Surah Al Infitar Tafseer
Tafseer of Al-Infitar : 13
Saheeh International
Indeed, the righteous will be in pleasure,
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৩-১৯ নম্বর আয়াতের তাফসীর:
আলোচ্য আয়াতগুলোতে মানুষকে দু’শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। যারা সৎ লোক তারা আখিরাতে পরম নেয়ামত তথা জান্নাতে থাকবে আর যারা পাপাচারী তারা জাহান্নামে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(فَرِيْقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيْقٌ فِي السَّعِيْر)
“(সেদিন) এক দল জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” (সূরা শূরা ৪২: ৭) এ দু’দলের বিভক্তি তাদের আকীদাহ ও আমলের কারণে হবে। যদিও আল্লাহ তা‘আলা এসব পূর্বেই জানতেন। আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে সবাইকে একই দলভুক্ত করতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি বান্দাকে পরীক্ষা করার জন্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَوْ شَا۬ءَ اللّٰهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَّاحِدَةً وَّلٰكِنْ لِّيَبْلُوَكُمْ فِيْ مَآ اٰتَاكُمْ)
“আর যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে অবশ্যই তিনি তোমাদের সবাইকে এক সম্প্রদায় করে দিতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের যাচাই করতে চান যা তিনি তোমাদের দিয়েছেন তার মাধ্যমে।” (সূরা মায়িদাহ ৫: ৪৮)
সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সৃষ্টি করার পর সুস্থ বিবেক দিয়ে ভাল-মন্দ দু’টি পথই দেখিয়ে দিয়েছেন। অতঃপর ইচ্ছার স্বাধীনতা দিয়েছেন। সে ইচ্ছা করলে ভাল কাজ করতে পারবে আবার ইচ্ছা করলে মন্দ কাজও করতে পারবে, তবে সাথে সাথে উভয় কাজের পরিণামও জানিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং মানুষ তার কাজের জন্য নিজেই দায়ী। যারা বলে আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে বাধ্য করেছেন তথা জাবারিয়া সম্প্রদায়ের দাবীÑযা মিথ্যা ও অবান্তর।
(يَوْمَ الدِّيْنِ) অর্থাৎ কিয়ামত দিবসে। بِغَآئِبِيْنَ অর্থাৎ তারা আযাব থেকে একটু সময়ের জন্যও অন্তর্হিত হতে পারবে না এবং তাদের জন্য আযাব হালকাও করা হবে না। এখানে কর্মফল দিবসকে বারবার উল্লেখ করেছেন কিয়ামতের বিষয়টিকে বড় করে দেখানোর জন্য। অতএব সকলকে পুনরুত্থিত হতে হবে এবং কর্মের হিসাব দিতে হবে।
(يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ)
অর্থাৎ সে কিয়ামতের দিন কোন ব্যক্তি কাউকে বিন্দু পরিমাণ উপকার করতে পারবে না। তবে আল্লাহ তা‘আলা যাকে যার জন্য অনুমতি প্রদান করবেন সে ব্যতীত। কিয়ামতের দিন কে কার জন্য সুপারিশ করতে পারবে সে সম্পর্কে সূরা বাক্বারায় আলোচনা করা হয়েছে। তাই নাবী (সাঃ) বানী হাশেমকে লক্ষ্য করে বলেছেন: তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। আমি আল্লাহ তা‘আলার আযাব থেকে তোমাদের রক্ষা করতে সক্ষম হব না। এমনিভাবে তিনি আরো বলেন: হে বনু কা‘ব বিন লুআই! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও, হে বনু আবদে মানাফ! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও, হে বনু আব্দিল মুত্তালিব! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও, হে আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব! আমি আল্লাহ তা‘আলার আযাব থেকে তোমার কোনই কাজে আসব না। হে মুহাম্মাদের কন্যা ফাতিমা! তুমি নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও, কেননা আমি তোমাদের কাউকে আল্লাহ তা‘আলার পাকড়াও হতে রক্ষা করতে পারব না। (সহীহ বুখারী হা. ২৭৫৩)
(وَالْأَمْرُ يَوْمَئِذٍ لِّـلّٰهِ)
যেমন আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(یَوْمَ ھُمْ بٰرِزُوْنَﹰ لَا یَخْفٰی عَلَی اللہِ مِنْھُمْ شَیْءٌﺚ لِمَنِ الْمُلْکُ الْیَوْمَﺚ لِلہِ الْوَاحِدِ الْقَھَّارِ)
“যেদিন তারা (কবর হতে) বের হয়ে পড়বে, সেদিন আল্লাহর নিকট তাদের কিছুই গোপন থাকবে না। (আল্লাহ জিজ্ঞাসা করবেন) আজ কর্তৃত্ব কার? এক পরাক্রমশালী আল্লাহরই।” (সূরা মু’মিন ৪০: ১৬)
সুতরাং যেদিনে পিতা সন্তানের কোন কাজে আসবে না, ভাই ভায়ের কোন কাজে আসবে না, স্বামী স্ত্রীর কোন কাজে আসবে না সেদিনের জন্য আমাদের অবশ্যই পাথেয় সংগ্রহ করা উচিত।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সৎ বান্দারা নেয়ামতপূর্র্র্ণ জান্নাতে থাকবে আর অসৎ বান্দারা জাহান্নামে থাকবে।
২. কিয়ামতের দিন কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে বিন্দুমাত্র উপকার করতে পারবে না। যেখানে নাবী-রাসূলগণ পারবেন না সেখানে পীর-ওলী-আওলিয়াদের অবস্থান কোথায়?
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings