ত ও প্রশস্ত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَالْأَرْضَ فَرَشْنٰهَا فَنِعْمَ الْمٰهِدُوْنَ )
“এবং আমি পৃথিবীকে বিছিয়ে দিয়েছি, সুতরাং আমি কত সুন্দরভাবে বিছিয়েছি।” (সূরা যারিয়াত ৫১: ৪৮)
وَّمَا سَوّٰٿھَا ইমাম ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন : শপথ মানুষের এবং তাকে যে সঠিক ফিতরাতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করে সৃষ্টি করেছেন তার। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّيْنِ حَنِيْفًا ط فِطْرَتَ اللّٰهِ الَّتِيْ فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا ط لَا تَبْدِيْلَ لِخَلْقِ اللّٰهِ ط ذٰلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ لا ق وَلٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ)
“অতএব তুমি একনিষ্ঠভাবে নিজেকে দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখ; এটাই আল্লাহর ফিতরাত (প্রকৃতি) যার ওপর তিনি মানব সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল-সঠিক দীন কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।” (সূরা রূম ৩০ : ৩০)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন :
مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلَّا يُولَدُ عَلَي الفِطْرَةِ، فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ
প্রত্যেক সন্তান ফিতরাত বা ইসলামের উপর জন্ম গ্রহণ করে। অতঃপর তার পিতামাতা তাকে হয় ইয়াহূদী বানায় অথবা খ্রিস্টান বা অগ্নিপূজক বানায়। (সহীহ বুখারী হা. ১৩৮৫)
(فَأَلْهَمَهَا فُجُوْرَهَا وَتَقْوٰـهَا)
অর্থাৎ মানুষকে সৃষ্টি করার পর অসৎ ও সৎ কর্মের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। অতঃপর যারা অসৎ কাজ বর্জন করার মাধ্যমে নিজেকে পবিত্র করে নিতে পারল তারাই সফলকাম। পক্ষান্তরে যারা অসৎ কাজে জড়িত হয়ে নিজেকে কলুষিত করে নিয়েছে তারা নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সৎ কাজ করার মাধ্যমে নিজেদের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার তাওফীক দান করুন।
১১-১৫ নম্বর আয়াতে সালেহ -এর নিদর্শন উটনীর কথা বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে সূরা আ‘রাফের ৭৮-৮৩ নম্বর আয়াতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা যেসব জিনিসের শপথ করেন তার গুরুত্ব অপরিসীম।
২. প্রত্যেক সন্তান ইসলাম ধর্মের ওপর জন্ম নেয়। অতঃপর পিতা-মাতা যে ধর্ম বা প্রকৃতির হয় সন্তানকে সেভাবেই লালন-পালন করে গড়ে তুলে।
৩. যে ব্যক্তি নিজের কুপ্রবৃত্তিকে দমন করে দীনের পথে জীবনকে অতিবাহিত করেছে সেই সফলকাম।
৪. যারা নিজেদের পাপের পংকিলতা থেকে মুক্ত করতে পারল না তারাই আখিরাতে ব্যর্থ।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings