Surah Al Anfal Tafseer
Tafseer of Al-Anfal : 47
Saheeh International
And do not be like those who came forth from their homes insolently and to be seen by people and avert [them] from the way of Allah . And Allah is encompassing of what they do.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৫-৪৯ নং আয়াতের তাফসীরঃ
فَتَفْشَلُوْا অর্থাৎ তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলবে। رِيْحُكُمْ তোমাদের শক্তি।
(نَكَصَ عَلٰي عَقِبَيْهِ)
‘সে পিছনে সরে পড়লো’অর্থাৎ পলায়ন করে পিছনের দিকে চলে গেছে।
الْمُنٰفِقُوْنَ মুনাফিক বলা হয় যারা মুখে ইসলাম প্রকাশ করে কিন্তু অন্তরে কুফরী গোপন করে।
এ আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে রণকৌশল শিক্ষা দিচ্ছেন। যখন শত্রুদের মুখোমুখী হয়ে যাবে তখন:
১. দৃঢ়পদ ও অবিচল থাকবে। কারণ এ ছাড়া যুদ্ধের ময়দানে টিকে থাকা সম্ভব নয়।
২. যুদ্ধের ময়দানে বেশি বেশি আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ করবে। আল্লাহ তা‘আলার কাছে সাহায্য চাইবে। সংখ্যাধিক্যের অহঙ্কার করবে না।
৩. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আনুগত্য করবে। আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আনুগত্য করার ক্ষেত্রে কোন মতানৈক্য ও ঝগড়ায় লিপ্ত হবে না, হলে তোমাদের শক্তি সাহস বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এর জ্বলন্ত প্রমাণ উহুদের যুদ্ধ।
উহুদের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আবদুল্লাহ বিন যুবাইর (রাঃ)-এর নেতৃত্বে সত্তর জন তিরন্দাজকে পাহাড়ের পাদদেশে নিযুক্ত করে কঠোরভাবে হুশিয়ার করে দিয়েছিলেন কোনক্রমেই যেন এ স্থান ত্যাগ না করে। অবশেষে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নির্দেশ ভঙ্গ করলে তারা পরাজয়ের গ্লানিতে নিমজ্জিত হয়।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে জিহাদের মাঠেও ইখলাসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, তাদের মত হয়ো না যারা হককে মিটিয়ে দেয়ার জন্য, মানুষকে দেখানোর জন্য এবং আল্লাহ তা‘আলার পথে মানুষকে বাধা দেয়ার জন্য যুদ্ধে বের হয়।
অর্থাৎ মক্কার মুশরিকরা বদরের দিন এরূপ উদ্দেশ্য নিয়ে বের হয়েছিল ফলে তাদের পরিণতি ভাল হয়নি।
(وَإِنِّيْ جَارٌ لَّكُمْ)
‘আমি তোমাদের পার্শ্বেই থাকব।’অর্থাৎ বদরের যুদ্ধের জন্য যখন মক্কার কাফিররা রওনা হল তখন বনু বকরের সাথে তাদের যে শত্রুতা ছিল তার কথা মনে পড়ে গেল। তাদের আশঙ্কা ছিল পিছন দিক থেকে বনু বকর তাদের ওপর হামলা করতে পারে। এমন সময় শয়তান বনু বকরের সরদার সূরাকা বিন মালিকের রূপ ধারণ করে তাদের কাছে আগমন করে বলে: আমি তোমাদের প্রতিবেশি হিসেবে আছি। অতএব তোমাদের কোন শঙ্কা নেই। (আর-রাহীকুল মাখতুম, বদর যুদ্ধ অংশ)
কিন্তু যখন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল তখন সে শয়তান পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে আর বলে তোমাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তোমরা যা দেখতে পাও না আমি তো তা দেখি। নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করি।
(إِذْ يَقُوْلُ الْمُنَافِقُوْنَ)
‘স্মরণ কর যখন, মুনাফিক ও যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তারা বলে, ইবনু আব্বাস (রাঃ) এ আয়াতের তাফসীরে বলেন: উভয় বাহিনী যখন কাতার বন্দী হয়ে মুখোমুখী হয়ে দাঁড়িয়ে যায় তখন আল্লাহ তা‘আলা মুসলিমদেরকে মুশরিকদের চোখে কম দেখান। তখন মুশরিকরা মুসলিমদের বিদ্রƒপ করে এ কথা বলে। তাদের ধারণা মুসলিমরা অচিরেই পরাজয় বরণ করবে। এ ব্যাপারে তারা কোন সন্দেহ করত না। (তাফসীর ইবনে কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
সুতরাং একজন মু’মিন জিহাদের মাঠেও আল্লাহ তা‘আলাকে স্বরণ করবে এবং ইখলাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। কোনক্রমেই সংখ্যাধিক্যের বড়াই করবে না এবং মানুষকে দেখানোর জন্য জিহাদ করবে না।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যুদ্ধে বিজয়ী হবার অন্যতম কৌশল হল সর্বদা আল্লাহ তা‘আলার ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে দৃঢ়পদে অবস্থান করা।
২. সর্বদা এমন কি যুদ্ধের ময়দানেও আল্লাহ তা‘আলাকে বেশি বেশি করে স্মরণ করা উচিত।
৩. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের আনুগত্যে সফলতা বিদ্যমান।
৪. মানুষকে দেখানোর জন্য আমল করা ও অহঙ্কার করা হারাম।
৫. শয়তানের ওয়াদা মিথ্যা।
৬. মুনাফিকরা মু’মিনদের ব্যাপারে ভ্রান্ত ধারণা রাখে।
৭. মু’মিনদের মাঝে পরস্পর বিবাদ হলে ঐক্য বিনষ্ট হয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings