Surah Al Anfal Tafseer
Tafseer of Al-Anfal : 27
Saheeh International
O you who have believed, do not betray Allah and the Messenger or betray your trusts while you know [the consequence].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৭-২৮ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতের শানে নুযূল সম্পর্কে কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু কোন বর্ণনাই ত্র“টি থেকে মুক্ত নয়; তাই এগুলো উল্লেখ ক রা হল না।
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম সহীহাইনে খিয়ানত সম্পর্কে হাতিব বিন আবূ বালতা‘আহ (রাঃ)-এর একটি ঘটনা নিয়ে এসেছেন। মক্কা বিজয়ের সময় তিনি কুরাইশদের নিকট একটি চিঠি লিখলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তোমাদের প্রতি হামলা করার মনস্থ করেছেন। এ বিষয়টি আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে জানিয়ে দিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) পিছনে লোক পাঠিয়ে চিঠি নিয়ে আসলেন। হাতিবকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হাজির করলেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এসব কাজ করেছেন বলে স্বীকার করেন।
উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! আমি কি তার গর্দান উড়িয়ে দেব। কেননা সে আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের সাথে খিয়ানত করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন: তাকে ছেড়ে দাও, সে বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে। যারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: তোমরা যা ইচ্ছা তাই কর আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম। (সহীহ বুখারী হা: ৩৯৮৩)
ইমাম ইবনু কাসীর (রাঃ) বলেন: সঠিক কথা হল আয়াতটি ব্যাপক, সকল খিয়ানতকারীর ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য। আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে খিয়ানত করার অর্থ হল: আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যা নির্দেশ দিয়েছেন তা বর্জন করা আর যা নিষেধ করেছেন তাতে লিপ্ত হওয়া। (তাফসীর মুয়াসসার, পৃঃ ১৮০)
(وَتَخُونُوا أَمَانَاتِكُمْ)
‘তোমাদের পরস্পরের আমানত সম্পর্কেও বিশ্বাস ভঙ্গ করে না’ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: আমানত হল সেসব আমল যা আল্লাহ তা‘আলা বান্দাকে করতে বলেছেন। (ইবনু কাসীর, ৪র্থ খ. পৃঃ ৪৫)
(وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ)
‘সন্তান-সন্ততি এক পরীক্ষাস্বরূপ’ অর্থাৎ সন্তান-সন্ততি দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা পরীক্ষা করবেন। সন্তান দিয়েছেন এটা জানার জন্য কে তাঁর শুকরিয়া আদায় করে, আর কে তাঁকে ভুলে দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّمَآ أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ ط وَاللّٰهُ عِنْدَه۫ أَجْرٌ عَظِيْمٌ)
“নিশ্চয়ই তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের জন্য পরীক্ষা, আর আল্লাহরই নিকট রয়েছে মহা প্রতিদান।” (সূরা তাগাবুন ৬৪:১৫)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَآ أَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللّٰهِ ج وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَأُولٰ۬ئِكَ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ)
“হে মু’মিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ হতে উদাসীন না করে; যারা এমন করবে (উদাসীন হবে) তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা মুনাফিকুন ৬৩:৯)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْآ إِنَّ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ وَأَوْلَادِكُمْ عَدُوًّا لَّكُمْ فَاحْذَرُوْهُمْ)
“হে মু’মিনগণ! তোমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের শত্রু, অতএব তাদের সম্পর্কে তোমরা সতর্ক হও।” (সূরা তাগাবুন ৬৪:১৪)
وَأَنَّ اللّٰهَ عِنْدَهُ أَجْرٌ عَظِيمٌ
‘আল্লাহরই নিকট মহাপুরস্কার রয়েছে।’ অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার নিকট যে সাওয়াব ও জান্নাত রয়েছে তা এই ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি হতে বহুগুণে উত্তম। এগুলো কখনও কখনও শত্রুদের মত ক্ষতির কারণও বটে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষের জন্য অকল্যাণকর। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: ঐ স্বত্ত্বার শপথ যার হতে আমার প্রাণ, ততক্ষণ তোমাদের কেউ মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ না তার পিতা-মাতা, সন্তান ও সমস্ত মানুষ থেকে আমি অধিক প্রিয় হব। (সহীহ বুখারী হা: ১৪)
সুতরাং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ ভঙ্গ করা ও নিষেধাজ্ঞায় লিপ্ত হওয়া তাদের সাথে খিয়ানত করার শামিল। তাই একজন মু’মিন সর্বদা সতর্ক থাকবে তার দ্বারা যেন কোন প্রকার খিয়ানত না হয়। কারণ খিয়ানত করা ঈমানের লক্ষণ নয় বরং তা মুনাফিকের লক্ষণ।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যে কোন প্রকার খিয়ানত করা হারাম। তবে আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে খিয়ানত করা অধিক খারাপ।
২. আল্লাহ তা‘আলা সম্পদ ও সন্তান দ্বারা পরীক্ষা করেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings