Surah Al A'raf Tafseer
Tafseer of Al-A'raf : 171
Saheeh International
And [mention] when We raised the mountain above them as if it was a dark cloud and they were certain that it would fall upon them, [and Allah said], "Take what We have given you with determination and remember what is in it that you might fear Allah ."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৬৮-১৭১ নং আয়াতের তাফসীরঃ
আলোচ্য আয়াতগুলোতে ইয়াহূদীদের বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত হবার কথা বলা হচ্ছে। আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতে তাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে দিয়েছেন অথচ পূর্বে তারা সকলেই এক ও অভিন্ন ছিল। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَّقُلْنَا مِنْۭ بَعْدِه۪ لِبَنِيْ إِسْرَا۬ئِيْلَ اسْكُنُوا الْأَرْضَ فَإِذَا جَا۬ءَ وَعْدُ الْاٰخِرَةِ جِئْنَا بِكُمْ لَفِيْفًا)
“এরপর আমি বানী ইসরাঈলকে বললাম, ‘তোমরা ভূ- পেৃষ্ঠে বসবাস কর এবং যখন ক্বিয়ামতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে তখন তোমাদের সকলকে আমি একত্র করে উপস্থিত করব।” (সূরা ইসরা ১৭:১০৪)
এদের মধ্যে অনেকে সৎ লোক ছিল এবং অনেকে অসৎ লোক ছিল। যেমন জিনেদের মধ্যে ভালমন্দ উভয় প্রকারই রয়েেেছ তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَّأَنَّا مِنَّا الصَّالِحُوْنَ وَمِنَّا دُوْنَ ذٰلِكَ ط كُنَّا طَرَآئِقَ قِدَدًا)
“এবং আমাদের কতক সৎ কর্মপরায়ণ এবং কতক এর ব্যতিক্রম, আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথের অনুসারী।” (জিন ৭২:১১)
بِالْحَسَنَاتِ وَالسَّيِّئَاتِ
‘মঙ্গল ও অমঙ্গল দ্বারা আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছিলাম’ অর্থাৎ তাদেরকে সুখ সাচ্ছন্দ ও বিপদ-আপদ দ্বারা পরীক্ষা করেছি।
اَدْنٰي- (هَذَا الْأَدْنٰي)
শব্দটি دُنُوٌ থেকে নেয়া হয়েছে যার অর্থ নিকটবর্তী। অর্থাৎ নিকটবর্তী (পার্থিব) সম্পদ গ্রহণ করে। অথবা এটি دَنَاءَةٌ থেকে এসেছে যার অর্থ, নিকৃষ্ট বা তুচ্ছ সম্পদ। উভয় অর্থই উদ্দেশ্য, তাদের পার্থিব সম্পদের প্রতি আসক্তির স্পষ্ট কারণ।
কাতাদাহ (রাঃ) বলেন:
(فَخَلَفَ مِنْۭ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ)
‘অতঃপর অযোগ্য পূর্বপুরুষগণ একের পর এক তাদের স্থলাভিষিক্তরূপে কিতাবের উত্তরাধিকারী হয়’ আল্লাহ তা‘আলার শপথ! এরা অতি নিকৃষ্ট উত্তরসূরী। নাবীদের পরে এরা তাওরাত ও ইঞ্জিলের উত্তরাধিকারী ছিল। আল্লাহ তা‘আলা কিতাবে তাদের থেকে অঙ্গীকারও নিয়েছিলেন। যেমন-
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَخَلَفَ مِنْۭ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلٰوةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا)
“তাদের পরে আসল অপদার্থ পরবর্তীগণ, তারা সালাত নষ্ট করল ও লালসা-পরবশ হল। সুতরাং তারা অচিরেই কুকর্মের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।” (সূরা মারইয়াম ১৯:৫৯)
তারা আল্লাহ তা‘আলার কাছে আশা রাখে এবং নিজেদের প্রতারিত করে। দুনিয়া অর্জনের কোন সুযোগ এলে তখন হালাল হারাম কিছুই দেখে না। কোন জিনিস তাদেরকে পাপ কাজ হতে বিরত রাখতে পারে না।
(أَلَمْ يُؤْخَذْ عَلَيْهِمْ مِيْثَاقُ الْكِتَابِ)
‘কিতাবের অঙ্গীকার কি তাদের নিকট হতে নেয়া হয়নি’ অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা এ অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন:
(وَإِذْ أَخَذَ اللّٰهُ مِيْثَاقَ الَّذِيْنَ أُوْتُوا الْكِتٰبَ لَتُبَيِّنُنَّه۫ لِلنَّاسِ وَلَا تَكْتُمُوْنَه۫ ﺡفَنَبَذُوْهُ وَرَا۬ءَ ظُهُوْرِهِمْ وَاشْتَرَوْا بِه۪ ثَمَنًا قَلِيْلًا ط فَبِئْسَ مَا يَشْتَرُوْنَ)
“আর (স্মরণ কর!) যখন আল্লাহ তা‘আলা কিতাবধারীদের থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন যে, তোমরা অবশ্যই এটা লোকেদের মধ্যে প্রকাশ করবে এবং তা গোপন করবে না; কিন্তু তারা ওটা তাদের পশ্চাতে নিক্ষেপ করল এবং ওটা অল্প মূল্যে বিক্রি করল, অথচ তারা যা ক্রয় করেছিল তা নিকৃষ্টতর।” (সূরা আলি ইমরান ৩:১৮৭)
(وَالَّذِيْنَ يُمَسِّكُوْنَ بِالْكِتَابِ)
‘যারা কিতাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে’ অর্থাৎ তাদের মধ্যে যারা তাক্বওয়া অবলম্বন করবে, শক্তভাবে কিতাব ধারণ করবে (যার অর্থ) আসল তাওরাতের ওপর আমল করে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নবুওয়াতের ওপর ঈমান আনবে, সালাত ইত্যাদি ভালভাবে আদায় করবে। তাহলে এমন সৎ কর্মশীলদের কর্মফল আল্লাহ তা‘আলা নষ্ট করবেন না। এখানে আহলে কিতাব বিশেষ করে ইয়াহূদীদের কথা বলা হচ্ছে।
(وَإِذْ نَتَقْنَا الْجَبَلَ فَوْقَهُمْ)
‘স্মরণ কর, যখন আমি পর্বতকে তাদের ঊর্ধ্বে উত্তোলন করেছিলাম’ এটা সেই সময়ের ঘটনা যখন মূসা (আঃ) স্বজাতির নিকট তাওরাত নিয়ে এলেন ও তার আদেশ-নিষেধ পড়ে শুনালেন। তারা অভ্যাসমত তার ওপর আমল করতে অস্বীকৃতি জানাল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল। যার কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাদের ওপর পাহাড় তুলে ধরলেন যে, না মানলে পাহাড় চাপিয়ে শেষ করে দেয়া হবে। ভয়ে তারা আমল করার অঙ্গীকার করল।
কেউ কেউ বলেন: তাদের ওপর পাহাড় তোলার ঘটনা তাদেরই দাবী অনুসারে ঘটেছিল। তবে সঠিক কথা আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন। এটা ছিল তূর পাহাড় যা সূরা বাকারার ৬৩ ও ৯৩ নং আয়াতে ঘটনাটির বর্ণনা রয়েছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আহলে কিতাবদের মধ্যে ভাল-মন্দ দু’ শ্রেণির লোক ছিল।
২. মূসা (আঃ)-এর জাতির অবাধ্যতার কথা জানলাম।
৩. মুত্তাকীদের জন্য দুনিয়ার চেয়ে পরকাল শ্রেষ্ঠ।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings