Surah Al Inshiqaq Tafseer
Tafseer of Al-Inshiqaq : 24
Saheeh International
So give them tidings of a painful punishment,
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৬-২৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর:
الشَّفَق (অস্তরাগ) সেই লাল বর্ণের আভাকে বলা হয় যা সূর্যাস্তের পর পশ্চিম আকাশে প্রকাশ পায় এবং ইশার ওয়াক্ত শুরু হওয়া পর্যন্ত বাকী থাকে।
(وَمَا وَسَقَ) অর্থাৎ অন্ধকার নেমে আসার সাথে সাথে প্রতিটি জন্তু নিজ নিজ আবাসস্থলে সমাগত হয়। অর্থাৎ রাতের অন্ধকার যে সকল বস্তুকে নিজের আঁচল দ্বারা ঢেকে নেয়। কাতাদাহ (রহঃ) বলেন : অন্ধকারে যে সকল তারকা ও প্রাণী একত্রিত হয়। (ইবনু কাসীর)
(إِذَا اتَّسَقَ) এর অর্থ: যখন চাঁদ পূর্ণিমাতে পূর্ণতা লাভ করে। যেমন ১৩ তারিখের রাত থেকে নিয়ে ১৬ তারিখের রাত পর্যন্ত তার উক্ত অবস্থা বিদ্যমান থাকে।
এগুলোর শপথ করার পর আল্লাহ তা‘আলা এবার তার জবাবে বলছেন : নিশ্চয়ই তোমরা এক পর্যায় থেকে অন্য পর্যায়ে আরোহণ করবে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন :
(لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَنْ طَبَقٍ)
অর্থাৎ حالا بعد حال বা এক অবস্থার পর অন্য অবস্থা। এটা তোমাদের নাবী (সাঃ) বলেছেন। (সহীহ বুখারী হা. ৪৯৪০) এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো: কিয়ামতের দিন মানুষ পর্যায়ক্রমে ভীষণ কঠিনের পর কঠিনতর পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে।
(فَمَا لَهُمْ لَا يُؤْمِنُوْنَ)
অর্থাৎ তাদের নিকট এসব নিদর্শন সবিস্তারিত আলোচনা করার পরেও কোন্ জিনিস তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা ও আখিরাতে ঈমান আনতে বাধা দিল? আর কেন তাদের সামনে কুরআন তেলাওয়াত করলেও তারা আল্লাহ তা‘আলার জন্য সিজদা করে না এবং আগত সত্য মেনে নেয় না। (তাফসীর মুয়াসসার)
(وَإِذَا قُرِئَ عَلَيْهِمُ.....)
এ আয়াত পড়ে সিজদা দিতে হয়, যেমন অত্র সূরার শুরুতে আলোচনা করা হয়েছে। ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন : এর অর্থ এই নয় যে, সিজদা দেয়া ফরয। কেননা এর তাৎপর্য হল কাফিররা মাথা নত করে না এবং কুরআনের ওয়াজিবসমূহ প্রতিপালনের মাধ্যমে আনুগত্য প্রদর্শন করে না। (তাফসীর কুরতুবী) সিজদার বিধান সম্পর্কে সূরা আ‘রাফের শেষ আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
يُوْعُوْنَ কাতাদাহ ও মুজাহিদ (রহঃ) বলেন : তারা অন্তরে যা কিছু গোপন করে সব আল্লাহ তা‘আলা জানেন। অর্থাৎ কাফিররাই আখিরাতকে অস্বীকার করে, তাদের সকল কিছু আল্লাহ তা‘আলা অবগত আছেন, আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সুতরাং হে রাসূল! তুমি তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তির সুসংবাদ দিয়ে দাও।
(غَيْرُ مَمْنُوْنٍ....)
অর্থাৎ غَيْرُ مَنْقُوْصٍ বা কম করে নয়, নিরবচ্ছিন্ন। মুজাহিদ ও যহহাক (রহঃ) বলেন:
غَيْرُ مَمحسوْنٍ
বা বেহিসাব প্রতিদান দেয়া হবে। অর্থাৎ যারা ঈমান এনেছে, সৎআমল করেছে তারা জাহান্নামের অধিবাসী নয়, বরং তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত নেয়ামত।
সুতরাং মু’মিননের জন্য জান্নাতে যে অপরিমেয় নেয়ামত রয়েছে তার জন্য আমাদের প্রতিটি মু’মিনের আগ্রহ প্রকাশসহ যথাসম্ভব সৎ আমল করা উচিত।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষ কিয়ামতের দিন কঠিন থেকে কঠিনতর পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে।
২. কোন প্রতিবন্ধক না থাকা সত্ত্বেও মানুষ আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আনে না, এটাই আশ্চর্যজনক বিষয়।
৩. সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করে সিজদা করা মুস্তাহাব।
৪. মু’মিনদের জন্য রয়েছে অপরিমেয় প্রতিদান।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings