Surah Al Anfal Tafseer
Tafseer of Al-Anfal : 34
Saheeh International
But why should Allah not punish them while they obstruct [people] from al-Masjid al- Haram and they were not [fit to be] its guardians? Its [true] guardians are not but the righteous, but most of them do not know.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩১-৩৫ নং আয়াতের তাফসীরঃ
এখানে আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের অবাধ্যতা ও গোঁড়ামির বর্ণনা দিচ্ছেন। তারা বলে আমরা ইচ্ছা করলে কুরআনের মত এরূপ কথা বানিয়ে বলতে পারি। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ لَّئِنِ اجْتَمَعَتِ الْإِنْسُ وَالْجِنُّ عَلٰٓي أَنْ يَّأْتُوْا بِمِثْلِ هٰذَا الْقُرْاٰنِ لَا يَأْتُوْنَ بِمِثْلِه۪ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيْرًا )
“বল : ‘যদি কুরআনের অনুরূপ কুরআন আনয়নের জন্য মানুষ ও জিন্ন সমবেত হয় এবং তারা পরস্পরকে সাহায্য করে তবুও তারা এটার অনুরূপ কুরআন আনয়ন করতে পারবে না।’(সূরা বানী ইসরাইল ১৭: ৮৮)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَإِنْ لَّمْ تَفْعَلُوْا وَلَنْ تَفْعَلُوْا فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِيْ وَقُوْدُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ ﺸ أُعِدَّتْ لِلْكَافِرِيْنَ)
“অনন্তর যদি তোমরা তা করতে না পার এবং তোমরা তা কখনও করতে পারবে না, তা হলে তোমরা সেই জাহান্নামকে ভয় কর যার ইন্ধন হচ্ছে মানুষ ও পাথর যা তৈরি করে রাখা হয়েছে কাফিরদের জন্য।”(সূরা বাক্বারাহ ২:২৪)
(أَسَاطِيْرُ الْأَوَّلِيْنَ)
‘সেকালের লোকেদের উপকথা ছাড়া কিছুই না।’ অর্থাৎ পূর্ববর্তীদের উপকথা, অন্য আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَقَالُوْآ أَسَاطِيْرُ الْأَوَّلِيْنَ اكْتَتَبَهَا فَهِيَ تُمْلٰي عَلَيْهِ بُكْرَةً وَّأَصِيْلًا , قُلْ أَنْزَلَهُ الَّذِيْ يَعْلَمُ السِّرَّ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ ط إِنَّه۫ كَانَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا)
“তারা বলে: ‘এগুলো তো সে কালের উপকথা, যা সে লিখিয়ে নিয়েছে; এগুলো সকাল-সন্ধ্যা তার নিকট পাঠ করা হয়।’ বল: ‘এটা তিনিই অবতীর্ণ করেছেন যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সমুদয় অদৃশ্যের রহস্য অবগত আছেন; নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’(সূরা ফুরকান ২৫:৫-৬)
وَإِذْ قَالُوا اللّٰهُمَّ إِنْ كَانَ هٰذَا.........
‘স্মরণ কর, যখন তারা বলছিল, ‘হে আল্লাহ! এটা যদি তোমার পক্ষ হতে সত্য হয়’ অর্থাৎ তারা দ্রুত শাস্তি কামনা করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَقَالُوْا رَبَّنَا عَجِّلْ لَّنَا قِطَّنَا قَبْلَ يَوْمِ الْحِسَابِ)
“তারা বলে: হে আমাদের প্রতিপালক! বিচারের দিনের পূর্র্বেই আমাদের প্রাপ্য অংশ আমাদেরকে শীঘ্রই দিয়ে দিন।”(সূরা সোয়াদ ৩৮:১৬)
৩৩ নং আয়াতের শানে নুযূল:
(وَمَا كَانَ اللّٰهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيْهِمْ)
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আবূ জাহল বলল: হে আল্লাহ! এ কুরআন যদি তোমার পক্ষ থেকে সত্য হয় তাহলে আমাদের ওপর পাথর বর্ষণ কর অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দাও। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৬৪৯, সহীহ মুসলিম হা: ২৭৯৬)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তাদেরকে তিনি কেন শাস্তি দেবেন না! কারণ তারা মাসজিদে হারাম থেকে মানুষকে বাধা দেয়। তারা তো এ মাসজিদের তত্ত্বাবধায়ক নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “তারাই ঐ সকল লোক, যারা কুফরী করেছে ও তোমাদেরকে মাসজিদুল হারাম থেকে ফিরিয়ে রেখেছে এবং কুরবানীর উটগুলোকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছতে দেয়নি। যদি (মক্কায়) এমন মু’মিন নর ও নারী না থাকত যাদের কথা তোমরা জান না আর অজ্ঞতাবশত তোমরা তাদেরকে পদদলিত করে ফেলবে এবং এতে তোমরাও তাদের পক্ষ থেকে কষ্ট পাবে (এ আশঙ্কা না থাকলে যুদ্ধ বন্ধ করা হতো না)। (যুদ্ধ এ জন্য বন্ধ করা হয়েছে) যাতে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে তাঁর রহমতে শামিল করে নেন। ঐ মু’মিনরা যদি (কাফিরদের থেকে) আলাদা অবস্থায় থাকত তাহলে (মক্কায়) যারা কাফির ছিল তাদেরকে আমি অবশ্যই কঠিন শাস্তি দিতাম।”(সূরা ফাতহ ৪৮:২৫)
মাসজিদের তত্ত্বাবধায়ক হবে একমাত্র ঈমানদারগণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “মুশরিকরা যখন নিজেরাই নিজেদের কুফরী স্বীকার করে তখন তারা আল্লাহর মাসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে- এমনটি হতে পারে না। তারা এমন যাদের সমস্ত কর্ম ব্যর্থ হয়ে গেছে এবং তারা অগ্নিতেই স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে। তারাই তো আল্লাহর মাসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও আখিরাতে এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তারা হবে সৎ পথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।”(সূরা তাওবাহ ৯:১৭-১৮)
(إِلَّا مُكَا۬ءً وَتَصْدِيَةً)
‘কা‘বা ঘরের নিকট শুধু শিস ও হাততালি দেয়াই ছিল তাদের সালাত’ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: কুরাইশরা উলঙ্গ অবস্থায় কাবা তাওয়াফ করত ও মুখে আঙ্গুল দিয়ে শিস দিত এবং দু’হাত দ্বারা তালি বাজাত। (ইবনু কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
এরূপ করাকে তারা ইবাদত ও পুণ্যের কাজ মনে করত। যেমন আজকাল কিছু সুফীরা তাদের আস্তানায় ঢোল-তবলা বাজায় এবং বলে, এটাই আমাদের ইবাদত ও সালাত।
সুতরাং নিজের কাছে যা ভাল মনে হবে তা-ই ইবাদত, আর যা ভাল মনে হবে না তা ইবাদতের বাইরে- এমন কথা ইবাদতের মাপকাঠি নয় বরং ইবাদতের মাপকাঠি হল কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ। কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ যাকে ইবাদত বলে আখ্যায়িত করবে তাই ইবাদত বলে গণ্য হবে তা- নিজের মনোপুত হোক আর না-ই হোক।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কিয়ামত পর্যন্ত কুরআনের চ্যালেঞ্জ বহাল থাকবে; এর মত কেউ কিছু তৈরি করতে পারবে না।
২. কোন নাবীর বর্তমানে তিনি না চাইলে তাঁর জাতিকে আল্লাহ তা‘আলা আযাব দেন না।
৩. মাসজিদে কেবল ঈমানদাররাই ইবাদত করবে, দেখা শোনা করবে এবং তদারকি করবে।
৪. মাসজিদে শিস দেয়া, হাতে তালি দেয়া নিষেধ। তবে সালাতে ভুল হলে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য মহিলাদের হাতে তালি দিয়ে সংকেত দেয়া বৈধ।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings